![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশ এক অস্থির সময় পার করছে। প্রতিদিন নতুন নতুন ঘটনা ঘটে চলেছে, আর প্রশাসনের নিরব ভূমিকা জনগণের মনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। সাম্প্রতিক বুলডোজার হামলার পর দেশজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে, যা এক ধরণের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়।
সরকারের অবস্থান এবং জনমনে বিভ্রান্তি
সরকারের ভূমিকা অনেকের কাছেই অস্পষ্ট মনে হচ্ছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর বিবৃতি দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল মনে করছে, সরকার যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। অপরদিকে, ইসলামি বক্তারা এবং অন্যান্য বিশ্লেষকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে ‘মবোক্রেসি’ নিয়ে, যা দেশকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী লীগের ওপর হামলা
শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—এর পেছনে কারা? জনরোষের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের ভেতরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না করে যদি জনতা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেয়, তাহলে তা সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
মাহফুজ আলমের বার্তা: ‘থামুন, সরকারকে কাজ করতে দিন’
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের আহ্বান অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি জনগণকে শান্ত থাকার এবং সরকারকে সংস্কার করার সময় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি একদিকে বাস্তবসম্মত, কিন্তু অন্যদিকে জনতার ধৈর্যের সীমাও বিবেচনা করতে হবে।
রাজনৈতিক আন্দোলনের ভবিষ্যৎ: নতুন বাংলাদেশের পথ?
বর্তমান আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী চেতনার প্রতিফলন হলেও, যদি এটি নিয়ন্ত্রিত ও সুসংগঠিত না হয়, তবে সহিংসতার দিকে মোড় নিতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সুসংগঠিত ও কাঠামোবদ্ধ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। জনসাধারণের ক্ষোভের ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত না করা গেলে, তা রাষ্ট্রকে বড় সংকটে ফেলে দিতে পারে।
শেষ কথা: সামনে কী অপেক্ষা করছে?
বাংলাদেশ এক নতুন ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি। জনতার দাবি ও ক্ষোভকে রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে পরিচালিত করা না গেলে, আমরা আরও বড় সংকটের মুখোমুখি হতে পারি।
এখন সময় এসেছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজার, যাতে বাংলাদেশ সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পথের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে, তা নির্ভর করছে জনগণের ধৈর্য, নেতৃত্বের প্রজ্ঞা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশলের ওপর।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে আলোচনার ভাষা যদি যুক্তি ও শালীনতার মধ্যে রাখা যায়, তাহলে তা সবার জন্যই উপকারী হয়। ভিন্নমত থাকতেই পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ ও হুমকির মাধ্যমে মত প্রকাশের সংস্কৃতি গঠনমূলক নয়।
আমি বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে, তবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলে তা বিনীতভাবে উপস্থাপন করলে সেটি আলোচনা ও বিতর্ককে সমৃদ্ধ করবে। গালাগালি বা হুমকির মাধ্যমে মত প্রতিষ্ঠার চেয়ে যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরাই বেশি কার্যকর। আশা করি, ভবিষ্যতে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে আগ্রহী থাকবেন।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশ কি ইউরোপ আমেরিকার মত উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফেরৎ আসবে?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ইউরোপ বা আমেরিকার মতো হবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছি তার ওপর। প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা আলাদা, তাই তুলনার ক্ষেত্রে সেই পার্থক্যগুলোও বিবেচনায় রাখা জরুরি।
তবে আশাবাদী হওয়ার জায়গা আছে—যদি সব পক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, মতের ভিন্নতা গ্রহণযোগ্য হয় এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও ধীরে ধীরে পরিপক্বতার দিকে যেতে পারে।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০০
কামাল১৮ বলেছেন: এই সব ঘটনা সরকারের পরিকল্পনার অংশ।সরকার গা বাঁচানোর জন্য আবোলতাবল বলছে।কিন্তু বাঁচতে পারবে না।বিশ্ব তাকে চেপে ধরেছে।সীমা ছাড়িয়ে গেছে সরকার।গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দেশ।এই যুদ্ধে জনতাকে জয়লাভ করতে হবে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রাজনীতির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকা স্বাভাবিক, তবে যে কোনো সংকটের সমাধান সহিংসতা বা গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আসবে—এমন ভাবনা দেশের জন্য আরও বিপজ্জনক হতে পারে। গণতন্ত্রের মূল শক্তি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিবর্তন আনার ক্ষমতা।
বিশ্ব রাজনীতির চাপে কোনো সরকার টিকে থাকবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে দেশের স্থিতিশীলতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, সেটাই সবার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তাই কোনো মতাদর্শে আবেগপ্রবণ হয়ে নয়, বরং যুক্তি ও বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সমাধানের পথ খোঁজা গুরুত্বপূর্ণ।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশ স্থিতিশীল আছে এবং আশা করি সামনেও থাকবে। এগুলি কিছুই না।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ধন্যবাদ।
দেশের স্থিতিশীলতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এবং সবাই নিশ্চয়ই চায় যে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাক। তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ভিন্নমত ও উদ্বেগও আছে, যা উপেক্ষা করা কঠিন। স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঠিক চর্চা নিশ্চিত করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ।
আশা করি, ভবিষ্যতে সবাই মিলে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে দেশ সত্যিকারের স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ হবে।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস খুব শ্রীঘই পালাবে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ধন্যবাদ! তবে, এমন কোনো পরিস্থিতি বা তথ্য এখনও সুনির্দিষ্টভাবে পাওয়া যায়নি, যার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ডঃ ইউনুস পালাবেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু আমাদের উচিত সঠিক তথ্য এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে কথা বলা। আশা করি ভবিষ্যতে আরো পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতি সামনে আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: আপনি কে হে ? মনে হয় যেন কিচ্ছু বোঝেন না ? দেশে যা হয়েছে, তার জন্য দায়ি শেখ হাসিনা , তার দল এবং ভারত । এ বিষয়ে যাদের চুল পরিমাণ জ্ঞান নেই, তাদেরকে এই দেশের কাজের বুয়ারাও মনে করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অথবা ভারতের নগদ মাল খাওয়া দালাল । এসব দালালী করতে হয় ভারতে বসে ময়ূখের সাথে করেন গিয়ে । এই দেশে এরকম সুশীলগীরি দেখাতে আসবেন তো গণধোলাই খাবেন । আওয়ামী কোন সুশীলই আর কোন ছাড় নয় । ইনিয়ে বিনিয়ে যেই সুশীলগীরি করবে, তাকেই সাইজ করতে হবে । খুব বেশী দেরী হয়ে গেছে । এদের শেখ হাসিনার দালালী করার এখনো সাহস হয় কি করে ? এই পোষ্টকারির সুশীলগীরির হাওয়ার পালে আরো একটু বাতাশ লাগবে মনে হচ্ছে ।