নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ছাত্র এর পাশাপাশি ফ্রিল্যানসিং করি। সবার সারা পেলে আমি আরো লিখবো ধন্যবাদ।

মাহির রহমান

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

মাহির রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ালটনের ইনভার্না সিরিজের দুই টনের নতুন স্মার্ট এসি!

০২ রা জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৩



কয়েকবছর আগেও এসির মত হোম ইলেকট্রনিক্স এপ্লায়েন্স অনেকটা বিলাসিতা মনে হলেও; বর্তমানে এসি আর বিলাসিতার পর্যায়ে নেই! এসি হয়ে পরেছে বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা সস্থি ফেরানোর জন্য অন্যতম প্রয়োজন। আর এমন অবস্থায় হওয়া চাই, দেশের আবহাওয়ার বিবেচনায় ভালভাবে কার্যকর মানসম্মত এবং সাশ্রয়ী একটি এসি। আর এই ক্ষেত্রে নাম চলে আসবে দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের নাম! ওয়ালটন বেশ সুনামের সাথে দেশে আবহাওয়ার উপযোগী করে অনেকদিন হল মানসম্মত নানান মডেলের এসি উৎপাদন কোরে আসছে। ওয়ালটন কেবল দেশের বাজারেই নয়, দেশের বাইরেও সুনামের সাথে তাদের বিভিন্ন মডেলের এসি রপ্তানি করে আসছে।    


আপনার ঘর যদি ১৮০ থেকে ২৪০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে হয়, তবে আপনার জন্য ২ টন তথা ২৪০০০ বিটিইউ ক্যাপাসিটির এসি প্রয়োজন। অনেকে আবার ১টন বা ২টন বলতে এসির সাইজকে বুঝি; তবে ১ টন মানে ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার একইভাবে ২ টন মানে ২৪০০০ বিটিইউ/আওয়ার। ২ টনের এসি প্রতি ঘণ্টায় ঘর থেকে ২৪০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে। সেইহিসেবে যত বেশি টন ; তত বেশি তাপ শোষণ ক্ষমতা। বাইরের এসি আমাদের দেশের আবহাওয়ার উপর বিবেচনা করে একটি এসি সঠিক পরিমান তাপ শোষণ করতে পারবে কিনা, সেই বিষয়টিও এসি কেনার পূর্বে বিবেচনা করে নিতে হবে। 

WSI-INVERNA-24C 

এই লেখায় আলোচনা করব ওয়ালটনের নতুন ইনভার্না মডেলের ২৪০০০ বিটিইউ, তথা ২ টন ক্যাপাসিটির একটি এসি সম্পর্কে। এটি ওয়ালটনের ইনভার্না সিরিজের একটি আকর্ষণীয় ডিজাইনের ডুয়াল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি সম্বলিত ইনভার্টার এসি। এটি একটি ৭০৩৪ ওয়াটের এসি, এবং এতে ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব আর-৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। এসিটির বাজার মূল্য ৭৭৪০০  টাকা।   

এসি কন্ট্রোল হবে স্মার্ট


WSI-INVERNA-24C এটি একটি স্মার্ট আইওটি বেইজড এসি। যার ফলে এই এসিটিকে রিমোট ছাড়াও মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যাবে।  এসিটি বাসার বা অফিসের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত থাকবে; আর অ্যাপটি দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকেই এই এসিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।  

বাতাসকে বিশুদ্ধ করবে ডুয়াল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি 


ওয়ালটন বাংলাদেশের অন্যতম একটি কোম্পানি যারা তাদের নিত্যনতুন এসিতে ডুয়াল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। ইনভার্না মডেলের এই এসিতেও ওয়ালটন ডুয়াল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে! এসিটিতে বাতাসকে বিশুদ্ধ করার জন্য এই ডুয়াল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি পাওয়া যাবে, যাতে পাওয়া যাবে পরপর দুটি দারুন কার্যকরী সুবিধা; একটি আইওনাইজার এবং আরেকটি হচ্ছে অ্যান্টি ভাইরাল ফিল্টার। আইওনাইজার সুবিধা সম্পর্কে আমরা অনেকেই ইতিমধ্যে জানি; এটি এসির মাধ্যমে বাতাসে নেগেটিভ আয়ন উন্মুক্ত করে দিয়ে বাতাসের খারাপ কিছু উপাদানকে বিনষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে এর পাশাপাশি এসিটিতে থাকা অ্যান্টি ভাইরাল ফিল্টার এর বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাতাসকে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। আর এই  অ্যান্টি ভাইরাল ফিল্টার ০.৩ মাইক্রন আকৃতি পর্যন্ত ব্যক্টেরিয়া, ভাইরাস অনুকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কেবল ভাইরাস, ব্যাক্টটেরিয়া নয় এটি বাতাসের ভেতর থাকা অ্যালার্জি উদবেগকারি অনেক উপাদানও ধ্বংস করে ফেলে।  

ফ্রস্ট ক্লিন 


এসিটির অন্যতম একটি কার্যকরী প্রযুক্তি হচ্ছে এসিটির ‘ফ্রস্ট ক্লিন প্রযুক্তি’। বেশিরভাগ এসির ইনডোর ইউনিট এর ‘এভাপরেটরে’ ময়লা জমে। এখানে ময়লা জমতে জমতে নানারকম ব্যাকটেরিয়া তথা মাইক্রোঅর্গানিজম’ও জন্ম নেয়। এমনকি সামনের এই অংশে ফাঙ্গাসও জমে! এই জন্য সবাই নিয়মিত এসির ইনডোর ইউনিট খুলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে WSI-INVERNA-24C এসিতে থাকা এই ফ্রস্ট ক্লিন প্রযুক্তি এসিটির রিমোট কন্ট্রোলার এর মাধ্যমে চালু করলে, বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসিটি নিজে থেকেই এই এভাপরেটর’কে পরিষ্কার করার কাজ করবে; একে শুষ্ক এবং ফাঙ্গাসমুক্ত রাখবে।  

সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎ!


