নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি ও আধুনিক ও রোমান্টিক কথাসাহিত্যিক। বাঙলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। আত্মপ্রকাশ উপন্যাস লিখে বাংলা সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যিনি দুশোরও বেশি বই লিখেছিলেন৷ কবিতা ছিল তাঁর প্রথম প্রেম৷ কৃত্তিবাস’ পত্রিকার সম্পাদক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালির মননে তাঁর কবিতা, গল্প, উপন্যাস দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন৷ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার লেখায় "নীললোহিত", "সনাতন পাঠক" ও "নীল উপাধ্যায়" ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা-ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। বাঙলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস দুই বাংলার পাঠকদের কাছে সমান সমাদৃত। তাঁর কবিতার বহু পংক্তি সাধারণ মানুষের মুখস্থ। ১৯৩৪ সালের আজকের দিনে তিনি বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কবির ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলার মাইজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রণ করেন। জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি বড় হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। শৈশবের কিছুটা অংশ মাইজপাড়া গ্রামে পার করলেও বাকিটা সময় কেটেছে কলকাতায়। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ব্যাংকের পিয়নের চেয়েও স্কুল মাস্টারের বেতন ছিল কম। তাই সুনীলের মা কখনোই চাননি তাঁর ছেলে শিক্ষকতা করুক। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হয়েছিলেন তার বাবা। স্কুল, কলেজ বন্ধ হয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। বেসরকারী স্কুলে ছাত্রদের মাইনে থেকেই শিক্ষকদের বেতন হত। স্কুল বন্ধ হওয়ার পর তার বাবা বেকার হয়ে যায় এবং তার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হওয়ায় তিনি তার পরিবার পাঠিয়ে দেন গ্রামের বাড়িতে। তখন তিনি মাইজপাড়ার বীরমোহন বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর তিনি পড়াশুনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান মি. পলেন কলকাতায় এলে সুনীলের সঙ্গে ঘনিষ্ট পরিচয় হয়। সেই সূত্রে মার্কিন মুলুকে গেলেন সুনীল ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে। ডিগ্রী হয়ে গেলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপগ্রন্থাগারিক হিসাবে কিছুদিন কাজ করেন সুনীল। টিউশনি দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। পরে কিছু তিনি আপিসে চাকুরি করেছেন। তারপর থেকে সাংবাদিকতায়। যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায়।
(বাংলাদেশের কিংবদন্তি সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের সাথে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ সালে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, যুগলবন্দী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), হঠাৎ নীরার জন্য, রাত্রির রঁদেভূ, শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, ভানু ও রাণু, মনের মানুষ ইত্যাদি। শিশুসাহিত্যে তিনি "কাকাবাবু-সন্তু" নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অরণ্যের দিনরাত্রি ও প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং লালনকে নিয়ে লেখা ‘মনের মানুষ’ উপন্যাসটির চলচ্চিত্রায়ন করেছেন গৌতম ঘোষ। এছাড়াও তার আরো অনেক লেখা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২), সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫), দ্য হিন্দু লিটারেরি পুরস্কার (২০১১) অর্জন করেছেন তিনি। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান সাহিত্য অকাদেমি ও পশ্চিমবঙ্গ শিশুকিশোর আকাদেমির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কথাসাহিত্যিক ও কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর হৃদযন্ত্রজনিত অসুস্থতার কারণে রাত ২টায় কলকাতার নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর৷ বিংশ শতকের শেষার্ধে আবিভুর্ত প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক ২০১২ খ্রিস্টোব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা-ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। প্রতিথযশা এই কবির ৮০তম জন্মবার্ষিকীেতে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তার নিষ্ঠুর পাশা খেলার সমাপ্তি হয়েছে । শ্রদ্ধাঞ্জলী থাকলো সুনীল দার জন্য । আর আপনাকেও ধন্যবাদ। ফরীদির কন্ঠে তার শেষ আবৃত্তি শুনেছি ...........যদি নির্বাসন দাও .........................
ধন্যবাদ কোবিদ ,দারুন একটি কাজ করার জন্য।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কবিতার প্রতি ভালোবাসাটার শুরু সুনীল থেকে, অস্বীকার করতে পারি না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
'পূর্ব-পশ্চিম' আমার মতে শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক উপন্যাস। একবার পড়ার পর আজও ঘোর কাটে নি।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রথমত বাঙালির তারপর ভারতের.......
শ্রদ্ধাঞ্জলি.......
এবং ধন্যবাদ আপনাকে...... কোবিদ