নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোখা আফতাবের বাংলা ব্লগ

আনোখা আফতাব

আমি সৎলোকদের খুব পছন্দ করি। পর্দায় যারা অভিনয় করে তাদেরকেও পছন্দ করি। কিন্তু বাস্তব জীবনে যারা অভিনয়ের আশ্রয় নেয় তাদের এড়িয়ে চলি। অনেকদিন পর বাংলা প্লাটফর্ম আসার কারণ সমমনা কিছু লোকের লেখার সাথে পরিচিত হওয়া এবং সেইসাথে নিজের বাংলাটাকেও একটু ঝালিয়ে নেওয়া।

আনোখা আফতাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস ও একজন জেসিকা জেকলি

০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫





মানুষ মরণশীল কিন্তু তার রেখে যাওয়া আইডিয়া বা ধারণাগুলো লাভ করতে পারে অমরত্ব। একটি ভাল আইডিয়া উৎসাহিত করতে পারে আরও হাজারো মানুষকে। আবার একটি ভাল আইডিয়া থেকে জন্ম নিতে পারে আরও হাজারটা ভাল আইডিয়া ঠিক যেমনটি একটি মোমবাতির আগুন থেকে হাজারটা মোমবাতি জ্বালিয়ে নেয়া যেতে পারে। আর এসব যুগান্তকারী আইডিয়া যাদের মাথা থেকে বেরোয় তারা হচ্ছেন ক্ষণজন্মা মানুষ। আর এই ধরনের ক্ষণজন্মা আর অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী একজন মানুষ হচ্ছেন আমাদের ডঃ ইউনূস। আমরা অনেকেই হয়ত জানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন তার প্রবর্তিত "ক্ষুদ্রঋণ" কার্যক্রমটি চালু রয়েছে। কিন্তু আমার আজকের ব্লগ পোস্টে আমি শুধু একজন জেসিকা জেকলিকে ডঃ ইউনূস কিভাবে প্রভাবিত করেছিলেন এবং তার ফলশ্রুতিতে জেকলি কিভাবে গড়ে তুলেন "কিভা" নামে বিশ্বখ্যাত এক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেই সম্পর্কে কিছু বলব।



জেসিকা ছোটবেলা থেকেই দরিদ্র লোকদের কথা চিন্তা করতেন। কিন্তু বাইবেলের একটি কথা তাকে প্রায়ই বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিত। বাইবেলে স্বয়ং যীশু খ্রিস্ট ঘোষণা করেছেন যে দরিদ্র লোকেরা সর্বদাই থাকবে, সমাজ থেকে দারিদ্রতা জিনিসটা কখনই একেবারে দূর করা যাবে না। তাই জেসিকা যখন দরিদ্র লোকদের দেখতেন তখন তাদের যতটুকু পারতেন সাহায্য করতে চেষ্টা করতেন। এটা তাকে মানসিকভাবে এক ধরনের শান্তি দিত। তিনি মনে করতেন এর মাধ্যমে তিনি দরিদ্রদের প্রতি তার দায়িত্বটুকু কিছুটা হলেও পালন করেছেন এবং তাতে করে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। কিন্তু তারপরও সমাজ থেকে দারিদ্রতার ব্যাপারটাকে পুরোপুরি দূর করতে পারা যাবে না বলে যে একটা ধারণা তার মধ্যে তৈরি হয়েছিল সেটা মাঝে মাঝে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিত। এমনি এক সময় জেসিকা শুনতে পেলেন ডঃ ইউনূস এর একটি বক্তৃতা আর ইউনূস এর ঐ বক্তৃতাই দারিদ্রতা সম্পর্কে জেসিকার পূর্বের সব ধারণা পালটে দিল এবং তার জীবনের মোড় ঘুরে গেল।



