নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লুব্ধক

আমি খুব সাধারণ একজন। সাধারণের ভিড়েই আমার বেড়ে ওঠা ,সাধারণের ভিড়েই বিচরণ আর সাধারণের ভিড়েই পথ চলা ......

লুব্ধক০১

আমি খুব সাধারণ একজন। সাধারণের ভিড়েই আমার বেড়ে ওঠা ,সাধারণের ভিড়েই বিচরণ আর সাধারণের ভিড়েই পথ চলা ......

লুব্ধক০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৭



ছোটবেলার একটা ঘটনার কথা মনে আছে। আমার বাসার ভেন্টিলেটরের মাঝে থাকতো কয়েকটা চড়ুই পাখি। একদিন আমি বসে বই পড়ছি এমন সময় দেখলাম একটি চড়ুই পাখি ঘরে ঢুকল এদিকে মাথার উপরে সিলিং ফ্যান ঘুরছে। চড়ুইটার সেদিকে কোন খেয়ালই নেই যে কত বড় একটা বিপদ অপেক্ষা করছে তার জন্য। আমি সঙ্গে সঙ্গে উঠেই ফ্যানটা বন্ধ করলাম কিন্তু সিলিং ফ্যান তো বন্ধ হতে সময় লাগে । এদিকে চড়ুইটাও বিপদজনক ভাবে উড়ছে। আমি চোখের পলক না ফেলে তাকিয়ে আছি...

না , আমি সেদিন বাচাঁতে পারিনি পাখিটাকে। তাই বলে বাঁচানোর সম্ভাবনা শূণ্যের কোঠায় জেনেও চুপ করে বসে থাকতে পারিনি। একটি প্রাণও যদি আমাদের চেষ্টায় বেঁচে যায় তাহলেই আমাদের জীবনের সার্থকতা। বাঁচাতে পারি আর না-ই পারি তাই বলে কিছুতেই হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকবনা! হোক সে ক্যান্সারের ভাইরাস, হোক সে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, মানুষের চেয়ে বড় কিছুই নেই। মানুষ কিছুতেই হেরে যায়না। হয়তো শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বে কিন্তু হারবেনা কিছুতেই।।

এবার আরেকজনের কথা বলি। নাম তার জিনিয়া। ছোটবেলা থেকেই সে ছিল ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল। কিন্তু বইয়ে মুখ গুজে থাকতোনা মোটেই। সদা হাস্যোজ্জ্বল সে মেয়েটির চোখে স্বপ্ন ছিল একদিন অনেক বড় হবার।স্কুল কলেজের পাট চুকিয়ে ভর্তি হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন টেকনোলজিতে, সেখান থেকেও বের হল ডিপার্টমেন্টের প্রথম হয়ে। সমাবর্তন ও হল, যেদিন সে নিয়ে এল তার স্বপ্নের সনদপত্র। তার কয়েকদিন পরেই এল খবরটা।

হালকা অসুস্থতা আগেই ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় রক্ত পরীক্ষা করা হল । আর তাতেই ধরা পড়লো মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার। আর তা পৌঁছে গেছে তার ক্ষতিকর পর্যায়ে , যাকে সচরাচর বলা হয়ে থাকে Acute Myeloid Leukemia (AML). যেখানে একটি দিন দেরি মানেই অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকে। ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে এখন জরুরী ভিত্তিতে কেমোথেরাপি এবং পরবর্তীতে হয়তো বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হতে পারে। কিন্তু কেমোথেরাপি দিতে হবে এখনি। যত দেরি হবে , ততই অবস্থা খারাপের দিকে যাবে।

না, হেরে যেতে চায়না জিনিয়া। আর চাইলেই বা আমরা তাকে হারতে দেবো কেন? মানুষ পরাজিত হবে সামান্য ক্যান্সারের কাছে, তা কিছুতেই হতে পারেনা। আমরা তা হতে দিতে পারিনা!

জিনিয়াকে যে কেমোথেরাপি দিতে হবে তার জন্য আপাতত প্রয়োজন ৭৫ লক্ষ টাকা। এত টাকা যোগাড় করা তার পরিবারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। টাকা যোগাড় করতে দেরি হলে ততদিনে হয়তো এই মরণ ব্যাধি আরো জেঁকে বসবে জিনিয়ার রক্তে রক্তে। এ অবস্থায় এ মরণ ব্যাধির সাথে তার যুদ্ধে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বাড়িয়ে দিতে হবে সহযোগীতার হাত।

জিনিয়ার জন্য আমরা এগিয়ে আসতে পারি বিভিন্ন ভাবে। তার চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। একবার ভেবে দেখুনতো, যদি জিনিয়া সুস্থ হয়ে ওঠে তাহলে একটি জীবন ঋনী হয়ে রইলো আপনার কাছে। হাজার কোটি টাকা খরচ করেও তো আমরা একটি জীবন দিতে পারবোনা, তাই যে জীবন আছে তাকে যেকোন মূল্যে বাঁচানো দরকার।

আর আর্থিক ভাবে না পারলেও আপনি এগিয়ে আসতে পারেন অন্য ভাবে। আপনার শরীর থেকে ১-২ ব্যাগ রক্ত চলে গেলে আপনার কিছুই হবেনা কিন্তু তা সাহাজ্য করবে জিনিয়ার জীবনরক্ষায়! আপনার রক্তের গ্রুপ যদি ও-পজিটিভ হয় তাহলে এগিয়ে আসতে পারেন রক্তদান করতে।

আর তা-ও যদি সম্ভব না হয় তবে অন্তত ওর জন্য একটু প্রার্থণা করুন। ও যেন এই যুদ্ধে হেরে না যায়! এ যুদ্ধে হার মানে একটি স্বপ্নের মৃত্যু, একটি হাসির ম্লান হয়ে যাওয়া, মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণ! সেটি কি হতে দেয়া যায় বলুন??

জিনিয়াকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে তার বিস্তারিত নিচে দেয়া হল, এছাড়া যেকোন ধরনের সংবাদ জানিয়ে দেয়া হবে পাওয়া মাত্রই।

বিকাশ নং – 01738275127

বিকাশ নং টি পার্সোনাল । এটা জিনিয়ার ভাইয়ের নাম্বার

যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরেঃ 01714361789



Money(Taka, USD or any other Foreign currency) can be sent in below SCB account:

Account Name: Md Jashim Uddin (Zenia's Brother)

Account No-18117105901

Standard Chartered Bank

Branch - Gulshan North

Branch Routing No- 215261900

SWIFT code for Standard chartered bank: SCBLBDDX




for blood donation there is a public group .

here is link

Click This Link



রক্ত দিতে হবে

hematology unit (floor-14)

ward room number -1511

bed number - FP(Green 3), PG Hospital Dhaka

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

এহসান সাবির বলেছেন: দেখি কি করতে পারি।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সকলকে এগিয়ে আসার আহবান করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.