![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সাধারন মানুষ,বাংলাদেশের একজন অসচেতন নাগরিক ।
কুরআন পাণ্ডুলিপি ব্রুকলিন মিউজিয়াম।
ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কুরআন শরিফ। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬২৩৬ টি। কুরআন মূলত আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ গ্রন্থ । কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে অবশ্য অমিলও কম নয়। ইসলামী ভাষা অনুযায়ী কুরআন অপরিবর্তনীয় ।ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ১১ শতকের উত্তর আফ্রিকার কুরআন.
কুরআন শরিফ হল আল্লাহর বানী বা বক্তব্য যা নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়। কুরআন বিশ্ব মানব সম্প্রাদয়ের জন্য একটি মু'জিযা বা অলৌকিক গ্রন্থ যা মানব জাতির পথনির্দেশক। কুরআনে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
ইরানের মাশহাদে কুরআন যা আলী কৃর্তক লিখিত
কুরআনের নাযিল হওয়া প্রথম চার আয়াত ৯৬তম সূরা আলাক
কুরআনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের সংখ্যা প্রায় ৬২৩৬ প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম রয়েছে। নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়েছে তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত কোনো শব্দকেই নাম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া এমন নামও পাওয়া যায় যা সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয়নি যেমনঃ সূরা ফাতিহা ফাতিহা শব্দটি সূরার কোনো স্থানে নেই। সূরাগুলোর একটি সুনির্দিষ্ট সজ্জা রয়েছে। সজ্জাকরণ তাদের অবতরণের ধারাবাহিকতা অনুসারে করা হয়নি। বরং দেখা যায় অনেকটা বড় থেকে ছোট সূরা অনুযায়ী সাজানো অবশ্য এটিও পুরোপুরি সঠিক নয় প্রকৃত সজ্জার কারণ কারও জানা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বড় সূরাও ছোট সূরার পরে এসেছে। তবে একটি সূরা বা তার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকতার সাথেই অবতীর্ণ হয়েছিলো বলে ধারনা করা হয়।
মানজিল
মানজিল হচ্ছে কুরআনের প্রথম সূরা ফাতিহা ব্যাতীত অন্য সূরাগুলো নিয়ে করা একটি শ্রেণী। হিজ্ব মুফাস্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করা। এতে ৭ টি মানজিলের মাধ্যমে সবগুলো সূরাকে একসাথে করা হয়েছে। মানজিলগুলো হচ্ছেঃ
মানজিল ১ = ৩ টি সূরা, যথা, ২—৪
মানজিল ২ = ৫ টি সূরা, যথা, ৫—৯
মানজিল ৩ = ৭ টি সূরা, যথা, ১০—১৬
মানজিল ৪ = ৯ টি সূরা, যথা, ১৭—২৫
মানজিল ৫ = ১১ টি সূরা, যথা, ২৬—৩৬
মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরা, যথা, ৩৭—৪৯
মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরা, যথা, ৫০—১১৪
কুরআনে মোট ৩০ টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে। এই পারাগুলোর মাধ্যমে ১১৪ টি সূরা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সূরাগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও কুরআনের পারাগুলো প্রায় সমান আকারের। কুরআন মুখস্থকরণের ক্ষেত্রে সাধারণতম পারা অনুযায়ী শিক্ষা করানো হয়। যেসকল স্থানে সমগ্র কুরআন পাঠের আয়োজন করা হয় সেখানেও এই পারা অনুযায়ী করা হয়।
কুরআনে বিভিন্ন বিষয়ক আয়াত
আদেশমুলক আয়াত= ১০০০
নিষেধমুলক আয়াত= ১০০০
ভীতিমুলক আয়াত= ১০০০
প্রতিজ্ঞামুলক আয়াত= ১০০০
দৃষ্টান্তমুলক আয়াত=১০০০
ইতিহাসমুলক আয়াত= ১০০০
প্রশংসামুলক আয়াত= ২৫০
পুর্ণতামুলক আয়াত=১০০
উদ্দেশ্যমুলক আয়াত=২৫০
অন্যান্য= ৬৬
মোট আয়াত সংখ্যা= ৬৬৬৬
কুরআনের বিভিন্ন সুরা এবং আয়াতের খেতাব
সুরা রহমান = কুরানের মুকুট
সুরা বাক্বারা = কুর'আনের সিংহাসন
সুরা ইয়াসিন = কুর'আনের মন
সুরা ফাতেহা = কুর'আনের জননী
কুরআনে ১১৪টি সূরা রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
১। আল ফাতিহা (সূচনা)
২। আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩। আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪। আন নিসা (নারী)
৫। আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬। আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭। আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮। আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯। আত-তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
১০। ইউনুস (নবী ইউনুস),
১১। হুদ (নবী হুদ),
১২। ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
১৩। আর রা'দ (বজ্রপাত),
১৪। ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
১৫। সূরা আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬। আন নাহল (মৌমাছি),
১৭। বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি),
১৮। আল কাহফ (গুহা),
১৯। মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা))
২০।ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১। আল আম্বিয়া (নবীগণ),
২২। আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
২৩। আল মু'মিনূন (মুমিনগণ),
২৪। আন নূর (আলো),
২৫। আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬। আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭। আন নম্ল (পিপীলিকা),
২৮। আল কাসাস (কাহিনী),
২৯। আল আনকাবূত (মাকড়শা),
৩০। আর রুম (রোমান জাতি),
৩১। লোক্মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
৩২। আস সেজদাহ্ (সিজদা),
৩৩। আল আহ্যাব (জোট),
৩৪। সাবা (রানী সাবা/শেবা),
