![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতি বছর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে এক ধরনের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাব:
বিশ্ব ইজতেমা স্থানীয় অর্থনীতিতে নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হলো:
ব্যবসা-বাণিজ্যে উত্থান: ইজতেমার সময় কামারপাড়া, টঙ্গী, আব্দুল্লাপুর এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় দোকান মালিকরা তাদের দোকানে নতুন পণ্য তোলে, যা তাদের অতিরিক্ত মূলধন জোগাতে সাহায্য করে।
ক্ষুদ্র ঋণ এবং নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি: অনেক ব্যবসায়ী এই সময় বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি বা এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করে। এর ফলে এলাকায় প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থের প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
অস্থায়ী দোকানের সৃষ্টি: ইজতেমা মাঠের আশেপাশে অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়, যেখানে খাবার, শীতের কাপড় এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি হয়। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি অস্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করে।
বৃহত্তর অর্থনীতিতে প্রভাব:
বিশ্ব ইজতেমা শুধু স্থানীয় অর্থনীতিতেই নয়, বৃহত্তর অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে।
পরিবহন খাত: ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পরিবহনের জন্য বাস, লঞ্চ, ট্রেন এবং এমনকি বিমানের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এটি পরিবহন খাতকে লাভবান করে।
খাবার ও আবাসন: লাখ লাখ মুসল্লির খাবার ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হয়, যা খাদ্য এবং আবাসন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বৈদেশিক মুদ্রা: অনেক বিদেশী মুসল্লি ইজতেমায় আসেন, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সাহায্য করে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব:
বিশ্ব ইজতেমার কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবও রয়েছে।
কর্মসংস্থান: ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সাংস্কৃতিক বিনিময়: বিদেশী মুসল্লিদের আগমনে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে একটি বিনিময় হয়, যা সামাজিক সম্প্রীতি বাড়াতে সাহায্য করে।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ:
এত বড় একটি সমাবেশের আয়োজন করতে কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
ব্যবস্থাপনা: এত বড় একটি সমাবেশের আয়োজন করতে প্রচুর অর্থ খরচ হয়, যা একটি চ্যালেঞ্জ।
নিরাপত্তা: মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় দায়িত্ব, যার জন্য প্রচুর অর্থ খরচ হয়।
অর্থনৈতিক উপযোগিতা:
বিশ্ব ইজতেমার অর্থনৈতিক উপযোগিতা অনেক। এটি স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে। তবে, এর ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারলে এর উপযোগিতা আরও বাড়ানো সম্ভব।
আরও কিছু বিষয়:
ইজতেমার সময় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং ধর্মীয় কার্যক্রমও অনুষ্ঠিত হয়, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি উৎসবের আমেজ তৈরি করে। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনেক দাতব্য সংস্থাও কাজ করে, যা সমাজের দরিদ্র এবং অসহায় মানুষদের সাহায্য করে।
বিশ্ব ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মানুষ হয়তো ইজতেমার কথা জানেন না, কারণ এর প্রচার সেভাবে হয়নি। তবে, এর মানে এই নয় যে ইজতেমার গুরুত্ব কম।
ইজতেমা একটি শান্তিপূর্ণ এবং ধর্মীয় সমাবেশ, যা অনেক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অংশ।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
তামিম আল আদনানী বলেছেন: যেই ব্যক্তি দিনে অন্তত পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে বুঝেশুনে আল্লাহু আকবার তথা আল্লাহ সবচেয়ে বড় এই কথার স্বীকারোক্তি দেয়, তার পক্ষে গাইরুল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কারো বানানো জীবনব্যবস্থার অধীনে শান্তভাবে জীবন-যাপন করা সম্ভব নয়।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি একমত। একজন মুসলিম হিসেবে, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্য করা উচিত। আল্লাহু আকবার বলার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করি এবং তাঁর কাছে নিজেদের সমর্পণ করি।
যখন আমরা আল্লাহর কাছে নিজেদের সমর্পণ করি, তখন আমাদের জীবনের লক্ষ্য হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আমরা এমন কোনো কাজ করতে পারি না যা আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে।
গাইরুল্লাহর তৈরি করা জীবনব্যবস্থা, যা আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থার বিপরীত, তা অনুসরণ করা একজন মুসলিমের জন্য সম্ভব নয়। কারণ, এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর অবাধ্যতা করি এবং নিজেদের ঈমানকে দুর্বল করি।
আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর পথে চলা এবং তাঁর দেওয়া জীবনব্যবস্থা অনুসরণ করা। এর মাধ্যমে আমরা ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি লাভ করতে পারি।
