নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
কেয়ামত সম্পর্কে কোরআন এবং হাদিসের পরষ্পর বিরোধী প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসলামী জ্ঞানের একটি গভীর বিষয়। কোরআন ও হাদিসের মধ্যে এই ধরনের আপাতবিরোধিতা মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে এর একটি সুস্পষ্ট সমাধান পাওয়া যায়।
কোরআনের নির্দেশ:
কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কেয়ামত সম্পর্কে নবী (সাঃ) কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, "তারা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, তার সম্পর্কে শুধু আল্লাহই জানেন।" (সূরা আল-আ'রাফ, আয়াত ১৮৭)
হাদিসে বর্ণিত বিষয়:
অন্যদিকে, বিভিন্ন হাদিসে কেয়ামতের বিভিন্ন লক্ষণ, ঘটনা এবং সময় সম্পর্কে নবী (সাঃ) এর উক্তি বর্ণিত হয়েছে।
এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে আপাতবিরোধিতার সমাধান:
এই আপাতবিরোধিতার সমাধানের জন্য আমাদের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করতে হবে:
* আয়াতের অর্থ: উপরোক্ত আয়াতে নবী (সাঃ) কে কেয়ামতের নির্দিষ্ট সময়, তারিখ বা ঘটনা সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কেয়ামতের সাধারণ লক্ষণ, মানুষের জন্য সতর্কবাণী এবং ইসলামী বিশ্বাসের মূলনীতিগুলো ব্যাখ্যা করতে তিনি নিষেধ ছিলেন না।
* হাদিসের প্রকৃতি: হাদিসে বর্ণিত অনেক ঘটনা সাধারণ লক্ষণ, উপমা বা সতর্কবাণীর মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। এগুলো সবসময় সরাসরি কেয়ামতের সময় বা ঘটনার নির্দিষ্ট বিবরণ নয়।
* জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা: মানুষের জ্ঞান সীমিত। আল্লাহ তাআলাই একমাত্র সবকিছুর জ্ঞাতা। তাই কেয়ামতের সম্পূর্ণ বিষয়টি মানুষের বুদ্ধির আওতা বাইরে।
* বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ: কোরআন ও হাদিসকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়। কখনো কখনো এই ব্যাখ্যায় ভিন্নমত থাকতে পারে।
উপসংহার:
সুতরাং, কোরআন ও হাদিসের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বরং বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসের অর্থকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। কেয়ামত সম্পর্কে নবী (সাঃ) এর উক্তিগুলো মানুষকে সতর্ক করার এবং ইসলামী বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার জন্য ছিল। তিনি কখনোই কেয়ামতের নির্দিষ্ট সময় বা ঘটনা সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেননি।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪৩
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
যিনি কোরআন এর লেখক
তিনিই হাদিসের রচয়িতা।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র আল্লাহ তায়ালা দিতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: কোরআন শরীফ আল্লাহর বাণী যা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে তার সাহাবিদের কাছে প্রচারিত হয়েছে। অপরদিকে হাদীস গ্রন্থ যা আমরা বর্তমানে পড়ছি তা নবীর মৃত্যুর দুই থেকে তিন শতাধিক বছর পর বিভিন্ন ব্যক্তির রেফারেন্স এ সংকলিত হয়েছে। দুইটি বিষয় কখনোই এক নয়।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭
জ্যাকেল বলেছেন: কেয়ামাত দিবস সম্পর্কে কোরআনে বারবার বলা হয়েছে। ইহা হাদিস থেকে বাড়িয়ে বুড়িয়ে লিখলে সেটা বারাবারি। হাদিস গ্রন্থ বুখারি শরিফের উদৃতি কোরআনে নাই, কিন্তু গসপেল এর কথা বারবার আছে। গসপেল, তরাহ না জানলে কোরআন জানা অসম্পুর্ণ। হাদিস বুখারি না জানলেও কোরআন জানা সম্পুর্ণ হইবে।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
পৃথিবীর বয়স এখন ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর; ইহা আর কত বছর টিকার সম্ভাবনা আছে? মানব সভ্যতা কত বছর টিকে আছে, উহা আরো কত বছর টিকতে পারে?