৩৫। ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬। ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭। আস ছাফ্ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
৩৮। ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
৩৯। আয্-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
৪০। আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
৪১। হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২। আশ্-শূরা (পরামর্শ),
৪৩। আয্-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪। আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫। আল জাসিয়াহ (নতজানু),
৪৬। আল আহ্ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭। মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ (স) ),
৪৮। আল ফাত্হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯। আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০। ক্বাফ (ক্বাফ),
৫১। আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২।আত্ব তূর (পাহাড়),
৫৩। আন-নাজম (তারা),
৫৪। আল ক্বামার (চন্দ্র)
৫৫। আর রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬। আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭।আল-হাদীদ (লোহা)
৫৮। আল-মুজাদালাহ (অনুযোগকারিণী),
৫৯।আল-হাশর (সমাবেশ),
৬০। আল-মুমতাহিনাহ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
৬১।আস-সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২।আল-জুমুআ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩।আল-মুনাফিকুন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪।আত-তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫। আত-তালাক (তালাক),
৬৬।আত-তাহরীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭।আল-মুলক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮। আল-কলম (কলম),
৬৯। আল-হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০। আল-মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১। নূহ (নবী নূহ)
৭২। আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩। আল মুজাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪।আল মুদ্দাস্সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫।আল-কিয়ামাহ (পুনরু্ত্তান),
৭৬।আদ-দাহর (সময়),
৭৭। আল-মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮।আন নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯। আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০। আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১। আত-তাকভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২। আল-ইনফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩। আত মুত্বাফ্ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪। আল ইনশিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫। আল-বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬। আত-তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭। আল আ’লা (সর্বোন্নত),
৮৮। আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯। আল ফাজ্র (ভোরবেলা),
৯০। আল বালাদ (নগর),
৯১। আশ শামস (সূর্য),
৯২। আল লাইল (রাত্রি),
৯৩। আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ),
৯৪। আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫। আত ত্বীন (ডুমুর),
৯৬। আল আলাক (রক্তপিন্ড),
৯৭। আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮। আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯। আল যিল্যাল (ভূমিকম্প),
১০০। আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১। আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২। আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩। আল আছর (সময়),
১০৪। আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫। আল ফীল (হাতি),
১০৬। কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭। আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮। আল কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯। আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০। আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১। আল লাহাব (জ্বলন্ত অঙ্গার),
১১২। আল ইখলাস (একত্ব)
১১৩।আল ফালাক (নিশিভোর)
১১৪। আন নাস (মানবজাতি)
মহান আল্লাহু আমাদের সকলকে কুরআন পড়া ও কুরআনের ভাষা বোঝারমত তৌফিক,শক্তি ও জ্ঞান দান করুক ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যববাদ আহলান ভাইজান ।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মহান আল্লাহু আমাদের সকলকে কুরআন পড়া ও কুরআনের ভাষা বোঝারমত তৌফিক,শক্তি ও জ্ঞান দান করুক । আমীন
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাইজান ।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য। ছোট একটা কারেকশন আছেঃ কোরআনের আয়াত ৬৬৬৬ নয়। এটা ভুল ধারনা। সুতরাং কোরআনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত যে আয়াতের সংখ্যা দিয়েছেন সেটাও স্বভাবিক ভাবে ভুল। কোরআনে একি আয়াত দিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়কে নির্দেশ করে, সেখত্রে বিষয় ভিত্তিক আয়াত গণনা করা সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ হানিফ ভাইজান ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২১
আহলান বলেছেন: সুন্দর ... !