নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দালাই লামা এবং তিব্বত-চীন বিরোধ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

দালাই লামা এবং তিব্বত-চীন বিরোধ বিশ্ব রাজনীতির একটি জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। তিব্বতের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দালাই লামা তিব্বতের স্বাধীনতার প্রতীক। অন্যদিকে, চীন তিব্বতকে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে। এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ, ইতিহাস, এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিব্বত-চীন বিরোধের ইতিহাস:

ঐতিহাসিক সম্পর্ক: তিব্বত এবং চীনের মধ্যে শতাব্দী ধরে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। কখনও তারা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্বমান ছিল, আবার কখনও চীনের অন্তর্গত ছিল।
চীনের দখল: ১৯৫০ সালে চীন তিব্বতকে দখল করে নেয় এবং তিব্বতকে তার একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।

তিব্বতীয় বিদ্রোহ: ১৯৫৯ সালে তিব্বতীয়রা চীনের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এই বিদ্রোহ দমন করতে চীন সেনা পাঠায় এবং দালাই লামাকে ভারতে নির্বাসিত হতে বাধ্য করে।
দালাই লামার নির্বাসন: দালাই লামা ভারতে আশ্রয় নেন এবং তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যান।

দ্বন্দ্বের মূল কারণ

তিব্বতের স্বাধীনতা: তিব্বতীয়রা তাদের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে চায়। তারা চীনের শাসন থেকে মুক্তি চায়।
চীনের দাবি: চীন তিব্বতকে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং তিব্বতীয়দের স্বাধীনতার কোনো দাবি স্বীকার করে না।
মানবাধিকার লঙ্ঘন: তিব্বতীয়রা অভিযোগ করে যে চীন তিব্বতের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

বর্তমান পরিস্থিতি

দালাই লামার ভূমিকা: দালাই লামা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তিব্বতের সমস্যার সমাধানের পক্ষে। তিনি তিব্বতের স্বাধীনতা নয়, বরং একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হওয়ার পক্ষে।
চীনের অবস্থান: চীন দালাই লামাকে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করে এবং তাঁর সাথে কোনো আলোচনায় আসতে রাজি নয়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়: অনেক দেশ তিব্বতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চীনের সমালোচনা করে।

ভবিষ্যৎ

তিব্বত-চীন বিরোধ একটি জটিল সমস্যা এবং এর সমাধান সহজ নয়। তবে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দালাই লামা এবং চীন সরকারের মধ্যে একটি গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে একটি সমাধান বের করা যেতে পারে।

দালাই লামা এবং তিব্বত-চীন বিরোধ বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিরোধের ইতিহাস, মূল কারণ এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা আমাদের এই জটিল সমস্যাটিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শক্তিশালী প্রতিবেশী থাকলে স্বাধীন থাকা কঠিন। আমরা সে কঠিন সময় পার করছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: দালাই লামার চীন আর আজকের চীনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য।সরাসরি রেল ও মহাসড়ক দিয়ে যুক্ত আজকের তিব্বত।তারা আধুনিক বিশ্বের অংশ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.