![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
ইফতারের সময় হঠাৎ আদিল বায়না জুড়ে দিলো সে রোজা রাখবে।
বাবা বললেন তোমার এখনো বয়স হয়নি রোজা রাখার।
মায়ের দিকে প্রশ্নবোধক চাহনী দিলো আদিল।
মায়েরও একই কথা। বাবা তুমি অনেক ছোট এখনো। আগামী বছরে রেখো।
বয়স মোটে চার হলো আদিলের এই রমজানে। তাতে কি তার খুব ইচ্ছা সারাদিন সবার মতো না খেয়ে থাকবে তারপর আব্বু আম্মুর সাথে ইফতার করবে। এমনিতেও ইফতার করে কিন্তু সে তৃপ্তি পায়না। নিজেকে তার অপরাধী লাগে। সবাই না খেয়ে কষ্ট পায় আর সে হাবিজাবি কতোকিছু খেয়ে আবার ইফতারও করে।
তাহলে আমি আজ সেহরি খাবো তোমাদের সাথে, জানিয়ে দিলো আদিল।
সেহরি খাবে এতে কেউ আপত্তি করলেননা।
ছোট আদিলের রাতে খাবার পরে আর ঘুম আসেনা। তার ভেতরে ভয়। যদি ঘুমিয়ে যায়, যদি মা বাবা তাকে না ডাকেন। সে জেগে রইলো। সেহরির জন্য মসজিদের মাইকে প্রথম বার ডাক দিতেই সে তার আম্মুকে ডাকা শুরু করলো। আম্মু বিরক্ত হয়ে বললেন, উঠবো তো। এতো তাড়াতাড়ি উঠতে হয়না।
আদিল চুপচাপ পড়ে থাকলো মা বাবার মাঝখানে। একটু পরে অধৈর্য হয়ে বাবাকে ডেকে তুললো। বাবা নিরুপায় হয়ে উঠে পড়লেন। তারপর আদিলের মাকেও ডেকে উঠালেন।
সবাই মিলে সেহরি খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়লেন।আব্বু অফিশে চলে যাবার পর আম্মু আদিলকে ডেকে তুলে নাস্তা দিলেন। এক গ্লাস গরম দুধ আর দুই পিস ব্রেড। আদিল ব্রেড আর দুধ নিয়ে সোজা টেলিভিশনের রুমে গেলো।
কি আপনারা ভাবছেন সে ভুলে গেছে রোজার কথা? নাহ তার মনে আছে। সে টিভিরুমে গিয়ে দুধের গ্লাস আর ব্রেড লুকিয়ে রাখলো দরোজার পর্দার আড়ালে। তারপর অনেক্ষণ টিভিতে কার্টুন দেখলো।
আম্মু ভুলেই গেলেন কাজের বেস্ততায় সব। ধীরেধীরে দুপুর হলো। তৃষ্ণায় রোজাদারদের বুক ফেটে যাবার যোগাড় সে তপ্ত দুপুরে। ছোট বাবু আদিলের খুব তৃষ্ণা পেলো। কিন্তু তাতে কি পানির ধারেকাছে গেলনা।
জোহরের নামাজ শেষে আদিলের আম্মু তাকে গোসল করিয়ে দিলেন। তার তৃষ্ণা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। ভাত বেড়ে আদিলকে ডাকলেন আম্মু। আদিল বললো, আম্মু আমি পরে খাবো। কার্টুনটা শেষ হোক। আম্মু রাজি হলেননা। তিনি বললেন, নাহ তুমি খেয়ে তারপর কার্টুন দেখবে। আদিল তো নাছোড়বান্দা।
ছেলের জেদের কাছে পরাস্ত হলেন মা।
আদিল তো খুব খুশী সে বেলকনিতে গিয়ে কতোকিছু দেখতে লাগলো। মানুষ, পাখি, রিকসা, গাড়ি। একটা টং দোকানে কয়েকটা বড়বড় ছেলে চা আর সিগারেট খাচ্ছে দেখে তার খুব খারাপ লাগলো। দৌড়ে মায়ের কাছে গিয়ে নালিশ করলো, আম্মু ঐ ছোট্ট দোকানটায় বড়বড় মানুষ চা খাচ্ছে, সিগারেট খাচ্ছে। ঐ দোকানে কি রোজা নেই আম্মু?
