![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।
৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাকসু) নির্বাচন হচ্ছে—এ যেন পুরো প্রজন্মের অপেক্ষার অবসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই দেখিয়েছে যে, ছাত্ররাজনীতিতে প্রচলিত সমীকরণ বদলাচ্ছে। ছাত্রদল দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর ফিরে এসেও নতুন প্রজন্মকে আকর্ষণ করতে পারেনি। বরং শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা নিজেদের সংগঠিত ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছে।
জাকসুর ক্ষেত্রেও একই ধারা তৈরি হতে পারে। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে শিবির–সমর্থিত সমন্বিত জোট, ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের মধ্যে। শিক্ষার্থীদের চাওয়া এখন স্পষ্ট—গণরুম–গেস্টরুম সংস্কৃতির অবসান, আবাসন সংকট সমাধান, নিরাপত্তা ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। তারা আর বড় দলের স্লোগানে মুগ্ধ নয়, বরং যারা বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে পারবে, তাদের দিকেই ঝুঁকছে।
৯০-এর দশকে ছাত্রদল যেভাবে একচেটিয়া আধিপত্য করেছিল, আজকের প্রজন্ম সেটি ইতিহাস হিসেবেই জানে। বর্তমান ছাত্রসমাজ নিজের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে প্রচলিত রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে কার্যকর ভিশন ও বিশ্বাসযোগ্যতাই হয়ে উঠছে মূল ফ্যাক্টর।
জাকসু নির্বাচন তাই শুধু একটি ক্যাম্পাসভিত্তিক প্রতিযোগিতা নয়, বরং ছাত্ররাজনীতির রূপান্তরের প্রতিচ্ছবি। সময়ই বলে দেবে, কে জয়ী হবে, তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—আজকের শিক্ষার্থীরা আর অতীতের মতো চোখ বন্ধ করে ভোট দেবে না। তাদের ভোট এখন পরিবর্তনের ভাষা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভালো বলেছেন।