![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের কোন একজন বিখ্যাত সাংবাদিক (ফয়েজ আহমেদ অথবা এবিএম মুসা) তার একটা আর্টিকেলে অনেক আগে লিখেছিলেন আমাদের দেশের মানুষ তিন প্রকার; শুনলেওয়ালা, দেখনেওয়ালা ও বলনেওয়ালা। বলনেওয়ালা বলে যাবেন, শুনলেওয়ালা শুনে যাবেন, দেখনেওয়ালা দেখে যাবেন। এক্ষেত্রে শুনলেওয়ালা বা দেখনেওয়ালার বলার কোন অধিকার নাই, যা বলার শুধু বলনেওয়ালাই বলবেন। আজ বাংলাদেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবিদের কথা শুনলে তার সেই বিখ্যাত কথা মনে পড়ে যায়। এখন আমরা সবাই হয় শুনলেওয়ালা নাহলে দেখনেওয়ালা, বলার অধিকার আমাদের নেই। ওনারা মিথ্যা বললেও আমাদের মেনে যেতে হবে, ওনারা ভুল বললেও আমাদের শুনে যেতে হবে। আবার আমাদের মধ্যে কিছু পাপিষ্ঠ আছেন যারা এই সকল জ্ঞানপাপীদের সমর্থন করেন।
গতকাল চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে তেমনি একজন নব্য বুদ্ধিজীবি ড. তুহিন মালিক দেশের বর্তমান সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এমন কিছু মন্তব্য উপস্থাপন করেন যা শুনে নিজেদেরকে নর্দমার কিট বলে মনে হচ্ছে। আমি এখানে নিজেদেরকে নর্দমার কিট বলছি কারন আমরা শুনলেওয়ালারা এই কথাগুলো শুনেও কোন প্রতিবাদ করব না, আর ওনারা এই সুযোগে আরো অনেক কিছু বলতে থাকবেন।
এখন দেখা যাক উনি কি বলেছেন, তিনি বলেছেন, "যে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে আমরা পাকিস্তান অর্জন করলাম ২৩ বছর না যেতেই জনগণ তাদের বর্জন করেছিল। আজকে যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করলাম ৪২ বছরের ব্যবধানে জনগণ আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে গেছেন"। ওনার উপরোক্ত মন্তব্যের আলোকে আমাদের প্রশ্ন; তখনকার প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট কি এক? ১৯৭১ সালে ২৩ বছরের পাকিস্থানি শাসন শোষনের বেড়াজাল ভেঙ্গে আমরা বাংলাদেশ নামক স্বদেশ পয়েছি, এখন আপনারা স্বাধীনতার ৪২ বছর পর কোন রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন? আবারও পাকিস্থান নাকি আফগানিস্থান? আর পাকিস্থান রাষ্ট্র সৃষ্টি আমাদের কোন অর্জন ছিলনা বরং ছিল আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত।
উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন "শুধু জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী বলা হয়, অথচ এবারের একদলীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের একজন বড় রাজাকারকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছে। এর আগে রাজাকারদের আওয়ামী লীগ এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছে। বিডিআরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাহলে তো সুপিরিয়র রেসপনসিবিলি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ওপর বর্তায়। অনেকেই কথায় কথায় বলেন, জামায়াত টাকা দিয়ে ইউএন, কংগ্রেসম্যান, বিদেশী আইনজীবী সবাইকে কিনে ফেলেছে। এখন প্রশ্ন হলো, জামায়াতের যদি বিদেশীদের কেনার মত এতই টাকা থেকে থাকে তাহলে দেশে যারা সামান্য রেলের টাকা চুরি করে তাদের কিনলেই তো পারে। জামায়াত এত বোকা কেন? তাছাড়া এত টাকা থাকলে শিবিরের ছেলেরা টিউশনি করে কেন?"
উপরোক্ত মন্তব্যের আলোকে মহামান্য বুদ্ধিজীবি মহ্দয় আমাদের প্রশ্ন, আপনাকে কে বলেছে যে শুধু মাত্র জামায়াতকেই যুদ্ধাপরাধী বলা হয়? তাহলে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিসের বিচার হচ্ছে? আওয়ামী লীগের একজনের বিরুদ্ধে কিসের তদন্ত হচ্ছে? আর জামায়েতের টাকা নিয়ে আপনার এতো সন্দেহ কেন? আপনি কি ইসলামী ব্যাঙ্ক, ইবনে সিনা সহ জামায়াত পরিচালিত প্রতিষ্ঠান গুলোর কথা জানেন না? নাকি জেনেও না জানার ভান করছেন? তা অবস্য আপনি করতেই পারেন কারন, এইসব অভিনয়ে আপনারা অত্যান্ত পটু।
পরিশেষে বলব এখনই এই সকল জ্ঞানপাপীদের বিরুদ্ধে রুখে না দাড়ালে ওনারা যে কোন মুহুর্তে বলে বসতে পারেন জামায়াত ইসলামই এই দেশকে স্বাধীন করেছে, ওরাই হলো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাকি সবাই রাজাকার
©somewhere in net ltd.