নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার ১০ হাজার চিঠি

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

আনিকা জীনাত[/sb: ভালোবাসা দিবস বছরে শুধু একবারই আসে। এই একটি দিনকে বিশেষ দিন হিসেবে মনে রাখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। এদিক দিয়ে বিল ব্রেসনান একটু ব্যতিক্রম। নিজের স্ত্রীর জন্য তিনি প্রতিদিনই বিশেষ কিছু করেন। তাই তো বছরের প্রতিটি দিনই প্রবীণ এই দম্পতির কাছে একটি বিশেষ দিনের মর্যাদা পায়।

আমেরিকার নিউ জার্সির বিল ব্রেসনান ও তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিন সুখী দম্পতি বলতে যা বোঝায় ঠিক তা-ই। বিয়ের আগে থেকে আজ পর্যন্ত বিল গত ৪০ বছরে প্রায় ১০ হাজার চিঠি লিখেছেন প্রিয়তমা স্ত্রী ক্রিস্টিনের জন্য। এই জুটির পরিচয় হয়েছিল হাই স্কুলে। সেটা ১৯৭৪ সালের কথা। বিলের ভাষায় ‘ক্রিস্টিন এতই সুন্দরী ছিল যে প্রথম দিন ক্লাসে তাকে দেখা মাত্র আমি রীতিমতো বিদ্যুতের শক খেয়েছিলাম।’ কিছুদিনের মধ্যেই ক্রিস্টিনের সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। তখন থেকেই চিঠি দেওয়া শুরু। ১৯৭৭ সালে বিয়ের পরও বিল প্রায় প্রতি রাতেই স্ত্রী ক্রিস্টিনকে একটি করে চিঠি লিখেছেন। বিলের সব চিঠির শেষে লেখা ‘ভালোবাসি’ আর এর পাশে দেওয়া আছে ইনফিনিটি বা অমরত্বের চিহ্ন। প্রতিটি চিঠিই তাঁরা খামে ভরে ফাইল আকারে সংরক্ষণ করেছেন। চিঠিগুলো সেখানে সাজানো আছে তারিখ অনুযায়ী।

যখনই তাঁদের কোনো বিশেষ দিনের কথা মনে পড়ে, তখনই সেদিনের তারিখে লেখা চিঠিটি বের করে দেখেন। চিঠি পড়ে তাঁরা যেন অতীতকে সামনে নিয়ে আসেন। বিল ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করলেন এভাবে—‘১৯৮২ সালের কোনো একদিনে আমরা কোথায় খাবার খেয়েছি বা সিনেমা দেখেছি এবং তখন আমাদের অনুভূতি কী ছিল এই সাধারণ বিষয়গুলোই চিঠিতে লেখা আছে।’

প্রশিক্ষণের জন্য বিল যেখানেই যেতেন, সেখান থেকেই ক্রিস্টিনকে মজার মজার কার্ড, পোস্ট কার্ড আর চিঠি পাঠাতেন। শিকাগো থেকে কার্ড পাঠিয়েছেন, তেমনি লস অ্যাঞ্জেলেস থেকেও চিরকুট পাঠিয়েছেন আবার কখনো হয়তো বোস্টনের রেস্তোরাঁ থেকে ন্যাপকিনে লেখা কিছু বাক্যও পাঠিয়েছেন।

৪০ বছরের বিবাহিত জীবনে কখনো ঝগড়া হয়নি তাঁদের। বড়জোর মতবিরোধ হয়েছে। কিন্তু তাই বলে তর্কে জড়াননি। নয়া জমানার প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভালোবাসা দেখে ব্যথিত হন বিল। ভালোবাসা আরো টেকসই করতে তাঁদের কিছু পরামর্শও দিয়েছেন—‘সম্পর্ককে মজবুত রাখতে দুজনেরই উচিত প্রতিটি দিন একে ঝালাই করে নেওয়া। কখনো ঝগড়া করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। বরং মতবিরোধ হলে নতুন একটি দিন শুরু করার আগেই তা মিটিয়ে ফেলা উচিত।’ প্রায়ই দেখি তরুণ-তরুণীরা রেস্তোরাঁয় বসে একে অপরের দিকে না তাকিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। ভালোবাসার মুহূর্তগুলো আসলে খুব মূল্যবান। সবার তা উপভোগ করা উচিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.