নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা গদ্য সাহিত্যের কালজয়ী লেখক ও বিশিষ্ট মনীষী মীর মশাররফ হোসেন। তিনি তাঁর বহুমুখী প্রতিভার মাধ্যমে উপন্যাস, নাটক, প্রহসন, কাব্য ও প্রবন্ধ রচনা করে আধুনিক যুগে মুসলিম রচিত বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধ ধারার প্রবর্তন করেন। কাঙ্গাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্য গুরু। সাহিত্যরস সমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনায় তিনি বিশেষ কৃতিত্ব দেখান। কারবালার বিষাদময় ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাস "বিষাদসিন্ধু" তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা। তাঁর সৃষ্টিকর্ম বাংলার মুসলমান সমাজে আধুনিক সাহিত্য ধারার সূচনা করে।
মীর মশাররফ হোসেনের শিক্ষা জীবন শুরু হয় স্বগৃহে মুন্সির কাছে। মুন্সির কাছে তিনি আরবী-ফারসি এবং পাঠশালায় পণ্ডিতের কাছে বাংলা। তাঁর লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে ফরিদপুরের পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। কৃষ্ণনগরের কলেজিয়েট স্কুলে তিনি পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা-পড়া করেন। এর পরে তিনি তাঁর পিতৃবন্ধু আলীপুর আদালতের আমীন নাদির হোসেনের আশ্রয়ে কলকাতায় কালীঘাট স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু লেখাপড়ায় বেশীদূর অগ্রসর হতে পারিননি। তিনি তাই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে নাহিনীপাড়ায় এসে পিতৃসম্পত্তি দেখাশুনা করতে থাকেন। মুসলিম রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের সম্ভান্ত ও ধনাঢ্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ১৬৭তম জন্মবার্ষিকী। বহুমুখী প্রতিভাধর মনীষী, বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম দিনে ফুলেল শুভেচ্ছা
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
কোবিদ বলেছেন:
আমার মনে হয়েছে বড় লেখার পাঠক সীমিত,
কেউ বেশী পড়তে চায়না, অল্প কথায় বেশী
বুঝতে চায়, তাই এই প্রয়াস। ধন্যবাদ আপনাকে
বিষয়টা লক্ষ্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: এত্তো কম লেখায় তো আপনি কোন পোষ্ট শেষ করেন না?
মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম দিনে ফুলেল শুভেচ্ছা