![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই জন্মে এবং এরপরের জন্মেও (যদি সত্যি নতুনকরে আবার জন্মানোর সুযোগ দেন করুণাময় আমাকে,) আমি কেবল একজন কবি-ই হতে চাইব
গরিবঘরের জয়
মাহদী হাসান
রমযানের অই সন্ধাকাশে হঠাত যদি
হেসে উঠে বাঁকাখানি চাঁদ,
কষ্টব্যাথা যে যার যত
থাকুক সবার হাজার শত,
সব ভুলে সব মিলে গিয়ে
ভেদঅভেদের মিথ্যে নাটক,
শ্রেণির খেলা চুলোয় দিয়ে
ঈদখুশিতে ছুটায় সবাই আনন্দেরই বাঁধ।
তখনো কোথাও গুমড়ে উঠে
কান্না ব্যাথার নীল,
গরিব ঘরে চাঁদ উঠেনি তবে? ছেঁড়া জামায়
ফুল ফুটেনি নতুন সুতার,
ফিরনি পায়েস হয়নি ক পাক,
পোলাও কোরমা দূরেই থাক
গরিবঘরের এইযে খবর
পায়নি তো টের বড়লোকে,
মানুষ সবাই একই হলে ভিন্ন কেন দিল?
ঈদখুশি তো সবার সমান, নয় ব্যবধান
কেউ কারোতে, মানুষ সবাই এক,
রাস্তা সবার একই চলার,
কেউ হাঁটে কেউ বা বসে,
কেউ ঘেমে কেউ অারামে,
ভিখ মাগে কেউ, উজার করে
ভালোবেসে করছে দান,
দান করে যে শান্তি মনে নেই ব্যাথা তার
নেই হেলা কোন, সেই তো মানুষ দ্যাখ।
ঈদখুশিতে জোয়ার বয়, একপাড়াতে
বেজায় জোর, অন্যপাড়া থম মেরে রয়,
নেই খুশি, নেই হাসি। মুখ পুরা তার
বাঁসি। বড়লোকের থেকেও কাছে
মুখ ফুটে না তার হাসি। নতুন জামা
নতুন কাপড় গরিব ঘরে আসে না
বড়লোকে সব নিয়ে যায়,
প্রাণের হাসি নেই নতুনে, তাই ত দেখি
বড়ঘরই সুখে কেন ভাসে না,
অাসল সুখ থাকুক পড়ে কমকিছুতে,
হোক না ঈদে এবার থেকে গরিবঘরের জয়।
©somewhere in net ltd.