নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ একা বাস করতে পারে না। সমাজে বাস করতে হলে, প্রতিদিন কারো না কারো মুখাপেক্ষী হতে হয়। কাউকে আপন করতে হয়। একে অন্যকে আপন করে নেবার নামই বন্ধুত্ব। তবে বন্ধুত্ব এমন একটি বন্ধন, এতে থাকে স্বার্থহীন ভালোবাসা। পৃথিবীর অনেক সম্পর্কের মধ্যে এটি অন্যতম। তুমি আমার পাশে বন্ধু হে বসিয়া থাকো, একটু বসিয়া থাকো, আমি মেঘের দলে আছি, ঘাসের দলে আছি তুমিও থাকো বন্ধু হে একটু বসিয়া থাকো .... এরকম অসংখ্য গান যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে সে হলো বন্ধু। বন্ধুত্বের আসলে কোনো বয়স নেই। তা যখন তখন, যেখানে সেখানেই হতে পারে। মা-বাবা যেমন হতে পারে ভাল বন্ধু, তেমনি পারে স্বামী-স্ত্রীও। আবার স্কুল-কলেজ, চাকরির ক্ষেত্রে সবখানেই বন্ধুত্ব হতে পারে। তবে বন্ধুকে হতে হয় অনেক বিশ্বাসী, দায়িত্ববান। যার উপর ভরসা করা যায় নিশ্চিন্তে। সৃষ্টির শুরুতে বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে, থাকবে অনন্তকাল।
আজ আগস্টের প্রথম রবিবার বিশ্ব বন্ধু দিবস। প্রতি বছর আগস্টের প্রথম রোববার দুনিয়াজুড়ে পালিত হয় দিবসটি। ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালনের প্রথা চালু হয়। শুধু পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশেই নয়, বরং বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেও প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে উদযাপন করা হয় বন্ধু দিবস হিসেবে। বন্ধু কিংবা বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের সঙ্গে মানুষের পরিচয় যুগ যুগান্তরের হলেও বন্ধুত্ব দিবসের মতো কেতাবি উদযাপন কিন্তু এখনো শতবর্ষও পেরোয়নি। বরং কাগজে কলমে প্রায় ৭৭ বছর আর আনুষ্ঠানিকতার দিক থেকে মাত্র দুই আড়াই দশক হলো জাঁকালোভাবে উদযাপন হচ্ছে বন্ধু দিবস। বন্ধু দিবসের ইতিহাস নিয়ে বির্তক থাকলেও ইতিহাস মতে জানা যায়, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। হত্যার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। সে সময় বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর থেকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের অবদান আর তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে আমেরিকান কংগ্রেস আইন করে ১৯৩৫ সালে আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে বন্ধুত্ব দিবসের শুরুটা ছিলো ১৯১৯ সালে। হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা Joyce Hall (জয়েস হল)এটি প্রচলন করেন। আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধুরা সবাই একে অন্যেকে কার্ড পাঠাত। বর্তমানে এ দিনটিতে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে নানা রকম উপহার প্রদান করতে দেখা যায়। বিশেষ করে ফুল উপহার দেওয়া হয় সবচেয়ে বেশি। অনেকে আবার মোবাইলে সুন্দর এসএমএস এর মাধ্যমেও শুভেচ্ছা জানায়।
এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ভারতে এই দিবসের প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকের দিকে বাংলাদেশে বন্ধু দিবস পালন করা শুরু হয়। এর পর ইন্টারনেট ও টিভি চ্যানেল গুলোর মাধ্যমে বন্ধু দিবস পালনের প্রসার ঘটে। বর্তমানে বেশ ঘটা করেই বন্ধু দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব বন্ধু দিবসের এই দিনে সামু ব্লগের পক্ষ থেকে দূরের ও কাছের সব বন্ধুকে আমার ভালোবাসা।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ভ্রাতা বন্ধু যে কি সেইটাই বুঝিয়া উঠিতে পারিনাই
আমার কাছে সন্নিকটের মানুষকে বন্ধুর বদলে বন্দুক মনে হয়
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
কোবিদ বলেছেন: বন্ধু হলো্
বন্ধু হবে ? (কবিতা)
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
সুমন কর বলেছেন: বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: বন্ধু দিবসে সামুর সকল বন্ধুদেরকে শুভেচ্ছা
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
ডি মুন বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অন্যায় করে
কোন দুঃখ প্রকাশ নয়
উপকৃত হয়ে
কোন ধন্যবাদ জ্ঞাপন নয়
এ দুয়ের যোগে বন্ধুত্ব
অন্যথা হলে নয়।
ভালবাসা ঘিরে সেথা
অবিচল আস্থার সহবাস
নেই কোন সংশয়;
ভাগ্যবানের ললাটে কেবল জুটে
এমন অন্বয়— --------------------------------------সবাইকে বন্ধুদিবসের শুভেচ্ছা ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
বন্ধু দিবসে সকল বন্ধুদেরকে শুভেচ্ছা