নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ ড.মোহাম্মদ ইউনূসের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭



যখন প্রায়ই আমাদের মাঝে নৈরাশ্যবাদ ও সংশয় দেখা দেয়, পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা অনেক সময়ই ভুলে যাই, আমাদের সামনে চলার পথটি অনেক দীর্ঘ ও বন্ধুর মনে হয়, তখন কিছু অসামান্য মানুষ আমাদেরকে আমাদের আশার বাণী শোনান। তাঁরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে উৎকর্ষ অর্জন আমাদের সাধ্যের বাইরে নয়। অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ইউনূস তেমনই এক গুণী ব্যক্তিত্ব্। যিনি সারাবিশ্বে 'গরিবের ব্যাংকার' হিসেবে পরিচিত ক্ষুদ্রঋণের জনক হিসেবে খ্যাত। ড. মোহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক এবং ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অথচ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিটিকে নিয়ে বাতাসে উড়ছে নানা কথা।পক্ষে-বিপক্ষে নানা জন নানাভাবে মন্তব্য করছে। কেউ কেউ তাকে রক্তচোষা কুষীদজীবী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। ব্যক্তিগত মত পথ থাকতেই পারে তবে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতি খ্যতি আমাদে গর্বিত করে। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানে মুহাম্মদ ইউনূস তাদের কতটা সম্মানিত করেছে। ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন কারী বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার অধ্যাপক মোহাম্মদ উইনুসের জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের আজকের দিনে তিনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। আজ তার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। জন্মদিনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা।



মোহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তাঁর প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন।



১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। ইউনূস বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ড. ইউনূস আমেরিকায় বসেই স্বাধীনতার পক্ষে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি বিদেশিদের জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও মানবিক প্রচারণা চালান। সেখানে তিনি বাংলাদেশ নাগরিক সমিতির সচিব এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষে প্রকাশিত একটা সংকলন সম্পাদনা করেন।



১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব আন্দোলনের প্রধান নেতা। বিশ্বের সেরা ৫০ জন চিন্তাবিদের অন্যতম একজন তিনি। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময় ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন । সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে। তিনি সামাজিক ব্যবসা ধারনা নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। ১৯৭৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কা ছাড়াও মার্কিযুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম' এ ভূষিত হযেছেন। এছাড়াও তিনি ম্যাগসেসাইসহ ১৫ টি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেন। ডঃ ইউনুস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। তিনি ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা। তিনি ইউএনএইডসের “ইন্টারন্যাশনাল গুডউইল অ্যাম্বাসাডর”সম্মানে ও ভূষিত হন।



লন্ডনের ব্রিটিশ বাংলাদেশি পাওয়ার এন্ড ইন্সপিরেশন (বিবিপিআই) রিপোর্টে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী বাংলাদেশির নামের তালিকায় সবার উপরে থাকা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আজ ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। জন্মদিনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজ তার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী।

জন্মদিনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা।


বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সু-পরিচিতির ব্যক্তিক সাফল্যে সফল স্বেচ্ছাদূত :)

দীর্ঘজীবি হোন, দেশ এবং মানুষের সেবায় আরও নিরলস কাজ করার শক্তি লাভ করুন।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: শুভ জন্মদিন ডঃ ইউনুস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.