ইনভার্না মডেলের ৭৭৪০০  টাকার এই এসিটি অত্যন্ত পরিমানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। টুইনফোল্ড ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি হওয়ার ফলে এটি অন্যান্য নন-ইনভার্টার তো বটেই, বাজারে প্রচলিত অনেক ইনভার্টার এসির থেকে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এসিটি আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বাবস্থাকে বিবেচনা করে বিশেষভাবে বানানো, যার ফলে যেখানে আমাদের দেশে ভোল্টেজ আপ- ডাউন জায়গায় একটি প্রচলিত সমস্যা, সেখানে এই এসিটি ১৪০ এর মত লো ভোল্ট থেকে ২৬৪ এর মত ওভার ভোল্টেজেও কাজ করতে পারবে সমান ভাবে! 


এই এসিটিতে পাবেন একটি বিশেষ ইকোনমি মোড; যার ফলে রিমোট এর ‘ইকো’ বাটন প্রেস করার মধ্য দিয়ে এসিটির ইকোনমি মোড কার্যকর করলে এটি বাজারের যেকোনো নন-ইনভার্টার এসির চাইতে ৬০% বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়ে যাবে।    

টুইনফোল্ড ইনভার্টার প্রযুক্তি 

এসিটিতে পাওয়া যাবে ডুয়াল রোটারি ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি সাধারন ইনভার্টার এসির থেকেও অনেক বেশি কার্যকর। নন-ইনভার্টার এসি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে। এখানে এসি পূর্ণ শক্তিতে চালু হওয়ার পর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক অবস্থায় এলে এসির কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। আবার ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলে, তখন চালু হয়। এভাবে বারবার এসি চালু ও বন্ধ হওয়ার কারণে, এসি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে রুমের পরিবেশের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসিটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে।

একটি এসির কার্যক্ষমতা কতটা ভালো এবং সেটি বাতাসে ঠিক কি পরিমাণে তাপ ছড়াচ্ছে তা নিরূপণের অনেকগুলো বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে এসির COP তথা কো-ইফিসিয়েন্ট অফ পাওয়ার। COP রেটিং যত বেশি হবে সেই এসির পারফর্মেন্স তত বেশি ধরা হবে, COP রেটিং পয়েন্ট মূলত ১.৫ থেকে ৪ এর ভেতর হয়। মূলত COP রেটিং ৩ এর ওপর হলে সেই এসিকে সাশ্রয়ী এবং কার্যক্ষমতার দিক দিয়ে তুলনামূলক ভালো ধরা হয়। আর এই ইনভার্না  এসিটির COP রেটিং পয়েন্ট ৩.৪৪। সবমিলিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কমপ্রেসর লাইফ, সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ খরচ, ইকোনমি মোডে এসিটি ৬০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী!    

পরিবেশবান্ধব আর-৪১০এ গ্যাস 


বৈশ্বিক পরিবর্তনের আজকের দিনে আমাদেরকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়েও ভাবতে হবে, তাই এসিতে সঠিক এবং পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাও বিবেচনায় রাখা অতীব জরুরি। বাতাসে তাপ তৈরির দিক দিয়ে ‘আর-৪১০এ’ এর চাইতে ‘আর-২২’ এগিয়ে। তাছাড়াও ‘আর-৪১০এ’ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ‘আর-২২’ এর চাইতে বেশি বিদ্যুত সাশ্রয়ীও বটে!  ‘আর-২২’ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস সমৃদ্ধ এসিতে সিস্টেম ওভারহিটিং এর সমস্যাও বেশি হয়। শার্প, প্যানাসনিক এর মত ব্র্যান্ড ছাড়াও, আমাদের দেশীয় ওয়ালটন এসিতে যুগোপযোগী ‘আর-৪১০এ’ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়।  

পরিশিষ্ট 


এই ইনভার্না দুই  টন এসিতে পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত টেম্পারেচার রেঞ্জ । বাজারের বহু এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন। ইনভার্না এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। বহু এসি শুধু সিঙ্গেল ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে অবস্থান করে  তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় কিংবা অন্য কোন স্থানে থাকা ব্যাক্তি বাতাস পায় না। আর এর রিমোট থেকে টার্বো মোডটি চালু করলে প্রচণ্ড গরমেও ঘর মুহূর্তেই শীতল হয়ে যাবে। 

এসিটি দেখতে অবশ্যই আপনার আসেপাশের নিকটস্থ ওয়ালটন ডিলার শো-রুম অথবা ওয়ালটন প্লাজায় চলে যেতে পারেন। অথবা কিনতে এবং নানারকম তথ্য দেখে আসতে পারেন ওয়ালটন ইপ্লাজা থেকে। তবে যেহেতু সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির জন্য ওয়ালটন প্লাজা অনেক সময়ই বন্ধ থাকছে, সেই হিসেবে এসিটি কিনতে পারেন ওয়ালটন ইপ্লাজা থেকে। তাছাড়াও এসিটি কিনতে এমনকি দেখতে চলে যেতে পারেন যেকোনো ডিস্ট্রিবিউটর কিংবা ডিলার শোরুমে। এসিটিতে থাকছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এসির কম্প্রেসরে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরো পাবেন ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। বর্তমানে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পেয়ে যাবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.