নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা আমার গাঁয়ের কবিতা (অষ্টম, নবম ও দশম পর্ব)

০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৬

গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (অষ্টম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী




এই গাঁ আমার মাটি মা আমার
গাঁয়ের শীতল ছায়া,
গাঁয়ের মাটিতে স্নেহের পরশ
মমতা মাখানো মায়া


এ গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি
সোনার ফসল ফলে,
মরাল মরালী করে জলকেলি
কাজল দিঘির জলে।


এ গাঁয়ের পাশে অজয় তটিনী
আপন বেগেতে ধায়,
ওপারের থেকে তরী এসে ভিড়ে
অজয়ের কিনারায়।


আমার গাঁয়ের রাঙাপথ বাঁকে
সারি সারি তালগাছ,
বটের তলায় মেতেছে খেলায়
ছোট খুকি করে নাচ।


ছোট বাড়ি ঘর আছে পর পর
অলি গলি সরু পথে,
গাঁয়ের বধুরা কাঁখেতে কলসী
জল আনে নদী হতে।


প্রতি ঘরে ঘরে জ্বলে উঠে দীপ
সাঁঝের প্রদীপ জ্বলে,
গাঁয়ের বধূরা প্রদীপ জ্বালায়
উঠোনে তুলসীতলে।

গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (নবম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আমার ছোট গাঁয়ের সীমানায়,
পাড়ার ছেলে রোজই খেলে শীতল তরুর ছায়।


আমার গাঁয়ে রাঙা মাটির পথে,
গোরুর গাড়ি চলে সারি সারি সেই সকাল হতে।


আমার গাঁয়ে অজয় নদীর বাঁকে,
নদীর চরে খেলা করে শালিকেরা ঝাঁকে ঝাঁকে।


আমার গাঁয়ে বধূরা কলসী কাঁখে,
জল নিয়ে চলে নিজঘরে গাছে গাছে পাখি ডাকে।


আমার গাঁয়ে বিকাল হলে পরে,
পশ্চিমের পানে সূর্যি ডোবে অজয় নদীর চরে।


আমার গাঁয়ে সাঁঝের বেলা হলে,
মন্দিরে বাজে কাঁসরঘণ্টা ঘরে ঘরে দীপ জ্বলে।


আমার গাঁয়ে কাজল দিঘির ধারে,
আঁধার হলে জোনাকি জ্বলে নিমগাছে সারে সারে।


রাতের আকাশে চাঁদ ওঠে দূরে,
পথের বাঁকে শেয়াল ডাকে রাতে হুক্কা হুয়া সুরে।


আমার গাঁয়ে রাত কাটে ভোর হয়,
প্রভাত পাখি উঠলো ডাকি পূবে নতুন সূর্যোদয়।

গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (দশম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গাঁয়ে আছে ছায়া মমতা ও মায়া
আছে মাটির কুটির,
গ্রাম সীমানায় নদী বহে যায়
স্নিগ্ধ অজয়ের তীর।


ছায়া সুশীতল দিঘি ভরা জল
রাজহাঁস খেলা করে,
কাঁখেতে কলসী গাঁয়ের বধূরা
জল নিয়ে চলে ঘরে।


গাঁয়ের রাখাল বাঁশি বাজে তার
বাজে রাখালিয়া সুর,
সেই সুর ভাসে আকাশে বাতাসে
দূর হতে বহু দূর।


গাঁয়ে মাঝখানে মুদির দোকানে
চাল ডাল বেচে হরি,
ভক্তদাস গায় খঞ্জনী বাজায়
হাতে একতারা ধরি।


পড়ে আসে বেলা সবে করে খেলা
বাগদি পাড়ার মাঠে,
পশ্চিমের পানে দিবা অবসানে
সূর্যি ডোবে নদীঘাটে।


আঁধার নেমেছে বটের তলায়
নেমেছে আঁধার কালো,
রাঙাপথ বাঁকে বটতরু শাখে
জোনাকিরা দেয় আলো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর। পাঠে মুগ্ধ হলাম।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অত্যন্ত মুদ্ধকর লেখা ।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.