নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লতার যতো কথা

কেউ বুঝে না এই আমাকে...তাই আমিও কাউকে আর বুঝতে চাই না।

লতিফা লতা

কেউ বুঝে না এই আমাকে ... তাই আমিও কাউকে বুঝতে চাই না ।

লতিফা লতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর অগ্রযাত্রা: সমুদ্রে জাহাজ চালনায় প্রথম বাংলাদেশের নারী

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২০

বিমানের পাইলট, পুলিশ ও সশস্ত্রবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেও বাণিজ্যিক জাহাজে নাবিক হিসেবে এবারই প্রথম কাজ শুরু করলেন বাংলাদেশের নারীরা৷শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমভি বাংলার শিখা’ জাহাজে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজন নারী ক্যাডেট যোগদান করেছেন।



বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে ক্যাডেট হিসেবে প্রথম ব্যাচে মোট ১৩ জন নাবিক তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেন গত ডিসেম্বরে। তাদের মধ্যে দুজন মেরিন অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন ‘এমভি বাংলার শিখা’ জাহাজে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১ জন ক্যাডেট বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের চারটি জাহাজে যোগদান করবেন।



শনিবার এমভি বাংলার শিখা জাহাজে ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে লাভলী দাস এবং ডেক ক্যাডেট হিসেবে বিউটি আক্তারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য জাহাজে নিয়োগ পাওয়া ১১ জন নারী ক্যাডেট।



কনটেইনার পরিবহনকারী বাংলার শিখা জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মংলা বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়ায় নিয়োজিত আছে। রোববার জাহাজটি মংলা বন্দরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা।



এসময় নৌমন্ত্রী বলেন, একসময় মেয়েরা গাড়ি চালাত, উড়োজাহাজ চালাত। এখন বাংলাদেশের মেয়েরা জাহাজও চালায়। বিএসসির পাঁচটি জাহাজে এই ১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’



নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর ডেক ক্যাডেট বিউটি আক্তার জানান, দুই আত্মীয়কে এই পেশায় থাকতে দেখে আগ্রহ তৈরি হয়। গত বছর ক্যাডেট হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রথম নিয়োগ পেলাম।



নারী নাবিক নিয়োগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজে নারীদের মেরিন অফিসার হিসেবে চাকরি বাংলাদেশে নতুন এক ইতিহাস৷ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের প্রতিটি জাহাজে দু'জন করে নারী মেরিন অফিসার নিয়োগ দেয়া প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ মেরিন একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৩ জন নারী মেরিন ক্যাডেট জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন৷ তাদের আবেদন মধ্যে দুজনের নিয়োগ সম্পন্ন হলো। পর্যায়ক্রমে বাকি ১১জনকেও নিয়োগ দেয়া হবে।



তিনি জানান, তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত হতে আরো এক বছর লাগবে৷ এখন তাঁরা ক্যাডেট হিসেবে শিপিং কর্পোরেশনে যোগ দিয়ে এক বছরের প্রশিক্ষণ নেবেন৷ তারপর বিভিন্ন জাহাজে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে৷



মাকসুমুল কাদের বলেন, প্রশিক্ষণকালীন ক্যাডেটদের সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা দেওয়া হবে। এসব সুযোগ-সুবিধার পেছনে প্রতিজন ক্যাডেটের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে।



প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে নারী ক্যাডেটদের জাহাজে কাজ করাকে একটি ‘বিশেষ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং নারীর ক্ষমতায়তনের বিষয় বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপুর্ণ।



সমুদ্রগামী জাহাজে কাজ করার মধ্য দিয়ে তারা পুরুষের পাশাপাশি সমান ভূমিকা রাখবেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।



জানা গেছে, সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিক পদে বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে ১৯৪৫ সালে যোগ দিয়েছিলেন সুইডিশ এক নারী৷ পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই জাহাজে অফিসার পদে যোগ দিলেও এত দিন বাংলাদেশি নারীদের কোনো সুযোগ ছিল না৷



মেরিন প্রশিক্ষণে নারী ক্যাডেট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও) নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০১২ সালে মেরিন প্রশিক্ষণ শুরু হয়৷ গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং দুই শাখায় মোট ১৩ জন নারী ক্যাডেট প্রশিক্ষণ শেষ করেন৷ বর্তমানে দ্বিতীয় ব্যাচে তিনজন নারী ক্যাডেট রয়েছেন৷