আমি এই পোস্টে ইজতেমার ধর্মীয় দিকের পরিবর্তে এর অর্থনৈতিক দিকটি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। বিষয়টিকে আমি ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
Ruhin বলেছেন: তাহলে গাল্ফ , ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া ব্রুনাই এরা এত শান্তিতে আছে কীভাবে ।গাল্ফরা বাংলাদেশ থেকে ধার্মিক
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন যে গালফ দেশগুলো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের অনেক মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
প্রথমত, এই দেশগুলোর সরকার সাধারণত স্থিতিশীল এবং তারা জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে সচেষ্ট। দ্বিতীয়ত, এই দেশগুলোর অর্থনীতি সাধারণত ভালো এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত। তৃতীয়ত, এই দেশগুলোতে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষ একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে।
তবে, এর মানে এই নয় যে এই দেশগুলোতে কোনো সমস্যা নেই। এই দেশগুলোতেও কিছু সমস্যা রয়েছে, যেমন -
কিছু দেশে মানবাধিকারের অভাব রয়েছে।
কিছু দেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়।
কিছু দেশে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সমস্যা রয়েছে।
তবে, সামগ্রিকভাবে, এই দেশগুলো অনেক শান্তিতে রয়েছে এবং তাদের নাগরিকরা সাধারণত সুখী।
আপনি আরও জানতে চেয়েছেন যে গালফ দেশগুলোর লোকেরা বাংলাদেশ থেকে বেশি ধার্মিক কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, ধার্মিকতা একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং এটি পরিমাপ করা কঠিন। তবে, সাধারণভাবে, গালফ দেশগুলোর লোকেরা তাদের ধর্মের প্রতি বেশি অনুগত বলে মনে হয়।
তবে, এর মানে এই নয় যে বাংলাদেশের লোকেরা ধার্মিক নয়। বাংলাদেশের লোকেরাও তাদের ধর্মের প্রতি অনুগত এবং তারা তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১০
Ruhin বলেছেন: [[ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মানুষ হয়তো ইজতেমার কথা জানেন না, কারণ এর প্রচার সেভাবে হয়নি। তবে, এর মানে এই নয় যে ইজতেমার গুরুত্ব কম।
ইজতেমা একটি শান্তিপূর্ণ এবং ধর্মীয় সমাবেশ, যা অনেক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অংশ।]]
জানায় না বলেন
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪৯
Ruhin বলেছেন: কারন জানলে বাংলাদেশরে নিয়ে সবাই মজা নিবে, ইজতেমার কাজ কাম নিয়ে
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমি আমার পোস্টে ইজতেমার অর্থনৈতিক দিকটি নিয়ে আলোচনা করেছি। যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয়, সেখানে একটি বড় বাজার তৈরি হয়। ইজতেমায় আগত মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাকাটা করে, যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে উপকৃত হন।
ইজতেমার মাঠে ওয়াজ শুনে এবং রাস্তায় দাড়িয়ে মোনাজাত ধরে কে বা কারা জান্নাত লাভ করলো এটা আমার লিখার বিষয় ছিলোনা। আশাকরি প্রাসঙ্গি বিষয়ে আমরা আলাপ করবো। ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:০২
আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, আজকের আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক সভ্য বিশ্ব অবিরাম এগিয়ে চলছে। অন্য দিকে চরম হত দরিদ্র, অসৎ, চোর, বাটপার, বদমাস মুসলমানের বাংলাদেশ এখনো পরে আছে ইজতেমা নিয়ে। ময়লা, আবর্জনা, দুর্গন্ধময় ময়লার ভাগাড় তুরাগের পাড়ে হৈচৈ, চেচামেচি, খুনাখুনি করে কল্পিত জান্নাতে যাবে। যত্তসব!!!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ইজতেমার মাঠে ওয়াজ শুনে এবং রাস্তায় দাড়িয়ে মোনাজাত ধরে কে বা কারা জান্নাত লাভ করলো এটা আমার লিখার বিষয় ছিলোনা। আমি আমার পোস্টে ইজতেমার অর্থনৈতিক দিকটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশাকরি প্রাসঙ্গি বিষয়ে আমরা আলাপ করবো। ধন্যবাদ।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ইজতেমা মানে জনদূর্ভোগ। ইজতেমাতে রাস্তায় জ্যাম। ইজতেমার কোনো ভালো দিক নেই। ইজতেমা শেষ হওয়ার পর গুয়ের গন্ধে টিকে থাকা যায় না।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমি গত ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা বিশ বছর কামাড়পাড়ায় ছিলাম। ইজতেমা খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। মানুষের ভির, যানজট, চলাচলের সমস্যা এগুলো আমার পরিচিত। আমি আসলে ইজতেমার কারনে ঐ এলাকার ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ড এবং স্থানীয় অর্থনীতির চঞ্চলতার বিষয়ে কথা বলেছি।
ইজতেমার ধর্মীয় দিক নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। যেহেতু ইজতেমা হবেই। এটা বন্ধ হবেনা বলে মনে হয়। তাহলে এটা থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যতটা পারে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হোক এটাই আমার প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
Ruhin বলেছেন: এত করে লাভ কি, মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ মানুষ ইজতেমা কি তাই জানেনা