নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

You think you know me ? Think again..

কথিত লেখক

আমার সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নাই। সর্বদা একা থাকতে পছন্দ না করলেও একাকীত্ব ভালো লাগে। বাস্তবতাবাদী মানুষ আমি। নিজের কল্পনাকে বাস্তবে রচনা করতে ভালোবাসি। যদিও লেখক হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই আমার মাঝে, তবুও লেখার চেষ্টা করি। মনের কথাগুলো লেখাগুলো লেখার ভাষায় প্রকাশ করি। আর তাই আমি কথিত লেখক । www.facebook.com/k.lekhok

কথিত লেখক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠাস

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৬

ডাক্তার কইলো, ডিম, হাড়, হাড়ের মজ্জা, লাল মাংস, মাছের মাথা, চিংড়ি মাছ, কাকড়া, অক্টোপাস, মাখন, স্ট্রিট ফুড, দুধের তৈরি খাবার, ছানা,, ডালডা, মাছের ডিম, ফার্মের মুরগী এইসব খাইলে হার্টের সমস্যা বাড়ে, স্ট্রোক করার ঝুকি বাড়ায় বহুগুন।

তাই ভাবলাম কিছু বিকল্প খাবার খুজে নেই।

আজ থেকে না খাইয়া থাকুম। সকালে একটা ওরস্যালাইন, রাতে দুই গ্লাস ওর স্যালাইন। এতে তো সমস্যা নাই, কিছুক্ষণ পর মনে পড়ল,,,,
ওপস, তাতে আবার রক্তে লবনের মাত্রা বেড়ে যাবে,

শাক সবজি খামু, এইগুলা সাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্ত ঢেড়স, পুইশাক, আলু, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, পালং শাক, প্রচুর গ্যাস তৈরি করে, তার থেকে হতে পারে আলসার, এইগুলাও বাদ।

বাকি থাকে পুটি মাছ, ইলিশমাছ, মাগুর মাছ, এইগুলি এলার্জির কারখানা।

ডিম, সয়াবিন তেল, ডালডা, মাখন, হার্ট এটাকের ঝুকি বাড়ায়

এই সব বাদ, মিষ্টি খাবার খামু।
সাদা চিনি ক্ষতিকর, সোডিয়াম, সালফেট মিক্স থাকে, তাছারা বেশি মিষ্টি খেয়ে পেটে কৃমি হলে তখন আরেক বিপদ। জনসম্মুখে পশ্চাদদেশে আঙ্গুল চালনা করতে হবে। তাছাড়া এগুড় কই পামু এই আকালের দিনে? মিষ্টি খাবারও বাদ।

ঝাল চলবে? ডাক্তারদের মন্তব্য, ঝাল মানেই পাকস্থলীর ক্ষতি।
ঝাল মরিচ, কাচা ঝাল, বোম্বাই মরিচ, গোল মরিচ, কোন মরিচই সাস্থ্যের জন্য ভালো না।

ফল খাই,ফলে তো সমস্যা নাই।
কলা, গাছ থেকে নামার আগে থেকে মেডিসিন দেয়া শুরু, পেটে গেলে গ্যাসের খনি, অন্যান্য ফল, কয় বেলা খাইবেন, তাছাড়া ফরমালিন ছাড়া ফল নাই একটাও। শুধু মাত্র কাঠাল বাদে, সেটাও আবার শিক মারা, তার উপ্রে শুধু ২/৩ মাস পাওয়া যায়।
আপেল খাবেন, বিচি পেটে গেলে মৃত্যু ঝুকি আছে, আঙ্গুর খাবেন, টক্সিক আপনার পেটের অবস্থা খারাপ করে দিবে।

একমাত্র পিওর আছে কচু শাক, তবুও ভেজাল, খাইলেই গলা চুলকায়। তার উপ্রে কচুর লতি আর ছরা গ্যাস বাড়ায়, সেইটা আরেক সমস্যা।

রুটি খান, দোকান থেকে রুটি কিনে খাব, বেকারিতে কিভাবে রুটি বানায় তা দেখলে জীবদ্দশায় আর রুটি খাবেন না।
বাসায় বানিয়ে খাবেন, খান, রুটির তৈরির উপাদান হল আটা বা ময়দা, সেগুলি প্রস্তুত হয় গম বা ভুট্টা থেকে, অনেক কার্বোহাইড্রেট থাকে যার কারনে মানুষ অনেক মোটা হয়, স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ে।

বাদ রইল ক্যামিকেল। আপনার কি মনে হয়। কেমিক্যাল কি খায় নাকি। ভাইরে, চিনি উৎপাদন প্রণালী দেখুন, সব বুঝবেন, তাছাড়া, বিভিন্ন জেলী, স্যাকারিন, ফুড কালার, প্রিজারভেটিব,খাবার সোডা, এই সবই ক্যামিকেল।

তবে সবকিছু বাদ। এক্কেবারে সব বাদ দিয়া জাস্ট বিড়ি খান, সেইটাতে নিকোটিন ছাড়া আর কোনো সমস্যা নাই। হায়াত শেষ হইলে একদিন ঠাস কইরা মইরা যাইবেন

অন্তত ধুকে ধুকে মরার চেয়ে ঠাস করে মইরা যাওয়া ভালা।

বিঃদ্রঃ ছবিটা দৃষ্টি আকর্ষণ এর জন্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.