আম্মু খুব বিরক্ত হলেন মানুষের কাণ্ডজ্ঞান দেখে। রোজা রমজানে কেন যে মানুষ খায় এভাবে। ছেলেকে বুদ্ধি করে বললেন, বাবা ওরা রোজা রাখেনা। ওদের রোজা রাখতে হয়না। আল্লাহ তাই ওদেরকে ভালোবাসেন না, তাদের মাঝে ঈদের আনন্দও দেননা। আর যারা আল্লাহর ভালোবাসা পায়না তারা পৃথিবীর সকল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।
আদিল কি বুঝলো কে জানে। কিছু না বলে চলে গেলো। আম্মু ইফতার তৈরী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ভুলেই গেলেন তার সোনাবাবুটা দুপুরের খাবারটা এখনো খায়নি। ওদিকে আদিলের প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগা শুরু হলো। তার মাথা বনবন করে ঘুরতে লাগলো। ইচ্ছে করলো এখুনি ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানি, আইস্ক্রিম যা আছে সব খেয়ে ফেলবে। দৌড়ে গিয়ে আদিল ফ্রিজ খুলেই থমকে গেলো। কানে বাজতে লাগলো আম্নুর কথা। ওরা রোজা রাখেনা তাই ঈদও পায়না। না না, আমাকে ঈদ পেতেই হবে। ঈদে কতো আনন্দ হয়! ফ্রিজটা চুপিচুপি বন্ধ করে দিলো কিন্তু শরীর খারাপ ভাবটা গেলোনা। বিছানায় গিয়ে অনেকটা অচেতন হয়েই ঘুমিয়ে পড়লো। আছরের পর আম্মু ঘড় ঝাড়ু দিতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন দুধের গ্লাস আর ব্রেড। খাবার টেবিলে খাবারও পড়ে আছে যেমন ছিলো তেমনি। তিনি দৌড়ে গেলেন আদিলের কাছে। তক্ষুনি আদিলের বাবা এসে উপস্থিত। সব শুনে আদিলের বাবা গেলেন আদিলের বিছানায়। দেখলেন সে সটান শুয়ে আছে। তিনি মাকে বুঝালেন, যা হবার হয়েছে। সারাদিনই তো পার করে দিয়েছে। এখন রোজা ভাঙ্গার দরকার নাই। মায়ের মন তবুও খচখচ করতে লাগলো। এতটুকুন বাচ্চা রোজা রাখবে কিভাবে?
ঘুমের ঘোরে আদিল স্বপ্ন দেখলো। অত্যন্ত ঝমকালো পোশাকে সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারিদিকে অনেক বাচ্চাকাচ্চা। ফুলের মতো সুন্দর সাবাই আর সবার সাথে বাচ্চাদের বাবা মা। আদিলের মা বাবাকেও দেখা গেলো ভীড়ের মাঝে হাসিখুশী ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
হঠাৎ চারিদিক উজ্জ্বল আলোয় ভরে গেলো। সবকিছু সে আলোয় ঝলমল করছে। আলোর ভেতর থেকেই মনে হলো, এক বিশাল মানুষ, লম্বা দাড়িওয়ালা, ধবধবে সাদা পোশাক পড়ে বাচ্চাদের ভীড়ে এসে হাজির হলেন।
ভীড়ের ঠিক মাঝখানে দাঁড়ালেন অদ্ভুত মানুষটি সবার মধ্যমণি হয়ে।
তিনি খুব সুন্দর সংক্ষিপ্ত একটা বক্তব্য দিলেন। তার দিকে সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইলো। এতো সুন্দর মানুষ আর এতো মিস্টি যাদুকরী কণ্ঠ কারো হয় ভাবাই যায়না।
অদ্ভুত লোকটি তার বক্তব্যে বললেন, ছোট বেলা থেকেই মা বাবাদের উচিৎ সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা এবং অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করা। যতো অল্পবয়সে নামাজ পড়া, রোজা রাখার অভ্যাস গড়তে পারবে সেটা ততো শক্ত এবং আন্তরিক ভাবে হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নেবে।
শিশুকিশোররা যাতে ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে সমীহের চোখে দেখে সেরকম শিক্ষা দেয়া উচিৎ।
এরকম আরো কিছু সুন্দর কথা বলে উজ্জ্বল আলোতে ঘেরা সুন্দর মানুষটি সকল বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা যারা আজ জীবনে প্রথম রোযা সম্পন্ন করতে যাচ্ছো তাদের সবার জন্য আছে অসম্ভব সুস্বাদু এক বেহেশতি শরবত। দেখি ছোট্ট সোনামণিরা তোমরা নিজেদের দুই হাত সামনে বাড়িয়ে দাও। সকল ফুলের মতো সুন্দর শিশুরা তাদের হাত সামনে প্রসারিত করলো আর চমকে উঠলো সাথে সাথেই। কারণ তাদের হাতে সোনালী রঙয়ের একটি গ্লাসের অস্তিত্ব অনুভব করলো যেটা থেকে ঠিকরে বেরহচ্ছে সোনালী আলো আর গ্লাসে রূপালি রঙয়ের কোনো পানীয়।
আযান পড়তেই তোমরা এই পানীয় পানের মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গবে সোনামণিরা।
আম্মু আম্মু এই দেখো আমার বেহেশতি শরবত বলে চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লো আদিল। আসলে উত্তেজনায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে তার। চোখ মেলেই দেখতে পেলো আব্বু আম্মু গভীর মনোযোগে তাকে দেখছেন। সে কিছুটা ভয় পেল তারা যদি জোর করে কিছু খাইয়ে দিতে চায়!
