নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসা শুধু ভালবাসা দ্বিতীয় খণ্ড- প্রথম পর্ব।

১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

ভালবাসা শুধু ভালবাসা
দ্বিতীয় খণ্ড- প্রথম পর্ব



বাবুগো সিঁদুরের দাম অনেক
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।

বাতাসীর গা ঘেঁষে কারটা এসে দাঁড়িয়ে গেল। কার থেকে নেমে এলো এক তরুণ যুবক। চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা। তরুণটি বলে ওঠে- “এই বাতাসী! তুই আমাদের ঘরে আসিস না কেন?”
“শুধু শুধু কেন আসব বাবু।”
“শুধু শুধু কেন আসবি, কাজ করতে আসবি। আমার বাড়িতে অনেক কাজ। যেমন ধর- রান্না করা, বাসন মাজা, কাপড় কাচা, ঘর মোছা সব কাজই তুই করবি। মাসের শেষে মাইনেও পাবি।”

বাতাসীর জীবনে বেঁচে থাকার জন্য টাকার দরকার। পাঁচ-পাঁচটা ছেলেমেয়ে নিয়ে বাতাসীর সংসার। তার সোয়ামী কিছুই করে না। দিনরাত মদ খায় আর বেহুঁশ হয়ে থাকে। বাতাসী ভাবে পরের বাড়িতে কাজ তাকে করতেই হবে। তা নইলে ছেলেমেয়েগুলো না খেয়ে মারা যাবে।
বাতাসী বলে, “তাহলে কবে থেকে কাজে লাগব বাবু?”

“কাল থেকেই আসবি তাহলে। কিন্তু সকাল সকাল….” বলেই বাবু গাড়িতে চেপে বসলেন। বাতাসী বাবুর দিকে চেয়ে থাকে।

রাত তখন এগারোটা। অনেক রাত করে ওর মরদটা ঘরে ঢুকলো। ছেলেমেয়েরা ঘুমিয়ে পড়েছে। বাতাসীর চোখে ঘুম নেই। সে জেগে আছে। মরদটা আজ নেশা করে নি তবে কার সাথে মারপিট করে এসেছে। গায়ে রক্তের দাগ।

বাতাসী তুই আমাকে ভুল বুঝিস না। আজ থেকে আমি আর মদ ছোঁব না। আমি ভাল হব বাতাসী। এই তোর গা ছুঁয়ে বলছি।

বিড়বিড় করে আপন মনে বকতে থাকে। আর বলে- “শালা চোলাই মদের দোকানদার! বলে কিনা আমায় কিনা ধারে মাল দেবে না। শালার লাশ আমি গাছে তুলে রাখবো।”

বাতাসী চুপ করে থাকে। ওর কথা শুনে যায়।

জানিস বাতাসী, এর পর থেকে আর কোন দিন আমি মদ খাব না। কেউ আমাকে আঙুল দেখিয়ে বলতে পারবে না আমি একটা মাতাল। ওর দোকানে আর আমি কাউকে যেতে দেব না। মদ খেতে যারা আসবে তাদের সবার আমি ইঁট মেরে মাথা ফাটাবো। সবাইকে নিয়ে তৈরি করবো আমি একটা নেশামুক্ত সমাজ। যেখানে কেউ আর মদ খাবে না।

গভীর আবেশে বাতাসী ওকে জড়িয়ে ধরে- বলে “তুমি কত ভালো গো। আর কোনদিন তুমি মদ খাবে না?”

না বাতাসী, এরপর থেকে আমি ভালো হয়ে বাঁচবো, বনে কাঠ কাটবো, সেই কাঠ বাজারে বিক্রি করে অনেক পয়সা আসবে। আমরা সুখেই থাকবো।
- আমিও বাবুর বাড়িতে কাল থেকে কাজে লেগে যাবো। ওদের এঁটো বাসন মাজবো, কাপড় কাচবো। মাসের শেষে মাইনে পাবো।
- খবরদার বাতাসী, আমি থাকতে তুকে বাবুর বাড়িতে বাসন মাজতে দেবো না।
ওরা মানুষ লয়রে বাতাসী, ভদ্রর পোশাক ওরা পরে বঠে, কিন্তু ওদের দিলটা আছে জানোয়ারের পারা। আমাদের বউগুলোর দিকে ওরা জানোয়ারের পারা তাকায়। তুই সাফ বলে দিবি-
- কি বলবো?
- বলবি- বাবু গো তুদের দেওয়া মাস-মাইনের চেয়ে সিঁদুরের দাম অনেক।
এখন অনেক রাত। বাতাসীর উঠোনে চাঁদের আলোক ঝরছে। চাঁদের আলোয় আঁধার মুছে যায়। তারপর অনেক রাতে দুইজনে একসাথে শুয়ে পড়ে।



(চলবে)

আগামী দিনে ভালবাসা শুধু ভালবাসা দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হবে। আক্রমনাত্মক বা কড়া সমালোচনামূলক মন্তব্য করবেন না। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার জন্য সময়ের অভাবে অথবা প্রয়োজনবোধে লেখক প্রতিটি মন্তব্যের প্রত্যুত্তর নাও দিতে পারেন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বলে তো একদাম ঝাক্কাস!!!!

১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ। সাথেই থাকবেন।
জয়গুরু!

২| ১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বলে তো একদাম ঝাক্কাস!!!!

১৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ। সাথেই থাকবেন।
জয়গুরু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.