নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার যুগ শ্রেষ্ঠ যুগ (নবী স. ও সাহাবাদের যুগ) এরপর যারা তাদের নিকটবর্তী (তাবেঈর যুগ) এরপর যারা তাদের নিকটবর্তী (তাবে-তাবেঈরযুগ) এবং পরবর্তী যুগে মিথ্যার উদয় হবে।- সহীহ বূখারী খণ্ড ৩, বই ৪৮ হদীস নং ৮১৯। এই হাদিসের আলোকে আমরা বলতে পারি আমরা ফেৎনা বা মিথ্যার যুগেই রয়েছি। এখন প্রশ্ন জনাব জাকির নায়েক কোন যুগের আলেম? অবশ্যই বর্তমান অর্থাৎ মিথ্যার যুগের। আবার প্রশ্ন তিনি কোন যুগের আলেমগনের ভুল ধরে বেড়াচ্ছেন? সেই সব যুগের আলেমগনের যারা উক্ত হাদিস অনুযায়ী শ্রেষ্ঠ যুগের কাছাকাছি আলেম। কারণ চার মাজহাবের চার ইমামই এলেম হাছিল করেছেন সাহাবি, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন (রাঃ) গনের নিকট থেকে সরাসরি। অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমদের থেকে জ্ঞ্যন হাছেল করে কোরআন হাদিস বিশ্লেষন করেই তাঁরা মাসয়ালা মাসায়েল প্রণয়ন করেছেন। আর যখন কেউ এই যুগে এসে নিজে নিজে কোরআন হাদিস পড়ে ব্যাখ্যা করে পূর্বোক্ত অধিকতর শ্রেষ্ঠ যুগের আলেমগনের ভুল ধরেন, বুঝতে হবে গোমরাহীর পথে কারা বেশী অগ্রগামী।
আবার আরো একটি হাদিস আছে। রসুল ( সাঃ ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা এই ইলমকে (কুরআন-সুন্নাহ সম্বলিত জ্ঞানকে) মানুষের অন্তর থেকে টেনে বের করে তুলে নিবেন না। বরং আলেমদেরকে তুলে নিবেন। অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে আলেমদের মৃত্যু হতে থাকবে। কিন্তু সমাজে শিক্ষার সুব্যবস্থা, পরিবেশ, চাহিদা ও মূল্যায়ন না থাকার কারণে এ শূন্যস্থান পূরণ হবে না। এক সময় যখন সমাজে বিজ্ঞ আলেম বিদ্যমান থাকবে না, তখন অজ্ঞ ব্যক্তিদেরকেই সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। (যথা- রাষ্ট্র প্রধান, বিচারক, মুফতি, ইমাম প্রমুখ।) এবং তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চাওয়া হবে। তারা জ্ঞান বহির্ভূত বিবেক বিবর্জিত যা তা সমাধান দিয়ে নিজেরাও ভ্রষ্ট হবে এবং অন্যদেরকেও ভ্রষ্ট করবে।
যুগ শ্রেষ্ঠ চার ইমাম অনেক আগেই গত হয়েছেন। তাদের রেখে যাওয়া জ্ঞ্যান যারা চর্চার মাধ্যমে জিইয়ে রেখেছেন, তারাও অনেকে চলে গেছেন, ফলশ্রুতিতে তাঁদের শুণ্যস্থান পূরণ হচ্ছে কাদিয়ানি, ওহাবি, মওদুদি, নায়েকী-দের মতো আলেমদের দ্বারা। কারণ তারাই ধীরে ধীরে ব্যপৃত হচ্ছেন মানুষের মাঝে। যুগ শ্রেষ্ঠ আলেমগনের ভুরি ভুরি ভুল তারা বর্তমান যমানায় এসে নতুন করে কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা তৈরী করে বের করছেন। সুতরাং উপরোক্ত হাদিসেরই বাস্তবায়ন চলছে।
সেই কারণে যদি সমগ্র বিশ্বের মুসলমানও নায়েকী পন্থী হয়ে যায় বর্তমানে, তবে অবাক হবার কিছু নেই। কারণ মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই বারংবার ভুল করেছে, আল্লাহকে ভুলেছে, আল্লাহ বারংবার নবী রাসুল (আঃ) প্রেরণের মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। যেহেতু রাসুলে করিম (সাঃ) এঁর আগমন ঘটে গেছে, সেহেতু নতুন কোন নবী রাসুলের আর আগমন ঘটবে না। মানুষ ধীরে ধীরে গোমরাহীর চরম সীমায় পৌছে গেলেই আল্লাহ তায়ালা ক্বেয়ামত ঘটাবেন। সুতরাং আমরা সেই ক্রান্তিকালই বুঝি অতিক্রম করছি ....
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
আহলান বলেছেন: উন্নত হওয়ার দেখছেন কি .... আরো বহুত বাকি ...
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
" মানুষ ধীরে ধীরে গোমরাহীর চরম সীমায় পৌছে গেলেই আল্লাহ তায়ালা ক্বেয়ামত ঘটাবেন। সুতরাং আমরা সেই ক্রান্তিকালই বুঝি অতিক্রম করছি .... "
-এটম বোমা পড়ার পরও মানুষ আগের যেকোন সময় থেকে ভালো জীবন যাপন করছেন, সামনে আরো ভালো দিন আসছে; মানুষ অতীতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান লোক থেকেও কোটীগুণে বুদ্ধিমান এখন।