নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইন্টানেটে সরাসরি বাংলা লিখতে পারতেছি!

লাতি

ভালবাসি সামহোয়ার ব্লগ

লাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়ার জন্য করুণা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সরাসরি ডাকে সাড়া দেয়নি মঞ্জুরুল আলম।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১৬



কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যায় মানুষের খুবই আড়ালে যা জনসম্মূখে তেমন একটি প্রকাশ পায়না আবার প্রকাশ পেলেও তার গুরুত্ব ঢাকা পড়ে যায় অন্যখবরের অন্তরালে। গত ২৯ শে ডিসেম্বর ২০১৩, এমন একটি মজার ঘটনা ঘটে যায় আমাদের রাজনৈতিক মাঠে, গত ২৯ শে ডিসেম্বর বি,এন,পি নেত্রী ডেড লাইন ঘোষণা করেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এটাই বুঝি চুড়ান্ত ফাইট আর চুড়ান্ত আল্টিমেটাম, না বাস্তবে কিছুই হলনা, কথায় আছে যত গর্জে তত বর্ষেনা, তারাই একটি বাস্তব দৃশ্য নিজের চোখে উপভোগ করলাম।



এবার দেখাযাক মজার ঘটনাটি কি ছিল।

বর্তমানে বিরুধী দল বি,এন,পি নেতা নেত্রীর মাঝে সর্বোচ্চ সম্মানিত উচ্চ পদে অধিষ্টিত আছেন (খালেদা জিয়া বাদে) চট্টগ্রামের বর্তমান মেয়র মঞ্জুরুল আলম, তিনি খালেদা জিয়ার করুণায় বাংলাদেশের দ্ধিতীয় সর্বোচ্চ বড় শহরের মেয়র হবার গৌরভ আর্জন করেন,ক্ষমতা আর সম্মানের দিক বিবেচনায় অতিগুরুত্বপূর্ণ আর সম্মানিত পদ হল এই চট্টগ্রামের মেয়দ পদটি, তিনি একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সম্মান আর মর্যাদা ভোগ করেন নিয়ম আর আইন আনুসারে,

মজার ব্যাপার হলো এই মঞ্জুরুল আলম চট্টগ্রামের মেয়র পদে বি,এন,পির মনোনয়ন পাবার মাত্র কয়েক সেকেন্ড পূর্বমুর্হুতেও ছিল একজন আওয়ামীলীগের নিন্ম স্তরের নেতা, সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন সাথে ছিল ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব, মহিউদ্দীনের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী মেয়রের দায়ীত্ব পালন করতেন এই মঞ্জুরুর আলম, মহিউদ্দীন কোথায় গেলে দায়ীত্ব দিয়ে যেতেন তখনকার ওর্য়াড কমিশনার আর আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলমকে। বাস্তবে মঞ্জরুল আলম একজন আওয়ামীলীগ, তার পরিবারের সকল সদস্য সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়ীত, ইতি মধ্যে মঞ্জুরুল আলমের আপন ভাইয়ের ছেলে আওয়ামীলীগ হতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড হতে সংসদ সদস্য হয়েছেন।



যখন চট্টগ্রামের মেয়র নিবার্চন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছিল তখন চট্টগ্রামের বি,এন,পির মাঝে ছিল চরম দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দাল, এমন চরম কোন্দল মুর্হুতে বি,এন,পি নেত্রী বি,এন,পি দলীয় কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে ঝগড়া আর কোন্দর এড়াতে বুদ্ধি করে দলের বাইরে হতে মনোনয়ন দেন আওয়ামীলীগ নেতা ও তখনকার ওর্য়াড কমিশনার মঞ্জুর আলমকে, ব্যাক্তি হিসাবে মঞ্জুল আলম একজন সৎ ও খুবই ভাল ,



বুদ্ধিমান মঞ্জুরুল আলম একহুর্মুত দেরী করেনি খালাদা জিয়ার টোপ গিলতে, কারণ বিনা পয়সা বিনা পরিশ্রমে নিন্মস্তরের নেতা হয়ে রেডিমেড মেয়র হওয়া চারটিখানি কথা নয়।



মঞ্জুরুল আলমকে বি,এন,পি হতে মনোনয়ন দেওয়ায় একদিকে যেমন মিটে গিয়েছিল তখন বি,এন,পির অভ্যান্তরীণ কোন্দল অন্যদিকে মঞ্জুরুল আলম আওয়ামীলীগের নেতা হবার সুবাবে আওয়ামীলীগের কিছু ভোট টানে পেরেছে বি,এন,পি। বিষয়টা বি, এন,পি জন্য দারুণ বুদ্ধিমানের কাজ। খুব সহজে পরাজিত করতে পেরেছিল একাদিক বারের নির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দীনকে।



