নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লতার যতো কথা

কেউ বুঝে না এই আমাকে...তাই আমিও কাউকে আর বুঝতে চাই না।

লতিফা লতা

কেউ বুঝে না এই আমাকে ... তাই আমিও কাউকে বুঝতে চাই না ।

লতিফা লতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরামর্শ চাই : একট নাটকে স্ক্রীপট শুরু করলাম ... শেষ কী হবে জানি না

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭

শঙ্খ নদীর ধারে











--------

চরিত্র



(প্রধান তিন চরিত্র)

অধরা- বয়স- ২৮

ডা. অনামিকা- বয়স- ২৯

আপন- বয়স- ৩২



(অন্যান্য চরিত্র)

রিসিপশনিস্ট- বয়স- ২০

স্পেশালিস্ট ডাক্তার- বয়স- ৫০

-------------------------------

লোকেশন

একটি বালুচর জাগা নদী

পুরনো দিনের এক জমিদার বাড়ি

ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্ট

ডাক্তারের চেম্বার

ডায়গনোসিস সেন্টার

----------------------



দৃশ্য - ১



(ক) আলো আধাঁরী। আধমরা শঙ্খনদী। নদীর পাড় জুড়ে বালুচর। ধবধবে খালি পা। পায়ে নূপুর। বালুচরে পায়ের ছাপ ফেলে এগিয়ে চলছে নারী মূর্তি। পেছন থেকে আলোছায়ায় মেয়েটিকে দেখা যায়। পরনে সাদা শাড়ি। হাওয়ায় উড়ছে আঁচল।



# নেপথ্যে গিটারে সুর -

আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে...॥



# ধীরে ধীরে মেয়েটি ডিসলভ...।



(খ) দূরে একটি নদীর স্রোত ছুঁয়ে যাচ্ছে একটি আধ-ভাঙা নৌকা। এক তরুণের অবয়ব। চেহারা অস্পস্ট। পেছনে প্রায় ডুবন্ত সূর্যের লাল আভা গায়ে মেখে গিটার বাজাচ্ছে তরুণটি।

- কাট



# নেপথ্যে গিটারে সুর বাজছে-



আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে...॥





দৃশ্য - ২



ডুবন্ত সূর্যটাকে পেছনে রেখে আলোছায়ায় মুখোমুখি দুই তরুণ-তরুণী। অদ্ভুত রোমান্টিক তাদের অভিব্যক্তি। তরুণের নাম আপন, তরুণীর নাম অধরা। আপন গিটার বাজানো বন্ধ করে। এক মুহূর্ত নীরবতা।



অধরা : কী হলো থামলে কেন?

আপন : একমিনিট।



আপন অধরার হাত ধরে। পকেট থেকে একটি হীরের আংটি বের করে তার অনামিকায় পড়িয়ে দেয়। অধরা অভিভূত। আংটিটা উল্টেপাল্টে দেখে।



অধরা : এত্তো সুন্দর আংটি। কি সুন্দর পাথর। এটা কি হিরে নাকি?

আপন : হুমম ... হিরে। পছন্দ হয়েছে?

অধরা : খুউব, কিন্তু এযে অনেক দামী।

আপন : ভালোবাসার চেয়ে দামী নয়।

- কাট





দৃশ্য - ৩




নদীর পাড়। লঙ শটে নৌকায় বসা আপন অধরা। অন্ধকার খানিকটা গাঢ় হয়ে এসেছে। এবার আপন গিটার বাজিয়ে গান গেয়ে উঠেÑ ।



# গান-

আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে/ সাত সমুদ্দুর তের নদীর পাড়ে

আমার ময়ূর কণ্ঠী ভিড়িয়ে দিয়ে সেথা/ দেখে এলেম তারে/ শঙ্খ নদীর ধারে ॥



# টেলপ

গান চলছে। অধরা-আপন স্থীর।

নাম লিপি প্রদর্শন।

- কাট









দৃশ্য - ৪




নয়নতারা গ্রামের পুরনো জমিদার বাড়ি। বিশাল একটি রুমকে জমকালোভাবে বাসর ঘর হিসেবে সাজানো হয়েছে। বেশ রাত। ফুল-সজ্জায় বসা আপন-অধরা। বিয়ের পোশাকে আপন ও অধরা। রোমান্টিক আবহÑ



# নেপথ্যে খুব হালকা সুরে গ্রামোফোনে বাজছে, এসো এসো আমার ঘরে এসো... আমার ঘরে।



আপন : এই রাত সবার জীবনে একবারই আসে।

অধরা : না, কারো কারো জীবনে একাধিকবার আসে।

আপন : মানে...?

