![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুগের সাথে তালমিলিয়ে পৃথিবী আধুনিকতার দিকে অগ্রসর হলেও আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উল্টোপথে হাটতেছে দিন দিন, আমাদের দেশের রাজনীতি আধুনিকতার পরিবর্তে হচেছ আদিম। দেশের রাজনীতি যেখানে বন্ধুপ্রতিম হবার কথা সেখানে উল্টো শত্রুতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃীত্ব, প্রেম ভালবাস , সৌজন্য বোধ, শ্রদ্ধ, শিষ্টচার এই সব দিন দিন হরিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতি হতে, দিন দিন আমাদের দেশের রাজনীতিকে গ্রাস করতেছে হিংসা, উষ্কানী , বিদ্বেষ, গৃণা, বেয়াদবী, হত্যা, খুন, মারামারি ।
দেখাযাক আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আধুনিকতার পরিবর্তে আদিম যুগের রীতিতে উল্টো পথে ধাবিত হবার কারণ কি?
১) র্ধমীয় গোরামী,
২) র্ধমের নামে কোমলমতি শিশু ও সহজ সরল অশিক্ষিত , অর্ধশিক্ষিত গ্রামের মানুষগুলোকে ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা।
৩) পবিত্র র্ধমের সাথে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা।
৪) রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে র্ধমকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার।
৫) র্ধমের আপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি।
৬) অশিক্ষিত নেতৃীত্ব
৭) শিক্ষা প্রতিষ্টানের দরজা বন্ধ করে নিজের ইচ্ছ পচন্দমত ভাবে শিক্ষাপ্রদানের ব্যাবস্থা।
৮) র্ধমীয় শিক্ষার আড়ালে রাজনৈতিক শিক্ষা প্রধান।
৯) দেশের প্রতি আনুগত্য ও দেশপ্রেম, মুক্তি যোদ্ধা, স্বাধীনতা সর্ম্পকিত পাঠদান হতে র্ধমীয় শিক্ষাপ্রতিষ্টান গুলোর শিক্ষাত্রীদের বিরত রাখা।
১০) র্ধমীয় নৈতিক শিক্ষার পরিবর্তে রাজনৈতিক উষ্কানী মুলক শিক্ষা প্রদান।
কারা আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশক হিংসাত্বক করেতুলতেছে তার কিছু প্রমাণ ও উদাহরণ।
লক্ষকরে দেখুন, হেফাজত ইসলামের ( কওমী মাদ্রাসাগুলোতে) শিক্ষা ব্যবস্থা ওপাঠদান প্রদ্ধতি কেমন, তারা নিজেদের ইচ্ছামত পচন্দ অনুযায়ী কওমী মাদ্রাসাগুলোতে পাঠদান করেন, তাদের শিক্ষাব্যাবস্থা সাধারণ ইসলামী আধুনিক মাদ্রসাগুলোর সাথে মিলেনা, আরো লক্ষ করুন, কওমীমাদ্রসাগুলোতে সরকার কোন রকম হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই, তারা ইচ্ছামত কওমীমাদ্রগুলো দরজা বন্ধ করে শিক্ষকার্যক্রম চালায়।
কিন্তু বি,এন,পি ও আওয়ামীলীগের বহু নেতা নেত্রীর , সমর্তক , কর্মীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্টিত ও পরিচালিত বহু শিক্ষা প্রতিষ্টান আছে, এর মাঝে আছে অনেক বড় বড় নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, কিন্তু কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্টানে আওয়ামীলীগ নিজেদের ইচ্ছামত, হেফাজত ইসলামের কওমী মাদ্রাসাগুলোর মত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে?
