নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীন বাংলা

জানিনা

মোঃ আতাউর রাহমান সুজন

জীবন কে নতুন করে শুরু করার চেস্টা করতেছি

মোঃ আতাউর রাহমান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই নেত্রীর উদ্দেশ্যে স্বামী-স্ত্রীদের খোলা চিঠি

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

আমার এই লেখাটি ১ম প্রকাশ হয়েছে এখানে-----


আমরা বিজয়ের ৪৩টি বসন্ত পার করে নতুন আরেকটি বসন্তে পর্দাপন করলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য একটি বসন্তও আমাদের জন্য সুখকর হয়নি। কারন স্বাধীনতার মূলমন্ত্র আমরা আজও লালন করতে পারিনি। পারিনি এই দেশের জন্য প্রাণ দেয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণ করতে। পারিনি যে সব মুক্তিযোদ্ধা এখনো বেঁচে আছে তারা যে স্বপ্ন নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছিল সেটা পূরণ করতে। যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিল সেটাও আমরা এখনো গড়তে পারিনি।

সোনার বাংলায় কেউ স্বাধীনতার নামে বসন্তকে চৈত্র করেছে। কেউ বা স্বেচ্ছাচারিতা করেছে। কিন্তু তাতে কি হয়েছে ? চৈত্রের খরতাপ উপেক্ষা করে, স্বেচ্ছাচারিতা মারিয়ে আমরা ঠিকই কিন্তু এগোচ্ছি।

দেশ মাতৃকার স্বার্থে, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমরা দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ হয়েছি ও কাজ করে যাচ্ছি।

মায়ের আঁচল ছেড়ে, বাবার স্নেহ ফেলে, বোনের ভালবাসা উপেক্ষা করে আরেকটি নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা ছড়িয়ে পড়েছি দেশের প্রতিটি প্রান্তে। রাতদিন পরিশ্রম করছি নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশী ত্যাগ স্বীকার করছে, ধৈর্য্য ধারন করছে আমাদের মত স্বামী-স্ত্রী’রা।

কারন পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর বন্ধন স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন। সেই বন্ধন অনড়, অবিচল। কিন্তু সম্প্রতি সেই বন্ধন হুমকির মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হরতাল-অবরোধ, আমাদের কর্মময়ী স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন শীতল করে তুলছে।

স্বাধীনবাংলা২৪ ডটকমকে ঢাকার একটি বেসরকারী র্ফামের কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছু দিন হলো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে বাড়ী যাই না। কিন্তু ওতো বুঝে না প্রতিনিয়ত ফোন দিয়ে বাড়ী আসতে বলে। ওকে বলেছি পথে বের হলে পুড়তে হতে পারে। ও বড়ো অভিমানী, অভিমান করে আছে।

কথা হয় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী সাথি আকতারের সাথে, স্বাধীনবাংলা২৪ ডটকমকে লাজুক চোখে বলেন, ও খুব দুষ্টু যতক্ষণ চোখের সামনে থাকি ততক্ষণ ভালবাসে- চোখের আড়ালে চলে গেলে ভালবাসায় ভাটা পড়ে। কথা বলতে বলতে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ফোনে দৈনিক কয়েকবার কথা হয় কিন্তু আসতে পারছে না।


আসবে কি করে? আসার পথে তো পেট্রোল বোমা পড়বে। তার চেয়ে দূরেই থাকুক সেই ভাল। আমি ওকে হারাতে চাই না। সাথির মত আরো অনেক সাথি এই সরকারী কলেজে আছে। যাদের ভালবাসা রাজনৈতিক অবক্ষয়ের গহব্বরে নিমজ্জিত হচ্ছে।

ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শেষ সেমিস্টারের ছাত্রী অনি বলেন, ভালবাসে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলাম। ভেবেছিলাম এই সেমিস্টারটা শেষ হলে বাসায় বলবো। কিন্তু দেশের এই অবস্থাতে বলতে ভয় পাই। আব্বুর বিজনেসটা ভাল যাচ্ছে না। সব সময় মেজাজ গরম থাকে। বলতে ভয় লাগে রেগে গিয়ে যদি মেনে না নেয়। খুব ভয়ে আছি । কি করব বুঝতেছি না ??

আজ কোটি জনতার হৃদয়ের নেত্রীদ্বয়ের কাছে প্রতি বর্গকিলোমিটার জুড়ে বসত করা স্বামী-স্ত্রীদের পক্ষ থেকে বলি, আপনারাও নারী আপনারাও বুঝেন সংসার ধর্ম। পাশাপাশি বৃহত্তর সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের বলি আপনারাও পুরুষ আপনারাও বুঝেন সংসার জীবন।

সুতারাং দেশমাতৃকার স্বার্থে, অর্থনৈতিক মুক্তির স্বার্থে, সমৃদ্ধ স্বদেশ গড়ার প্রত্যাশায় আপনারা অবক্ষয় রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে এসে মানুষের কল্যাণে, জাতির কল্যাণে রাজনীতি চর্চা করুন। জয় হোক গণমানুষের, স্বামী- স্ত্রীর ভালবাসার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.