![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত এক সপ্তাহ মনটা খুবই খারাপ।গত মাসে বাড়ি থেকে আসার সময় খুব বেশি টাকা আনতে পারিনি।আসলে,আনতে পারিনি বললে ভুল হবে কারন ডিসেম্বরে বাবা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গুপ্রায়। তিনিই ছিলেন দুই ভাই আর এক বোনের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম।আজ সন্ধ্যাতে মায়ের সাথে ফোনে কথা বললাম।কথা বলার সময় মা খুব কান্না করেছে,আমিও খুব কেঁদেছি। মা কেঁদেছে আমাকে টাকা পাঠাতে পারিনি বলে,আর আমি কেঁদেছি মায়ের কান্না শুনে।গত তিনদিন আমার কাছে কোন টাকা নেই।সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার খাচ্ছি বাকি করে। টাকার অভাবে বিকালের নাস্তাটা বন্ধ করে দিছি।আর এদিকে মিডটার্ম পরিক্ষা চলছে, সামনের মাসে ভর্তি হতে হবে,চিন্তায় চিন্তায় পরিক্ষাও খুব বেশি ভালো হচ্ছেনা।এতদিন ফ্রিল্যাঞ্ছিং রিপোর্টিং আর বাড়ি থেকে কিছু টাকা নিয়ে মোটামুটি টেনেটুনে চলছিল কিন্তু এখন রিপোর্টিংএর কাজটা নেই আর বাড়ি থেকেও টাকা দেবার পরিস্থিতিও নেই।ভাবছি কিছু একটা করতে হবে, কিন্তু কি করব একমাস ধরে টিউশনির জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু মন মত পাইনি।পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে।পড়াশোনার বাইরে সময় দেয়াও খুব অসম্ভব।এখন কি করব বুঝতে পারছিনা! মাকে আজ বললাম- “মা, আমি না হয় পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাড়িতে চলে আসি, আমার জন্য তোমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়।আমি না হয় ছোট খাটো কিছু একটা করে তোমাকে আর বাবাকে খাওয়াব। তোমাদের ভরণপোষণ দিতে আমার এতো বেশি লেখাপড়া করার দরকার নেই”।এ কথা বলতেই শুনি ফোনের ঐ পাশ থেকে মা অঝরে কাঁদছেন আর এ পাশ থেকে আমিও।আমাকে নিয়ে বাবা মায়ের অনেক স্বপ্ন।কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কিভাবে আমি বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করব?জীবন যুদ্ধে আমি মনে হয় হেরে যেতে চলেছি!আমাকে ক্ষমা করে দিও মা,আমাকে ক্ষমা করে দিও!!
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১
পুলক ঢালী বলেছেন: ঘটনা খুব মর্মস্পর্শী না খেয়ে কিভাবে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব একটা বিকাশ নম্বর দিন আর আপনার মোবাইল নম্বর দেন কিছু টাকা পাঠাই ।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০২
বোকামন বলেছেন:
আশা হারাবেন না ... সাহস রাখুন
জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
যাযাবর৮৮৮ বলেছেন: @ঝটিকা, পুলক ঢালী, বোকামন, আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের মত শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুপ্রেরণাই আমি আজ এখানে। দোয়া করবেন আমি যেন আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
ঝটিকা বলেছেন: ভাইয়া আপনার লেখাটা পড়ে খুবই খারাপ লাগল। আপনার দু:খ লাঘব করার বা কোন চাকরি বা কোন ভাবে সাহায্য করার ক্ষমতা আমার নেই।শুধু বলব ভেঙে পড়বেন না। বন্ধু বান্ধব বা কাছের মানুষদেরকে বলুন আপনাকে টিউশানি বা ছোট খাট কোন কাজ জোগাড় করে দিতে।
আপনি লিখেছেন ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ছেন, সাব্জেক্টও ভালো। আপনি বলুন বাংলাদেশের কয়টা ছেলে এখানে পড়তে পারে? এটা ঠিক আপনাকে ক'টা বছর একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আমার আপন ফুফাত ভাই ঢাকা ভার্সিটিতে পড়া কালিন টিউশানি করে বেশ অনেক টাকা ইনকাম করত এবং তার ছোট বোনকে মেডিকেলে পড়ার পুরা খরচ চালাত (ফুফার অবস্থা বেশি ভালো ছিলনা)। ভাইয়ার রেজাল্ট বেশ ভালো ছিল, এখন আমেরিকায় পোস্ট ডক করছেন। আপনি কেন পারবেন না, অবশ্যই পারবেন। পরিশ্রমের, চেষ্টার এখনি তো উপযুক্ত বয়স। আপনার জন্য দোয়া রইল।