মজার ব্যাপার ছিল, মঞ্জুল আলম ছিল তখন আওয়ামীলীগের ওর্য়াড পর্যায়ের একজন ক্ষুদ্র নেতা, একজন ক্ষুদ্র নেতার পেচনে দৌড়াতে দেখা গেছে একাদিক বারের মন্ত্রী ও বি,এন,পি হেভী ওয়েড নেতা ধনকুবের মোর্শেদ খান, বি,এন,পি কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য ও একাদিক বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নোমান, আমির খচরু, সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী, বড় বড় নেতারা, ব্যপারটা তখন খুবই হাস্যকর আর উপভোগ্য ছিল।



হায় বি, এন,পি বুঝতে পারেনি । লোভ দেখিয়ে পরের ঘরের গোয়ালের গরুকে মজার মজার ঘাস খাওয়ানো যাই মাত্র , কিন্তু পরের গোয়ালের গরু দিয়ে জামিতে হালা দেওয়া যায় না।



হি হি হি, মঞ্জুরুল আলম সুযোগ নিয়েছেন মেয়র পদের জন্য, কিন্তু বর্তমান চলমান আন্দোলনে বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি মেয়র মঞ্জুরুল আলম। শুধু তায় নয়, ২৯ শে ডিসেম্বর খালেদা জিয়া সরাসরি মঞ্জুরুল আলমকে ফোন করেন কর্মীদের নিয়ে মাটে নামতে, কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সরাসরি ডাকে সাড়া দেয়নি মঞ্জুরুল আলম। বি,এন,পি চলমান অন্দোলনে কোথাও একটি মিছিল, মিটিং, সভা, সেমিনারে যোগ দেয়নি চট্টগ্রামের বি,এন,পি হতে নির্বাচিত মেয়র। এই নিয়ে বি,এন,পি কর্মীরা মারাত্বক ক্ষুব্দ মঞ্জুরুল আলমের উপর।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৫৫

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: মঞ্জুরুল আলমের কি দোষ?
আমরা সকলেই জানি যে,আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না,আদর্শে জন্য করে না।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে ।
সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক।
এরা সকলেই মুলতঃ এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। কি সেই আদর্শ ? সেটা হলো এরা সবাই নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে অক্ষম।এই স্বার্থটা কি?সেটা ক্ষমতায় যাওয়া।দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি বলে জণগন নামক গাধাঁর দলের সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাওয়া। একবার ক্ষমতা পেলে তা ছাড়তে না চাওয়া।
প্রয়োজনে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের সকল সম্পদ-স্বার্থ বিকিয়ে দেবার খত দেয়ার অংগীকার করা।
সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
সেই পরিণতি হতে পারে জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধ।হতে পারে "শান্তির জন্য যুদ্ধ"নামক বিমান হামলা।হতে পারে জাতীয় সরকারের নামে পা চাটা দালালদের শাসনের আড়ালে উপনিবেশিক শাসন।হতে পারে সন্ত্রাস দমনের নামে অহরহ ড্রোন হামলা।হতে পারে গৃহযুদ্ধ,অতঃপর জাতিসংঘ হস্তক্ষেপের নামে মার্কিন শাসন।আরো কত কি হতে পারে যা আমাদের ধারনার বাইরে।
Click This Link

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দলছুট চোরচোট্টা নিয়ে আদর্শহীন সুবিধাবাদিদের দল বিএনপি। নেতারা রাস্তায় না নেমে

পালিয়ে থাকে। কর্মিসমর্থকরাও একই চরিত্র।
তাদের সব আন্দোলন জামাতি সন্ত্রাস নির্ভর, সুধু এই কারনেই সরকার যতেচ্ছ বলপ্রয়োগ

করেও তেমন সমালচিত হচ্ছে না।
দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।

'ক্রিকেট ষড়যন্ত্র' নিয়ে আমার এই লেখাটিও পড়ুন
Click This Link

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দলছুট চোরচোট্টা নিয়ে আদর্শহীন সুবিধাবাদিদের দল বিএনপি। নেতারা রাস্তায় না নেমে

পালিয়ে থাকে। কর্মিসমর্থকরাও একই চরিত্র।
তাদের সব আন্দোলন জামাতি সন্ত্রাস নির্ভর, সুধু এই কারনেই সরকার যতেচ্ছ বলপ্রয়োগ করেও তেমন সমালচিত হচ্ছে না।
দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।

'ক্রিকেট ষড়যন্ত্র' নিয়ে আমার এই লেখাটিও পড়ুন
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.