নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদুকাটা আর বারেকের টিলা রূপের যুগল মিশেল

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

মাইদুল রাসেল: প্রাচীন বাংলার প্রথম রাজধানী লাউড়ের তীরে মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহ্ােড়র পাদদেশে অবস্থিত সীমান্তনদী যাদুকাটা। নদীটি মেঘালয় পাহাড় ও সীমান্তঘেষা হওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে খুবই আকর্ষনীয়। দুদিকের ঘনবন পাহাড়ের ছায়ায় এখানে আকাশ অথৈই নীলের ক্যানভাস। সকাল সন্ধ্যা স্রোতঢেউহীন এই নদীর মৌনতা পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাসে এক অন্যরকম আবহ তৈরি হয়। নদীর তলদেশে চিক চিক করে বালু আর নূড়িপাথর। প্রতি বছর চৈত্র মাসের নির্দিষ্ট দিনে এই নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সবচেয়ে বড়ো মেলা ‘বারুণি মেলা’। সনাতন ধর্মের লোকজন তীর্থরূপী যাদুকাটায় স্নান করার আশায় দেশ-বিদেশ থেকে এসে জড়ো হন নদী তীরের অদ্বৈতের নবগ্রামে। এছাড়াও বছরের বারো মাস এখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনায় থাকে মুখরিত। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় থেকে যাদুকাটা নদীর উৎপত্তি। দিনে প্রায় ১০-১৫ হাজার বারকি শ্রমিকদের শ্রমঘামে মুখর থাকে যাদুকাটা। পুরোবছর নদীতে বারকি শ্রমিকরা বালু ও পাথর আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। যাদুকাটা নদীর আদি নাম রেণুকা। শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মায়ের ইচ্ছানুসারে এই নদীতে পৃথিবীর সপ্তবারির জল একত্রিত হওয়ার পর থেকে এর নামহয় ‘পনাতীর্থ’। সনাতন ধর্মীয়দের বিশ্বাস এখানে দোল পূর্ণিমার রাতে সপ্তবারির জল একত্রিত হয়। আর এই বিশ্বাসেই সারা দেশের পূণ্যার্থীরা এখানে এসে বছরের নির্দিষ্ট দিনে মিলিত হন স্নানের আশায়। যাদুকাটা নদীর নামকরণের পিছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায় নদী তীরবর্তী কোনো গ্রামের এক বধূ মাছ মনে করে নিজের পুত্র (যাদু) কে কেটে ফেলেছিলেন। আর তখন থেকেই এর নামকরণ হয় যাদুকাটা। এখন এ নামেই দেশ-বিদেশে নদীটি পরিচিত। সুন্দর এ নদী দেখে তৃষ্ণা মেটাতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন। যাদুকাটার উৎপত্তিস্থলের অদূরেই রয়েছে একটি ছোটো টিলা। ‘বারেকের টিলা’ নামক এই টিলাটিও নদীটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুন। নদী ঘেষে খাড়া ও ঢালু পথ বেয়ে উঠতে হয় এই সবুজময় টিলায়। এই টিলার নিচে রূপের নদী যাদুকাটা। এখানে প্রতি বছর বহু পর্যটক ঘুরতে আসেলও কোন থাকার ব্যাবস্থা না থাকায় তারা কষ্টকরে ফিরে আসেন। যাদুকাটা নদী ও বারেকের টিলা ঘুরতে আসা সিলেটের পর্যটক কামরুল আলম বলেন, এত সুন্দর পাহাড় নদীর সম্মিলন বাংলাদেশের খুব কম জায়গায় আছে। বারেকের টিলাটিও মনোমুগ্ধকর। তবে নূন্যতম পর্যটন অবকাঠামো না থাকায় আগতরা হতাশ হয়ে পড়েন। এখানে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পাবে। তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক বলেন, বারেকের টিলা ও টেকেরঘাটকে কেন্দ্র করে পর্যটনস্পট গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও আমলাতন্ত্রিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। এই জঠিলতা দূর করে অবিলম্বে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা উচিত।
সাংবাদিক, সুনামগঞ্জ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.