নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

You think you know me ? Think again..

কথিত লেখক

আমার সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নাই। সর্বদা একা থাকতে পছন্দ না করলেও একাকীত্ব ভালো লাগে। বাস্তবতাবাদী মানুষ আমি। নিজের কল্পনাকে বাস্তবে রচনা করতে ভালোবাসি। যদিও লেখক হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই আমার মাঝে, তবুও লেখার চেষ্টা করি। মনের কথাগুলো লেখাগুলো লেখার ভাষায় প্রকাশ করি। আর তাই আমি কথিত লেখক । www.facebook.com/k.lekhok

কথিত লেখক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হয়রানি এবং আমরা

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০২

আজকের লেখাটা একটু ব্যাতিক্রম। আজকের বিষয়টাও একটু ব্যাতিক্রম। সাধারনত এই বিষয়টা নিয়ে কাউকে কোন সামাজিক মাধ্যমে লিখতে আমি দেখিনি।
বিষয়টা হলো রাস্তার পাশের পুলিশ চেকপোস্ট এর হয়রানি।
আমি নারারায়নগঞ্জ এর বাসিন্দা। আমার এলাকায় আসতে একটা পুলিশ চেকপোস্ট পার হতে হয়। সবসময় একটা জিনিস খেয়াল করি, এই রাস্তায় যে সব গাড়ি চেক করা হয় সেটা মুলত ৩ চাকার গাড়ি। মুলত এদের প্রধান সন্দেহর বিষয়।
অন্যান্য যানবাহন যেমন বাস, মিনিবাস, ট্যাঁম্পু, ট্রাক, লেগুনা কখনোই চেক করা তো দূরে থাক, সিগন্যাল দেয়া হয়না।
আমার প্রশ্ন, যতসব চোরাকারবারি কি এই ইজিবাইক এবং রিক্সা দিয়েই হয় ??? কে দেবে আমার প্রশ্নের জবাব ???
মূল ঘটনায় আসি...
তারিখটা ঠিক মনে নাই, আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে বাসায় আসছিলাম রিক্সায় চেপে। যথারীতি আমাদের চেক করানোর জন্য ইশারা দেয়া হলো। আমি ও আমার বন্ধুরা সবাই রিক্সা থেকে নামলাম। এমন সময় এক ভদ্রলোক তার মেয়েকে নিয়ে হাঁসপাতাল থেকে আসছিলেন। ওনাদেরও চেক করার জন্য থামানো হল। মেয়ে মানুষ দেখে উনারা আমাদের চেক করা ছেরে দিয়ে ওই ভদ্রলোক আর তার মেয়েকে জেরা শুরু করলেন। এক পর্যায়ে ওনারা জিজ্ঞেস করলেন, এই মেয়ে সম্পর্কে আপনার কি হয় ?
জবাবে ভদ্রলোক বললেন; ও আমার মেয়ে,
আমরা পাশে দারিয়ে ব্যাপারটা দেখছিলাম। ভদ্রলোক তার মেয়ের পরিচয় দেয়ার পরও পুলিশ সার্জেন্ট ওই মেয়েকে আবার প্রস্ন করল, এই লোক আপনার কি হয়?
এইবার ভদ্রলোক খেপে গেলেন। তিনি বললেন; আমি বললাম, ও আমার মেয়ে হয়, তারপরও আপনারা আবার একই কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন ??
পুলিশ সার্জেন্ট তখন রেগে গিয়ে বলল, উনি যদি আপনার মেয়ে হয় তাহলে প্রমান দেখান।
এই কথা শুনার পর আমার ও আমার বন্ধুদের মেজাজ গরম হয়ে গেল। আমরা তখন ওই পুলিশ সার্জেন্টের উপর চরাও হলাম। এক পর্যায়ে দেখলাম, ওই ভদ্রলোকের চোখ বেয়ে গরগরিয়ে পানি ঝরছে। শান্তনা দেয়ার ভাষা খুজে পেলাম না।
তারপর আমরা ওই এলাকার বন্ধুদের খবর দিলাম। ওরা চলে আসলো। মোটামুটি ভালই গণ্ডগোল চলল।
***
আমার কথা হল, যে দেশে বাবা আর মেয়ের সম্পর্ককে প্রমাণিত করার জন্য সার্টিফিকেট নিয়ে চলতে হবে, সেই দেশের মেয়েরা আজ কেন এত নির্যাতিত। আসলে আমরা প্রতিবাদ করতে জানি, তবে সেটা মানসিক।
আজ আমার সামনে যে ঘটনা ঘটলো সেটা নিয়ে কোন মিডিয়ায় লেখা হয়নি,
হয়নি কোন তোলপাড়। শুধু হয়েছে এক মেয়ের সামনে এক বাবার অসম্মান, আর হয়েছে এক বাবার সামনে হাজারো বাবার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। কোথায় আমাদের দেশ, কোথায় আমাদের সমাজ, আর কোথায় আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ।
কে দেবে আমার এই প্রশ্নের জবাব ???

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩০

বিজন রয় বলেছেন: ভাল বিষয়।
+++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.