অধরা : এই ধরো আমি যদি মরে যাই, তারপর তুমি আরেকটা বিয়ে করবে। ঠিক আজকের মতো অন্য কেউ তোমার পাশে থাকবে।

আপন : ছিঃ, এই রাতে এমন সব অশুভ কথা বলতে হয় না।

অধরা : কেন যেন আমার মনে হয়, তোমার জীবনে আবারও এমন রাত আসবে।

আপন : এসব কি বলছো !

অধরা : ঠিক আছে, বলবো না।

আপন : আচ্ছা, বলো তো শহর ছেড়ে অনেক দূরে আমাদের র্প্বূপুরুষের এই ভাঙা বাড়িতে বাসর

কাটানোর উদ্ভট প্ল্যানটা কীভাবে এলো।

অধরা : কী বলো? উদ্ভট হবে কেন, রোমান্টিক প্ল্যান। আর এটা ভাঙা বাড়ি হতে যাবে কেন? এটা নয়নতারা গ্রামের জমিদারবাড়ি। কী সুন্দর নাম নয়নতারা। যেমন সুন্দর নাম, তেমন সুন্দর গ্রাম। কোথায় আছে এমন জায়গা, যার সব সুন্দর। তাই তো ঠিক করলাম, আমাদের

যৌথজীবনের প্রথম রাতটা কাটাবো এখানে। আমরা সময় পেলেই এখানে বেড়াতে আসবো,

কেমন?

আপন : জো হুকুম মহারানী, হাঃ হাঃ হাঃ। অদ্ভুত এক মেয়ে তুমি। হাঃ হাঃ হাঃ।

অধরা : অদ্ভূতের আর কী দেখলে তুমি, সবে তো শুরু। হিঃ হিঃ হিঃ।

আপন : হাঃ হাঃ হাঃ।

অধরা : হিঃ হিঃ হিঃ।



- কাট





দৃশ্য - ৫




ঢাকার আধুনিক একটি ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্ট। নববিবাহিত দম্পতি আপন-অধরা ঘর সাজাচ্ছে। তাদের মধ্যে ঘর সাজানো নিয়ে খুনসুঁটি। ড্রয়িংরুমের শোকেসে শোপিস সাজাচ্ছে অধরা। ছিমছাম হালকা সোফাটা টেনে ঠিকঠাক জায়গায় বসাচ্ছে আপন। এটা-সেটা ঠিকঠাক করতে কতেই তারা কথা বলছে।



অধরা : আই লাইক সিম্পলিসিটি। আমাদের ড্রয়িংরুমটা হবে একদম ছিমছাম। ভারি ফার্নিচার, ঢাউস সোফাসেট, পায়ের গোড়ালি ডুবে যাওয়া কার্পেট দিয়ে বসার ঘরটাকে বুড়ো বানাতে চাই না।

আপন : উহু, মিলছে না। আমার তো মনে হয় উল্টোটা।

অধরা : মানে ?