জেসিকা জেকলির একটি ইউটিউব ভিডিওঃ





ইউনূস এর আইডিয়া জেসিকাকে এত বেশী অনুপ্রাণিত করল যে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই তিনি চাকরি ছেড়ে দিলেন এবং সোজা চলে গেলেন পূর্ব আফ্রিকাতে যেখানে তিনি কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন ইউনূস এর আইডিয়া আসলে কিভাবে কাজ করে বাস্তব জীবনে। ৩ মাস তিনি ঘুরে বেড়ালেন কেনিয়া তানজানিয়া ও উগান্ডার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং নিজের চোখে দেখলেন কিভাবে ১০০ ডলার এর ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে সেখানকার উদ্যোক্তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সবচেয়ে যে জিনিসটা জেসিকাকে মুগ্ধ করল সেটা হচ্ছে তাকে কখনই ঐ দরিদ্র লোকগুলো দান করবার জন্য চাপাচাপি করে নি। তারা ঋণ নিতে চায় এবং ঋণ নিয়ে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে চায়। জেসিকা যখন এসব জিনিস পর্যবেক্ষণ করছিলেন তখনই তার মনের মধ্যে জন্ম নিল নতুন একটি স্বপ্ন, এই স্বপ্নের নাম পরবর্তীতে তিনি দেন "কিভা"। কিভা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাদের অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করুনঃ কিভা ডট অরগ



জেসিকার কিভা একটা সামাজিক আন্দোলনের রূপ নিল ধীরে ধীরে এবং কিভার মাধ্যমে তার পরিচয় ঘটল অত্যন্ত আশাবাদী একদল মানুষের সাথে। জেসিকা এখন সবাইকে নিয়ে কিভাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে কাজ করছেন। কিভার কাহিনী জেসিকার মুখ থেকে শুনতে অবশ্যই এই টেড টকটি দেখুন। এর একটি অংশ এতটাই মর্মস্পর্শী যে আমার চোখে জল চলে এসেছিল। জেসিকা নিজেও কেঁদে ফেলেছে শেষের দিকে। জেসিকার টেড টকঃ

জেসিকার অসাধারণ একটি বক্তৃতা



সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন জেসিকার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেওঃ

জেসিকার নিজস্ব ওয়েবসাইট

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

নীল জোসনা বলেছেন: অসাধারন !

০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

আনোখা আফতাব বলেছেন: ধন্যবাদ নীল জোসনা। আরও অনেক ইনটারেসটিং কিছু টপিক নিয়ে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা আছে। ইংরেজি ব্লগিং এর অভিজ্ঞতা থেকে যেটুকু শিখেছি তা এখন নিজের মাতৃভাষায় প্রকাশ করার নেশা জেগেছে। সাথেই থাকবেন আশা করি।

২| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

ইলুসন বলেছেন: অথচ আমরা ডঃ ইউনুসকে কত অপমানই না করলাম!

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

আনোখা আফতাব বলেছেন: এর পেছনে রাজনৈতিক ব্যাপার যদি কিছু থেকে থাকে তবে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরে থেকে যারা তার সমালোচনা করেছেন তাদেরকে দোষারোপ করতে চাই না আমি। সৃষ্টিশীল কাজের সমালোচনা হবে এমনটাই প্রত্যাশা করি আমি। তবে সেটা যত গঠনমূলক হয় ততই ভাল।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ইলুসন বলেছেন: অথচ আমরা ডঃ ইউনুসকে কত অপমানই না করলাম!

লেখা ভালো লেগেছে, আশা করছি এখন থেকে এমন লেখা দিয়ে সামুকে মাতিয়ে রাখবেন।


ব্লগে স্বাগতম

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

আনোখা আফতাব বলেছেন: উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা। হ্যাঁ সামুতে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা আছে। বেশ কিছু লেখার টপিকও মাথায় আছে। সময় সুযোগমত দিয়ে দেব। আশা করি সাথেই থাকবেন।

৪| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



গ্রেট +++

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

আনোখা আফতাব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

মিতক্ষরা বলেছেন: ইউনুসকে শেখ হাসিনা যেন গলা ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিতে যান। অথচ ড: ইউনুস কখনও সেসব আচরনের প্রতি উত্তর করেন নি।

ইউনুসের এই ভদ্রতা গুনটুকু ভাল লাগে।

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

আনোখা আফতাব বলেছেন: মেধার সাথে যখন বিনয় আর ভদ্রতা যোগ হয় তখন সেই ব্যক্তির প্রতি আমাদের ভাল লাগার ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে বেড়ে যায়।

৬| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

মদন বলেছেন: +

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

আনোখা আফতাব বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.