নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের ভয়াল বীভৎস ও বিভীষিকাময় গ্রেনেড হামলায় হত্যাযজ্ঞের ১০ম বাষিকী আজ

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫১



আজ ভয়াল-বিভীষিকাময় ও রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। ইতিহাসের সেই মর্মস্পর্শী বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের এক অতি কলংকময় দিন। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার দশম বার্ষিকী। বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চূড়ান্ত নিদর্শন প্রদর্শিত হয়েছিল এইদিন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করে দেয়ার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে হায়েনা রুপী ‘হাওয়া ভবন’ গং তার হিংস্রতম রুপ দেখিয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের সমাবেশে। অথচ আওয়ামীলীগের সেই সমাবেশ ছিল সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। সভ্যজগতের অকল্পনীয় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয় ২০০৪ সালের এই দিনে। গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। রক্ত-ঝড়ের প্রচন্ডতায় মলিন হয়ে গিয়েছিলো বাংলা ও বাঙালীর মুখ। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ এদিন মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীত। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা এবং নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিছিলপূর্বক সন্ত্রাস-বিরোধী শান্তি সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পরিকল্পিতভাবে মানবতার শত্রু সন্ত্রাসী ঘাতকচক্র আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ আছে। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ছিলেন কুষ্টিয়ার মাহবুব। তিনিই সেদিন নিজের জীবন দিয়ে শেখ হাসিনা কে বাঁচিয়েছিলেন। প্রকৃত অর্থে সুপরিকল্পিত এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রধান দল আওয়ামী লীগ, যারা এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পতাকা বহন করে তাকে নেতৃত্বহীন এবং বিনাশ করে দেওয়া।



২০০৪ সালেল ২১ শে আগস্টের এই গ্রেনেড হামলা কোন বিচ্ছিন ঘটনা ছিল না। এটা ছিল ৭৫ এর ১৫ই আগস্টেরই পরবর্তী রুপ। আওয়ামীলীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে চিরতরে নেতৃত্ব শূন্য করে দেয়াই ছিল এর লক্ষ্য। অবিলম্বে এই গ্রেনেড হামলার পিছনে দায়ী ব্যাক্তিদের খোজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত। তা না হলে স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গী শকুনেরা আবারও হামলা চালাবে। ক্ষতবিক্ষত করবে এদেশের মানচিত্রকে, রক্তরঞ্জিত হবে লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা। সে দিনের সেই গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। ভয়াল-বিভীষিকাময় সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দিনটির কথা মনে হলে আজও বুক কেঁপে ওঠে। তেরটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক নারকীয় তান্ডবের সৃষ্টি হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ। সেদিন গ্রেনেড হামলার প্রচন্ডতায় মুহূর্তেই ওই স্থানটি পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ ও মসত্মিষ্ক ছিন্নভিন্ন অংশ, রক্তাক্ত শরীর, অস্বাভাবিক ও বীভৎস জিহ্বা বের হয়ে যাওয়া, কারও পা নেই, দেহ আছে মস্তিস্কের অধিকাংশ নেই এমন চিত্র আমরা দেখেছি পত্র-পত্রিকাও টেলিভিশনের সংবাদ চিত্রে। বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যৰ মদদ ও সহায়তায় স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুর উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গীগোষ্ঠীর বর্বরতা কতটা যে হায়েনার রূপ নিতে পারে ছবিগুলো না দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হিংস্র সাপদের ভয়াল ছোবলে তথা নৃশংস বর্বরোচিত হামলায় নেতা-কর্মীদের মানবঢাল ও পরম করুনাময় আল্লাহতায়ালার রহমতে প্রাণে বেঁচে গেলেও এই নিষ্ঠুর আক্রমণে শহীদ হন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী।



এ হামলায় আরো আহত হন অগনিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। তাদের অনেকেই আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে আজ ও মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। নয় বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের কষ্টের তীব্রতা এতটুকুও কমেনি। হাত-পাসহ গোটা শরীর ক্ষত-বিক্ষত, জোড়াতালি দেয়া অনেকের শরীর। এখনও সর্বাঙ্গে বিঁধে থাকা গ্রেনেডের তীব্র যন্ত্রণা কাউকে বলে বোঝাতে পারছেন না। ঘুমের ওষুধ খেয়েও রাতে ঘুমাতে পারছেন না তারা। জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকা গ্রেনেড হামলায় আহদের একটাই দাবি, "প্রকাশ্য দিবালোকে যারা এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাল, সেই ঘাতকচক্র ও তাদের মদদদাতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক"। ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুজাল ছিন্ন করে প্রাণে বেঁচে যাওয়া পঙ্গুত্ববরণকারী বেশ কজন নারী নেত্রীর কণ্ঠে ছিল এমনই দাবি।



এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আজও বিচারকার্য সম্পন্ন হয়নি। বীভৎস গ্রেনেড হামলায় হত্যাযজ্ঞের ১০ম বাষির্কীতে আজ দেশবাসীর প্রত্যাশা এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সত্য উৎঘাটন হোক। প্রকৃত পরিকল্পনাকারী, তদানীন্তন ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্র, হত্যাকারীদের কারা আড়ালে করতে চেয়েছিল এসব জানা আজ জাতীয় নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে জরুরি। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রকৃত অপরাধী এবং হুকুমের আসামীদের যথোপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই নির্মম ট্র্যাজেডির সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার হোক, সত্যের আলোয় বেরিয়ে আসুক অপরাধীদের যাবতীয় কর্মকান্ড। এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন অপরাধী সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন শাস্তি যেন অপরাধীরা এড়াতে না পারে।



মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার দশম বার্ষির্কীতে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এই হামলা কারা চালিয়েছে, তা এখন অনেকটাই পরিষ্কার
- এই হামলায় জাতীয় পর্যায়ের কোন নেতা মারা যায়নি বা আহত হয়নি। আইভি রহমানকে হয়তোবা ভুলক্রমে অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে।
- শেখ হাসিনার আশেপাশেই বড় বড় সব নেতারা দাঁড়ানো ছিলেন। আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু তারা হলে গ্রেনেড সেদিকেই ছোঁড়া হত।
- বন্দুকধারীরা এতই বোকা যে শেখ হাসিনা যখন কোন প্রোটেকশন ছাড়া ছিলেন, তখন গুলি করেনি, যখন তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চলে বসলেন, তখনই গুলিবর্ষণ শুরু হয়ে গেল।
- ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও (তার মধ্যে ৭ বছর আওয়ামী আমল) সেই হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এতেই বোঝা যায়, হত্যাকারীদেরকে কারা প্রোটেকশন দিচ্ছে।

রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির জন্য জীবন দানের ইতিহাস আওয়ামী লীগ নতুন করছেনা, সেই নূর হোসেন থেকে শুরু - এখনো চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.