আপন : আমাদের নয়নতারা গ্রামের বৈঠকখানায় তো ভারি আসবাব, দামী কার্পেট, ঝাড়বাতি; ওসব তো খুব পছন্দ করেছিলে।

অধরা : হুম ...। জমিদার বাড়ির বৈঠকখানা তো ওরকম হবেই।

আপন : মনে পড়ে, প্রথমবার ওখানে গিয়ে আনন্দে পেখম তুলে নেচেছিলে।

অধরা : হিঃ হিঃ.. হুম খুউব মনে পড়ে।

আপন : হাঃ হাঃ হাঃ

- কাট







দৃশ্য - ৬



# ফ্যাশব্যাক



নয়নতারা গ্রামের জমিদারবাড়ির জমকালো বৈঠকখানা। দামী ও ভারি আসবাবপত্র। মখমলের কার্পেট। ঝাড়বাতি। পুরনো দিনের এইসব শান-শওকত খানিকটা মলিন। সবকিছুর মাঝেই খানিকটা জীর্নতা। গ্রামোফোনে গান বাজছে। অধরা নাচছে। আপন ঘুরে ঘুরে দেখছে। তার মুগ্ধ দৃষ্টি অধরার প্রতি। অধরার পরনে টকটকে লাল শাড়ি-ব্লাউজ।



# গ্রামোফোনে গান-



নাচ ময়ূরী নাচরে/ নাচ ময়ূরী নাচ

পেখম তুলে নাচরে/ হেলে দুলে নাচরে ॥



# অধরার ময়ুরী নৃত্য।



নাচতে নাচতে হঠাৎ করেই পেটের বাম পাশে ব্যথা অনুভব করে। তার ছন্দ এলোমেলো হয়ে যায়। পেট চেপে বসে পড়ে মেঝেতে। আপন ছুটে যায় তার পাশে।

Ñ কাট







দৃশ্য - ৭




অধরা-আপনের অ্যাপার্টমেন্ট। তারা ঘর সাজানোর কাজ করছে। দেয়ালে একটা পেইন্টিং ঝোলাতে গিয়ে অধরা পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে। হাত থেকে পেইন্টিং পড়ে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করে। একসময় পেট চেপে ব্যথায় লুটিয়ে পড়ে গোঙাতে থাকে। উদ্বিগ্ন আপন ছুটে যায় তার পাশে।



আপন : কি হলো, কি হলো ?

অধরা : না কিছু না, এই আর কী।

আপন : আবার সেই ব্যথা !

অধরা : আরে.. ও কিছু না। এখুনি ঠিক হয়ে যাবে। এমন তো আমার মাঝেমধ্যেই হয়। একটু পর ঠিক হয়ে যায়।

আপন : ভয় তো সে জন্যই। কেন এমন হবে?

অধরা : আহ, অযথা ভয় পাচ্ছো। তুমি আমাকে ধরে বেডরুমে নিয়ে যাও তো। ৫ মিনিট শুয়ে

থাকলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।



# আপন অধরাকে ধরে বেডরুমের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।



আপন : না, আর হেলা করা ঠিক হবে না। কেনো এমন হবে? তোমার থরো চেকআপ করাটা খুব জরুরী।



- কাট









দৃশ্য - ৮




স্পেশালিস্ট ডাক্তারের চেম্বার। বেডে শোয়া অধরা। তার প্রেসার মাপছে ডাক্তার। পাশে দাঁড়ানো আপন। তার হাতে রিপোর্টের বড় কয়েকটা খাম। ডাক্তার প্রেসার মাপা শেষ করেন।



ডাক্তার : সব কিছুর মতো প্রেশারও তো নরমাল। রিপোর্টগুলো করিয়েছেন?

আপন : জ্বি, এই যে ... ।



# ডাক্তার আপনের হাত থেকে খাম নেয়। মনোযোগ দিয়ে রিপোর্ট দেখে।



ডাক্তার : নাহ, এভরিথিং নরমাল। এক্সরে রিপোর্ট দিন তো আরেকবার দেখি।



# ডাক্তার খুব মনোযোগ দিয়ে এক্সরে রিপোর্ট দেখে। অধরা-আপন একে অন্যের দিকে একমুহূর্ত তাকায়।



ডাক্তার : না, এখানেও তো কোনো প্রবলেম দেখছি না। সবকিছু নরমাল। মিসেস অধরা, আপনি তো পুরোপুরি ঠিক আছেন। কোথাও কোনো সিমটম খুজে পেলাম না। মিস্টার আপন, আপনি বোধহয় অযথা টেনশন করছেন।

আপন : না প্রফেসর, হঠাৎ হঠাৎ ব্যথাটা উঠে। টেনশন হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।

