![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কঠিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।
সন্তান পরিবার এসব নিয়ে আরো কিছু পোস্ট দিয়েছিলাম। এবার বলবো যাদের সন্তান বিদেশে থাকে তাদের কে নিয়ে। সবাইকে এই পোস্ট এ আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যাতে জীবনে কখন কোন সময় ভুল সিধান্ত না নিয়ে নেন আপনারা। যাতে সারাজীবন কষ্ট পেতে না হয় সে জন্যই।
আসুন তাহলে জেনে নেই সে সব বিষয় গুলো -
এটা খুব কমন একটা ব্যাপার যে সন্তান যখন পাশে থাকে তখন সে তেমন একটা অনুভব করতে পারে না দূরে থাকার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আমার সাথে আপনারা একমত ও হতে পারেন আবার নাও পারেন। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আর এটাই যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।
সন্তান দূরে চলে গেলে যেমন বাবা আর মায়ের কষ্ট হয় তেমনি সন্তানের ও কষ্ট হয়। সন্তান দেশে থাকা অবস্থায় যদি বাবা আর মায়ের সাথে ঠিক মত কথা বলা বা পছন্দ না করে তার মানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল নাও থাকে তারপরও সন্তান দেশ থেকে চলে গেলে যে পরিমাণ মন থেকে অনুভব করে তার মা আর বাবা কে তা সত্ত্যি অন্য রকম এক ব্যাপার হয় তখন।
তাই বাবা আর মা দের বলছি যদি সন্তানের উপর কোন রাগ অভিমান থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ভুলে যান। নিজের সন্তান কে আপন করে ভাবতে থাকুন। মনে রাখবেন আপনাদের দোয়া, দূরে থেকেও পাশে থাকা আর উৎসাহই পারে সেই সন্তানকে অনেক দূর নিয়ে যেতে।
যা যা করবেন -
•নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
•অন্তত ৬ মাস পর পর বিদেশ এ সন্তান এর কাছে যান আর যারা যেতে পারেন না ৬ মাস পর পর তারা চেষ্টা করুন ১ বছর বা দেড় বছর পর পর যেতে।
•সন্তান যদি বিবাহিত হয় তাহলে যে ভাবেই হোক বাবা আর মা উভয়ের উচিত ফোন করে কথা বলা নিয়মিত।
•পারিবারিক বন্ধনকে মজবুত করার চেষ্টা করুন । মনে রাখবেন এটা অনেক জরুরি একটা বিষয়।
•বছর এর ২ ঈদ অথবা পূজা ইত্যাদিতে চেষ্টা করুন কাপড় / খাবার পাঠাতে। যদি ২ বার পাঠাতে না পারেন তাহলে ১ বার পাঠান।
•আপনার মেয়ে তার স্বামী সহ বিদেশ থাকলে চেষ্টা করুন জামাই এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে।
•একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার মেয়ে ওখানে নিজেকে একা মনে না করে। স্বামী যাতে মনে করে মেয়ে অসহায় নয়।
•নাতি নাতনীর সাথে সময় পেলেই কথা বলবেন।
•যে কোন রকম সমস্যায় পড়লে যাতে আপনারা আপনার সন্তান এর পাশে থাকতে পারেন সেটাই চাইবেন। হোক সেটা ফোনে; কিন্তু তারপর ও ।
•সন্তান যদি চায় যে তার মা আর বাবা আসুক বিদেশ এ তাহলে চেষ্টা করুন যেতে। কারণ এতে আপনাদের পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। আর এতে জামাই এর কাছে আপনার আর আপনার মেয়ের কদর বাড়বে বই কমবে না।
•এমন মধুর এক সম্পর্ক তাদের সাথে তৈরি করুন যাতে তারা তাদের মনের কথা সব আপনাদের খুলে বলতে পারে । বিশেষ করে বিদেশে গেলে বাবা আর মা কে তার খবর কিছুই জানাতে চায় না সন্তান। তাই এটা জরুরি আপনাদের জন্য।
হাসি আর আনন্দে কাটুক সবার জীবন । বিদায় ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৬
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৯
ব্লুম্যাজিক বলেছেন: ভাল লিখছেন। আমারা জারা সন্তান বাবা মা প্রতি আমাদের যে দায়িত্ত ও কর্তব্য সেই গুলু ঠিক মত পালন করা উচিত। অনেকে দেশের বাহিরে গেলে বাবা মায়ের আর কন খবর ও রাখে না।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
আর ঠিক ই বলেছেন । অথচ এটা করা একদম ই ঠিক না ।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আরিয়ানা বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ভাল পোস্ট। +++
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৬
কৃষ্ণনগর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।যোগাযোগ হচ্ছে সম্পর্ক মধুরতর করার সর্বোত্তম পদ্বতি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭
শিক্ষানবিস বলেছেন: কতগুলো সুন্দর পরামর্শ। ভাল লাগল
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
আহমেদ কায়সার নাসির বলেছেন: ভালোলাগলো..শুভ কামনা।