বি,এন,পি ও আওয়ামীলীগের নেতা নেত্রী, কর্মী, সমর্তকদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্টিত ও পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্টান গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সরকারী কারিকুলাম ও সিলেবাস অনুসারে , যখন যে দলক্ষতায় আসুক এই সব শিক্ষাকার্যক্রম ও শিক্ষা কারিকুলাম একই ও অভিন্নথাকে,
কিন্তু জামাত শিবির ও হেফাজত ইসলামে দ্বারা প্রতিষ্টিত শিক্ষাপ্রতিষ্টান গুলোতে তাদের নিজের ইচ্ছ ও পচন্দমত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আলো লক্ষ করে দেখবেন, জামাত শিবির ও হেফাজত ইসলামের দ্বারা পরিচালিত ও প্রতিষ্টিত শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে শিক্ষক , ছাত্র ছাত্রী সাবই তাদের সমর্তক ও জামাত শিবির হেফাজত ইসলামে কর্মী।
ইসলামী ব্যাংকের সব র্কমচারী, কর্মকর্তা, অফিসার, সবাই জামাত শিবিরের নেতাকর্মী, কিন্তু বি,এন,পি নেতা র্মোশেদ খানের প্রতিষ্টিত ও তার নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ( আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের) সব কর্মকর্তা কর্মচারী,অফিসার বি,এন,পি নয়, এখানে চাকুরী করেন বি,এন,পি আওয়ামীলীগ সবাই, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের মত বহু ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান রয়েছে যার প্রতিষ্টাতা ও মালিক আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী, সমর্তক, কিন্তু সেই সব প্রতিষ্টান গুলোর কর্মচারী কমর্তকতারা ইসলামী ব্যাংকের মত সবাই একক ভাবে জামাত শিবিরের নেতা, কর্মী, সমর্তক দ্বারা পরিচালিত নয়।
এবার আরো কিছু গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় লক্ষ করুন।
১) ১৯৭৫সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে খুন হবার পরও আওয়ামীলীগ কত দিন হরতার করেছে? কতটি গাড়ী ভাংচুর করেছে? কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিল একজন প্রধান মন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্থপতি, ওএকটি বড় দলের নেতা।
২) জিয়াউর রহমান খুন হবার পর বি, এন,পি কত দিন হরতাল করেছে? কতটি গাড়ী ভাংচুর করেছে?
৩) হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৯১ সালে গ্রাফতার হবার পর জাতীয়পাটি কত দিন হরতাল করেছে বা কতটি গাড়ী ভাংচুর করেছে?
৪) ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আইবি রহমানকে দিন দুপুরে রাস্তায় প্রকাশ্যে বোমা মেরে খুন করার পর আওয়ামীলীগ কত দিন হরতাল করেছিল?
৫) গত ২০০১ সালে বি,এন,পি জামাত ক্ষমতায় আসার পর খুন হয় জাতীয় সংসদের তৎকালীন দুই জন নির্বাচিত সদস্য আহসান উল্লাহ মাষ্টার ও শাহ এ, এম, এইচ কিবরিয়া, তখন আওয়ামীলীগ কত দিন হরতাল করেছিল বা কতটি গাড়ী ভাংচুর করেছিল।
কিন্তু রাজাকার ও নরঘাতক যুদ্ধ অপরাধী খুনী সাঈদী, গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, মুজাহিদের গ্রাফতার ও আর্ন্তজাতিক যুদ্ধ আপরাধ ট্রাইবুনাল আদালতের রায় অনুসারে গ্রাফতার ও বিচার শুরু হাবার পর ও সর্বশেষ কাদের মোল্লার ফাসীঁ হবার পর বি,এন,পির মদদে দেশে যে ভাবে খুন, হত্যা, লুটতরাজ, আগুন দিয়ে গাড়ী জ্বালিয়ে দেওয়া, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, রাষ্ট্রীয় সরকারী প্রতিষ্টান গুলোতে হামলা, আগুন দেওয়া, রেললাইনের স্লিপার উপড়ে ফেলা , যে ভাব নাশতাকা আর নৈরাজ্য চালাচ্ছে তাতে প্রমাণিত হয় দেশের বর্তমান হিংস্র ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেছে কারা।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
লাতি বলেছেন: আপনি বলুন কি মুল কারণ ?
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখে মুখের ভাষা খারাপ হচ্ছে ভাই।
৪৫বিঘা জমিতে টমেটো লাগানো হয়েছে তিন লাখ টাকা খরচ করে। এখন দাম কত ২০০টাকা মন, টাকা উঠবে?
একটা মেডিসিন কম্পানি চালায় ৮০জন কর্মচারি মাসে বেতন দিতে হয় ৬৪০০০০টাকা , এমাসে সেল ৭০০০০০টাকা ঔষুধের দাম কোথায়।
কাপড়ের দোকানে কর্মচারি ১০জন তাদের বেতন ৮০০০০টাকা সেল ৬০০০০টাকা তাদেরকে বেতন দিব কোথাথেকে?
এখন আপনি বলেন এই অপরাজনীতির শিকার কারা? তারা কামড়া কামড়ি করছে আর আমাদের পেটে লাথি পড়ছে তাই নয় কি?
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
লাতি বলেছেন: আপনার মনের কষ্ট বুঝলাম। সমবেদনা রইল। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: অনেক কারণ দেয়া হয়েছে, কিন্তু মুল কারণটি নেই; ফলে, আপনিও পশ্চাৎমুখী।
আপনি আধুনিক, কিন্টু প্রয়োজনীয় আসল নলেজ নেই আপনার।