নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক ডাকাতি বা জুতা ডাকাতি ... কোনটাই জায়েজ নয়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩১



সদ্য পলাতক স্বৈরাচার এবং তার ল্যাসপেন্সারগন যে ক্ষণে ক্ষণে সুযোগের সন্ধানে ভ্যান্ডালিজম চালাবে, সেটা আমরা সবাই কম বেশী জানি। বিরোধী দলে থাকতে তাদের লাগাতার হরতাল, ভাংচুর, সরকারী কর্মকর্তাকে দিগম্বর করা, গান পাউডার দিয়ে আগুন সন্ত্রাস - এই সব অপকর্মে সিদ্ধহস্ত আওয়ামিলীগ ডঃ ইউনুসকে অসফল করার ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত, সাথে বিএনপির কিছু ভদ্রবেশী কুলাঙ্গার, যারা বিগত সময়ে আওয়ামিলীগের সুবিধা ভোগী, তারাও বিষয়টা উপভোগ করবেন, এটাই স্বাভাবিক।

এই লুটপাট, অর্থ পাচার, দূর্ণীতির ৫জি গতি গুম খুন এসবই বিগত স্বৈরাচার সরকার অহর্নিশ করে গেছে দেশের আপামর জন সাধারণের উপর। তারই ধারাবাহিকতায় এদেশের শান্তি প্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন যখন গাজা-র সমর্থনে নো স্কুল নো ডিউটি পালনের উদ্যোগ নেয়, তখনই সেই পরাশক্তিকে শয়তানে লাড়া দিলো। আর শয়তানের লাঠি এই স্বৈরাচারের দোসর গুলা সুযোগ মতো কিছু বিদেশী কোম্পানীর আউট লেটে হামলা করে লুট পাট করলো আর এই লুটপাটের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে আরো বেগবানরুপে উপস্থাপনের জন্য শয়তানের আই টি স্পেশালিস্টগন এ আই দিয়ে কিছু দাড়ি টুপি মাথায় দেয়া একটি চীত্র বানিয়ে প্রচার করা শুরু করে দিলে। তার মানে হলো এ সবই তাদের পূর্ব পরিকল্পিত। বাটা বা কেএফসি তে হামলা থেকে শুরু করে এ আই দিয়ে ছবি ক্রিয়েট করে পোষ্ট দেয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ জার্নিটাই একটি বিশেষ মহলের বিশেষ উদ্দেশ্য চারিতার্থ করার জন্যেই। আর তা হলো এই দেশের মানুষ যেনো গুড গভর্নেন্স এর সুবিধা ভোগ না করতে পারে। এই দেশের জনগনকে যেনো বিশেষ কোন দেশের দাসত্ব করার মধ্যেই সিমা বদ্ধ থাকতে হয়। তারা যেনো উন্নত বিশ্বে মতো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। স্যামসাঙ এর মতো বড় বড় বিনিয়োগকারী যেভাবে এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলো, সেই ধারাবাহিকতা বজায়ে রাখতেই তাদের এই সব প্রয়াস।

তবে প্রকৃত ইসলাম এর শিক্ষা কিন্তু এই সব লুটতরাজ ডাকাতি বা জুলুম অত্যাচার নয়।** অমুসলিমদের উপাসনালয় রক্ষায় ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.) একটি রাজকীয় ফরমান জারি করেছিলেন। বায়তুল মুকাদ্দাসের খ্রিস্টানদের জন্য তিনি একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এটি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তিনামা, যা মুসলমানদের আমির, আল্লাহর বান্দা ওমরের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত হলো। এই চুক্তিনামা ইলিয়াবাসী তথা জেরুজালেমে বসবাসরত খ্রিস্টানদের জীবন ও সম্পদ, গির্জা-ক্রুশ ও খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য। সুতরাং চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাদের উপাসনালয়ে অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। তাদের গির্জা ধ্বংস করা যাবে না এবং কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করা যাবে না। তাদের নিয়ন্ত্রিত কোনো বস্তু, তাদের ধর্মীয় প্রতীক ক্রুশ ও তাদের সম্পদের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন বা হামলা করা যাবে না। (তারিখুর রাসুল ওয়াল মুলুক, তারিখে তাবারি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৯)

** হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, একজন প্রতিবেশীর উপর আরেকজন প্রতিবেশীর কী হক রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন, إِنِ اسْتَقْرَضَكَ أَقْرَضْتَهُ وَإِنِ اسْتَعَانَكَ أَعَنْتَهُ وَإِنْ مَرِضَ عُدْتَهُ وَإِنِ احْتَاجَ أَعْطَيْتَهُ وَإِنِ افْتَقَرَ عُدْتَ عَلَيْهِ وَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ هَنَّيْتَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ مُصِيبَةٌ عَزَّيْتَهُ وَإِذَا مَاتَ اتَّبَعَتَ جَنَازَتَهُ وَلَا تَسْتَطِيلُ عَلَيْهِ بِالْبِنَاءِ فَتَحْجُبَ عَنْهُ الرِّيحَ إِلَّا بِإِذْنِهِ وَلَا تُؤْذِيهِ بِرِيحِ قِدْرِكَ إِلَّا أَنْ تَغْرِفَ لَهُ وَإِنِ اشْتَرَيْتَ فَاكِهَةً فَأَهْدِ لَهُ
অর্থাৎ যদি সে তোমার কাছে ঋণ চায় তাহলে ঋণ দেবে, যদি তোমার সহযোগিতা চায় তাহলে তাকে সহযোগিতা করবে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার খোঁজখবর নেবে, তার কোনোকিছুর প্রয়োজন হলে তাকে তা দেবে, সে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়লে তার খোঁজখবর নেবে, যখন সে ভালো কিছু লাভ করবে তখন তাকে শুভেচ্ছা জানাবে, যদি সে বিপদে পড়ে তাহলে সান্ত্বনা দেবে, মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় শরিক হবে, তার অনুমতি ছাড়া তোমার ঘর এত উঁচু করবে না যে তার ঘরে বাতাস ঢুকতে পারে না, কোনো ভালো খাবার রান্না করলে তাকে এর ঘ্রাণ ছড়িয়ে কষ্ট দেবে না, তবে যদি তার ঘরেও সে খাবার থেকে কিছু পৌঁছে দাও। যখন কোনো ফল কিনে তোমার বাড়িতে নেবে তখন হাদিয়াস্বরূপ তাকে সেখান থেকে কিছু দেবে।(খারায়েতী, তবারানী, আবুশ শায়খ- ফাতহুল বারী খণ্ড. ১০, পৃ. ৫১৯, কিতাবুল আদব, বাব-৩১)

অমুসলিমদের প্রতি সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক বজায়ে রাখা, তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ এর ক্ষেত্রে এর চেয়ে বড় নির্দেশনা আর কি হতে পারে? ইজরায়েল ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ঘর বাড়ি জালিয়ে মানুষ মেরে ফেলছে বলে আপনি আপনার দেশের বহুজাতিক কোম্পানির আউটলেটে হামলা করে লুটপাট করবেন, ইসলামের কোথায় আপনাকে এই অধিকার দিয়েছে? বরং এসবের কারণে আপনাকেই আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে হবে। ভারতেও তো কত মুসলমান নির্যাতনের স্বিকার হচ্ছে, কই কোন ভারতীয় কোম্পানীর কোন আউটলেট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তো কেউ হামলা করে নাই। করলেও সেটা অবশ্যই অন্যায় হবে। এই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া একটিদল সর্বদাই ছুতা খুজে এই সব ভ্যান্ডালিজম চালাবে। আমাদের তাই সতর্ক থাকতে হবে।

** ছবি ও তথ্য সমুহ- আন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১১

ক্লোন রাফা বলেছেন: রাজাকারি বয়ানের কোনো পরিবর্তন হয়নি ! স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও একই ঐতিহ্য বজায় রেখেছে আলবদর , আলশামস আর রাজাকারের আওলাদরা! মাত্র ৭/৮ মাসে প্রমাণ হয়ে গেছে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই! জঙ্গিদের আর দেশদ্রোহি স্বাধীনতা বিরোধীদের ঠেঙ্গানো ছাড়া কন্ট্রোল করা অসম্ভব।
এই পোষ্ট আমাদের সেই বাঁশের কেল্লার কথা মনে করিয়ে দেয়। পুরো পশ্চিম পাকিস্তান এর জারজরা এই ভাষায় কথ বলতো‼️

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মালে গণিমত তো জায়েজ আছে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১২

রাসেল বলেছেন: দয়া করে এদের চোর বাটপার লুটেরা দল হিসাবে বিবেচনা করুন। ইসলাম কখনোই এদের সমর্থন করে না।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সহিংসতা বা ভাঙচুর নয়—শান্তি, সহানুভূতি ও সচেতনতা দিয়েই প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব। সমাজকে স্থিতিশীল রাখতে আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে অরাজকতা করছে, জামাত শিবির। শেখ হাসিনা নেই বলে, আজ তারা উজাইছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.