নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হ্যালো! আমি শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি, যার পেশাগত জীবন মানবসম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনায় নিবেদিত। আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে, যা আমাকে আরও দৃঢ় এবং সফল হতে প্রেরণা জুগিয়েছে।\nজাত

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প: শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি প্রসঙ্গ

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প: দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলেও এই শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি ও কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রায়শই আলোচনা হয়ে থাকে। বর্তমানে শ্রমিকরা নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ১৫% হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের দাবি তুলেছেন। এই দাবির পেছনে যুক্তি হিসেবে তারা মূল্যস্ফীতির হার এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে মজুরির তুলনা তুলে ধরছেন।

কেন ১৫% ইনক্রিমেন্টের দাবি?
* মূল্যস্ফীতির প্রভাব: বর্তমানে শ্রমিকদের মজুরি বার্ষিক ৫% হারে বাড়লেও মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০%। ফলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমাগত কমছে।
* প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে তুলনা: বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি অনেক কম। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা সহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোতে শ্রমিকরা অনেক বেশি মজুরি পান।
* জীবনমান উন্নয়ন: মজুরি বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব। তারা নিজেদের ও পরিবারের জন্য ভালো মানের খাবার, পোশাক, এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারবেন।

সস্তা শ্রম বাজার ও ভবিষ্যৎ:
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টর সস্তা শ্রম বাজারের উপর নির্ভর করেছে। কিন্তু এই কৌশল আর কার্যকর থাকবে না। শ্রমিকদের মজুরি না বাড়ালে এবং কর্মপরিবেশ উন্নত না করা হলে বায়াররা অন্য দেশে চলে যেতে পারে।

ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা:
* মজুরি বৃদ্ধি: শ্রমিকদের মজুরি ধীরে ধীরে বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
* উচ্চ মূল্যের পণ্য উৎপাদন: কম দামের পোশাকের পরিবর্তে বেশি মূল্যের এবং উচ্চমানের পোশাক উৎপাদনে জোর দিতে হবে।
* কর্মপরিবেশ উন্নয়ন: কারখানায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
* শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

উপসংহার:
বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের স্থায়ী বিকাশের জন্য শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র সস্তা শ্রমের উপর নির্ভর করে এই শিল্পকে আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই শিল্পকে আরও আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


যেখানে আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়, ঐখানে এসব থিউরী খাটবে?

আপনার সাথে যোগাযোগের অন্য মাধ্যম কি?

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয় তা কোন সভ্য দেশের মানুষের বেতন হতে পারে না।
আবার আইরনি কি জানেন, এই সস্তা শ্রমের কারণেই কিন্তু আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্প টিকে আছে। আপনি অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের সাথে শ্রমিকদের বেতন কাঠানো সামাঞ্জস্য করেন । দেখবেন কয়েক বছরের ভেতরেই অর্ধেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.