নিউজ বিমানের পাইলট, পুলিশ ও সশস্ত্রবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেও বাণিজ্যিক জাহাজে নাবিক হিসেবে এবারই প্রথম কাজ শুরু করলেন বাংলাদেশের নারীরা৷শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমভি বাংলার শিখা’ জাহাজে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজন নারী ক্যাডেট যোগদান করেছেন।



বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে ক্যাডেট হিসেবে প্রথম ব্যাচে মোট ১৩ জন নাবিক তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেন গত ডিসেম্বরে। তাদের মধ্যে দুজন মেরিন অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন ‘এমভি বাংলার শিখা’ জাহাজে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১ জন ক্যাডেট বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের চারটি জাহাজে যোগদান করবেন।



শনিবার এমভি বাংলার শিখা জাহাজে ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে লাভলী দাস এবং ডেক ক্যাডেট হিসেবে বিউটি আক্তারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য জাহাজে নিয়োগ পাওয়া ১১ জন নারী ক্যাডেট।



কনটেইনার পরিবহনকারী বাংলার শিখা জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মংলা বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়ায় নিয়োজিত আছে। রোববার জাহাজটি মংলা বন্দরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা।



এসময় নৌমন্ত্রী বলেন, একসময় মেয়েরা গাড়ি চালাত, উড়োজাহাজ চালাত। এখন বাংলাদেশের মেয়েরা জাহাজও চালায়। বিএসসির পাঁচটি জাহাজে এই ১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’



নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর ডেক ক্যাডেট বিউটি আক্তার জানান, দুই আত্মীয়কে এই পেশায় থাকতে দেখে আগ্রহ তৈরি হয়। গত বছর ক্যাডেট হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রথম নিয়োগ পেলাম।



নারী নাবিক নিয়োগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজে নারীদের মেরিন অফিসার হিসেবে চাকরি বাংলাদেশে নতুন এক ইতিহাস৷ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের প্রতিটি জাহাজে দু'জন করে নারী মেরিন অফিসার নিয়োগ দেয়া প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ মেরিন একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৩ জন নারী মেরিন ক্যাডেট জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন৷ তাদের আবেদন মধ্যে দুজনের নিয়োগ সম্পন্ন হলো। পর্যায়ক্রমে বাকি ১১জনকেও নিয়োগ দেয়া হবে।



তিনি জানান, তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত হতে আরো এক বছর লাগবে৷ এখন তাঁরা ক্যাডেট হিসেবে শিপিং কর্পোরেশনে যোগ দিয়ে এক বছরের প্রশিক্ষণ নেবেন৷ তারপর বিভিন্ন জাহাজে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে৷



মাকসুমুল কাদের বলেন, প্রশিক্ষণকালীন ক্যাডেটদের সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা দেওয়া হবে। এসব সুযোগ-সুবিধার পেছনে প্রতিজন ক্যাডেটের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে।





প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে নারী ক্যাডেটদের জাহাজে কাজ করাকে একটি ‘বিশেষ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং নারীর ক্ষমতায়তনের বিষয় বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপুর্ণ।



সমুদ্রগামী জাহাজে কাজ করার মধ্য দিয়ে তারা পুরুষের পাশাপাশি সমান ভূমিকা রাখবেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।



জানা গেছে, সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিক পদে বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে ১৯৪৫ সালে যোগ দিয়েছিলেন সুইডিশ এক নারী৷ পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই জাহাজে অফিসার পদে যোগ দিলেও এত দিন বাংলাদেশি নারীদের কোনো সুযোগ ছিল না৷



মেরিন প্রশিক্ষণে নারী ক্যাডেট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও) নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০১২ সালে মেরিন প্রশিক্ষণ শুরু হয়৷ গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং দুই শাখায় মোট ১৩ জন নারী ক্যাডেট প্রশিক্ষণ শেষ করেন৷ বর্তমানে দ্বিতীয় ব্যাচে তিনজন নারী ক্যাডেট রয়েছেন৷

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এই বিষয়ে প্রথম আলোর আজকের কলামটা কি আপনার লেখা !?

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অভিনন্দন লেডী ক্যাডেটদেরকে।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

জানা বলেছেন:

@লতিফা লতা,

আমাদের সিস্টেমে আপনার যে সেল নম্বরটি আছে, তাতে আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আপনার সাথে একবার কথা বলতে চাইছি। সম্ভব হলে আমাকে আজই একবার ফোন করুন। ০১৭১৩০০৮৯০০।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.