![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে, হাতে পেলাম হারিয়ে যাওয়া ব্লগ চতুর্মাত্রিক এর বারোয়ারী উপন্যাস শঙ্খমিত্রা।
২৮ জন লেখকের ‘শঙ্খমিত্রা’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হয়েছিল চতুর্মাত্রিক ব্লগে। ২০১০ সালে উপন্যাসটির প্রথম পর্ব প্রকাশ হয়। এর এক দশক পর ১৫ সেপ্টেম্বর দুই মলাটে বন্দি হলো ‘শঙ্খমিত্রা’।
উপন্যাসের শুরু থেকে খানিকটা— “চালার ফাঁক গলে ম্লান অথচ দৃশ্যমান এক টুকরা জোছনা শহর আলীর বুকে এসে পড়লে করিমন বাম হাতে শহর আলীর বুক থেকে ম্লান জোছনার টুকরাটি একবার হাতে নেয় তারপর আবার শহর আলীর বুকে ফেলে দেয়। এভাবে বার কয়েক জোছনার টুকরাটি হাতে নিয়ে ফেলে দেয়ার পর করিমন তার বাম হাতের তর্জনী দিয়ে শহর আলীর বুকে ফুল আঁকে, পাতা আঁকে এবং আস্ত একটা চাঁদ আঁকে। শহর আলীর শরীরের শুকনো ঘামের আর বিড়ির কটু গন্ধে করিমনের নেশা নেশা লাগে। সে আরো ঘন হয়ে শহর আলীর বুকের কাছে মুখ লুকিয়ে শোয়। শহর আলী বাম হাতে করিমনকে নিবিড় করে ধরে ডান হাতের বিড়িটাতে দীর্ঘ টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে।”
মজার বিষয় হলো, ১৯২১ সালে বাংলা সাহিত্যে প্রথম বারোয়ারি উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এরপর হাতে গোনা কয়েকটি বারোয়ারি উপন্যাস দেখা যায় এ অঞ্চলে। আর বাংলা সাহিত্যে প্রথম বারোয়ারি উপন্যাস প্রকাশের প্রায় ১০০ বছর পর সর্বোচ্চ সংখ্যক লেখকের যৌথ প্রয়াস ‘শঙ্খমিত্রা’ আলোর মুখ দেখলো।
উপন্যাসটির একেকটি পর্ব একেকজন লিখেছেন। তাদের অনেকেই ছদ্মনামে লিখতেন। যারা লিখেছেন— কৃষ্ণ জলেশ্বর, ত্রেয়া, সাদা কালো এবং ধূসর, সন্যাসী, নীল বালক, ভেবে ভেবে বলি, বাবুল হোসেইন, চিটি, ওয়াহিদ সুজন, লুব্ধক, অভ্র, রংধনু, প্রণব আচার্য্য, অন্তিম, নির্ঝর নৈঃশব্দ্য, কবি, শেখ আমিনুল ইসলাম, দূরদ্বীপবাসিনী, ইলিয়াস কমল, নীল কথন, জ ই মানিক, ইসতিয়াক অয়ন, নম্রতা, জোবায়েদা হুসাইন, শূন্য আরণ্যক, সজীব, ফারুক আব্দুল্লাহ ও বৃতি হক।
©somewhere in net ltd.