ডাক্তার : হুম, খুব সম্ভবত এটা বিশ্রামের অভাবে হতে পারে। আবার অনিয়মের জন্যও হতে পারে। আমার মনে হয় মিসেস অধরা, আপনি ঠিক মতো রেস্ট নেন না।

অধরা : কই, তেমন অনিয়ম তো করি না। আর রেস্টে তো বলা যায় সারাদিনই থাকি। আপন অফিস যাওয়ার পর শুয়ে বসেই তো সময় কাটে।

ডাক্তার : তাই ! বেশি শুয়ে বসে কাটানোটাও আপনার শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। বাসায় ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করবেন বুঝলেন। খাওয়া-দাওয়া-ঘুম কোনোকিছুতেই অনিয়ম করবেন না। এছাড়া আপনাকে প্রেসক্রাইব করার মতো কিছু নেই।



Ñ কাট





দৃশ্য - ৯




অধরা-আপনের বেডরুম। অধরার পরনে এক্সারসাইজ স্যুট। সে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করছে। শোয়া থেকে দুহাত তুলে উঠে বসছে। আবার শুয়ে পড়ছে। তোয়ালে দিয়ে হাত মুখ মুছতে মুছতে আপন বেডরুমে ঢোকে।



আপন : এ কি! তুমি এখনো এক্সারসাইজ করছো?

অধরা : হুম, ডাক্তারের সাজেশন। ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ। না মেনে কী উপায় আছে!

আপন : তাই বলে এখন? এই শোওয়ার সময় এক্সারসাইজ!

অধরা : আসলে জানো আপন। এক্সারসাইজটা শুরু করার পর প্রায় একমাস হলো, একবারের জন্য

আর ব্যথাটা উঠে নি। কি যে ভালো লাগছে আমার। আমি ভালো হয়ে গেছি। সম্পূণ সুস্থ।

আপন : তাই, ভালো। তা সুস্থ মানবী, বেডরুমে আপনি একা একা রাতভর এক্সারসাইজ করেন। আমি

যাই, ড্রয়িংরুমের সোফাতে শুয়ে ঘুম দেই।

অধরা : আরে না, এক্সারসাইজ তো কখন শেষ। তোমার জন্যই অপোয় আছি।

আপন : তাই নাকি!

অধরা : দাঁড়াও, একমিনিট। চট করে ড্রেসটা চেঞ্জ করে আসি।



# আপন ড্রয়িংরুমের দিকে রওনা দেয়। অধরা লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামে। আপনের হাত ধরে। দুজন হাসে। হঠাৎ অধরার হাসি থেমে যায়। সে আবার ব্যথা অনুভব করে। সে ব্যথাটা আপনের আড়াল করতে চাইলেও পারে না।



আপন : অধরা, অধরা.. কী হলো?

অধরা : না, কিছু না।

আপন : আবার, আবার সেই ব্যথা।



# অধরা এক মুহূর্ত নিশ্চুপ থাকে। এরপর ডুকরে কেঁদে ওঠে।



অধরা : এ ব্যথা থেকে আমার মুক্তি নেই আপন।

আপন : কালই তোমাকে আরেকজন স্পেশালিস্টের কাছে নিয়ে যাবো। তিনি ধরতে না পারলে

আরেকজনের কাছে। দরকার পড়লে দেশের বাইরে যাবো তোমার চিকিৎসার জন্য।

অধরা : আমার খুব ভয় করে আপন, খুব ভয় করে।

আপন : কোনো ভয় নেই অধরা, কোনো ভয় নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।



# অধরা আপনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। আপন তাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে।



- কাট



দৃশ্য - ১০[

কিছু ডিটেইল শট। রাজধানীর কিছু বড় বড় ডাক্তারের চেম্বারের সাইনবোর্ড।

কয়েকটা চেম্বারে আপন-অধরা ঢুকছে আর বের হচ্ছে।

- কাট





এরপর চলবে... চাই পরামর্শ....









































































মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০

মাক্স বলেছেন: টুকে রাখলাম!

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

ক্ষয়রোগ বলেছেন: Go on

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.