আম্মু আমি আজ রোজা। ভয়ে ভয়ে বললো আদিল। আম্মু আদিলকে জড়িয়ে হুহু করে কেঁদে উঠলেন। ওরে আমার লক্ষীসোনাটা। আমরা জেনে ফেলেছি তুমি রোজা। আর মাত্র ঘন্টাখানেক পরেই ইফতার ও মাগরিবের আজান। জীবনের প্রথম রোজা রাখা উপলক্ষ্যে আদিল আব্বু আম্মুর কাছে কি চায় দেখি শুনি?
আদিল চট করে বলে বসলো বেহেশতি শরবত। খুব অবাক হয়ে আদিলের আব্বু আম্মু বললেন, বেহেশতি শরবত তো শুধু বেহেশতেই পাওয়া যায় বাবা। আর বেহেশতে তো কেউ চাইলেই যেতে পারেনা।
আদিল তা মানতে নারাজ। সে বললো- তোমরা তাহলে জাননা, খুব সুন্দর এক হুজুর ধবধবে সাদা রঙয়ের পোশাক ছিলো তার গায়ে তিনি আমাদের সবার জন্য একটি সুন্দর সোনালী গ্লাসে রূপালী রঙয়ের শরবত দিয়েছিলেন। আমি ঘুম ভাঙতেই তাকে আর খোঁজে পাচ্ছিনা।
বাবা মায়ের বুঝার বাকী রইলোনা যে, সে চমৎকার এবং অর্থবহুল একটি স্বপ্ন দেখেছে।
যাই হোক আব্বু দৌড়ে বাজারে গিয়ে সোনালী রঙয়ের র্যাপিং পেপার দিয়ে একটা গ্লাস সাজালেন খুব সুন্দর করে। তারপর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ফয়েল পেপার নিয়ে বাড়ী আসলেন আযানের তখনো ১০ মিনিট বাকী।
তিনি ঘরের তৈরী মিক্সড জোস সেই গ্লাসে ঢেলে উপরে ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিলেন। ইফতারের সময় হতেই সবাই ডাইনিং টেবিলে বসলেন। সময়ের সাথে সাথে আদিল নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলো। হঠাৎ সোনালী রঙয়ের গ্লাস দেখেই সে আনন্দে চিৎকার করে উঠলো। হুররে আমার বেহেসতি শরবত।
ছেলের আনন্দে আব্বু আম্মু প্রায় কেঁদে ফেললেন। আজ তাদের জীবনের স্মরণীয় একটি দিন। তাদের মাত্র চার বছরের শিশুটি আজ সবাইকে অবাক করে রোজা রেখে ফেললো। আব্বু আম্মু আল্লাহর কাছে ছেলেটির জন্য অনেক কিছু দোয়া করলেন তাদের সাথে যোগ দিলো আদিল। তারপর আজান দিতেই সে বেহেশতি শরবতে চুমুক দিয়ে রোজা ভাঙ্গলো।
০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১২
মাহফুজ বলেছেন: জ্বী পরেরবার কমিয়ে দেব।
২| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফেসবুকীয় পোস্ট...
০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৫
মাহফুজ বলেছেন: অস্বীকার করছিনা। ফেইসবুকীয় পোস্টই, কারণ নিজের ই লেখা সেখান থেকে সংগ্রহ করে দিলাম।
৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর।
০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪১
মাহফুজ বলেছেন:
৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫০
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।
০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪২
মাহফুজ বলেছেন:
৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯
মৌরি হক দোলা বলেছেন: গল্পের টপিকটা খুব সুন্দর!
ভালোলাগা রইল.....
০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৪
মাহফুজ বলেছেন: আমার রইলো কৃতজ্ঞতা বিদ্রুপের ভীড়ে আপনার এবং আপনাদের ভালো লেগেছে যাদেত তাদের প্রতি।
৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯
বিপরীত বাক বলেছেন: “ছোটমণিদের রুপকথা” টাইপ চটি বই তে এসব ব্রেইন ওয়াশ করা গল্প খুব মানাতো।
কিন্তু ব্লগে যে কিভাবে আসল? আপনি তাহলে ফেবুইয়ান। ব্লগে কবে নতুন ইমপোর্ট হইছেন?
আপনি নিজে কত বয়সে রোজা রেখেছিলেন? বাস্তব জানেন? আমি নয় বছর বয়সে একবার ট্রাই করেছিলাম। ইফতারের ঘন্টাখানেক আগে বমি করে ভেঙে যায় তা। আর চার বছর বয়স ? ? ?
ছোট বেলাতে ধর্ম টর্মে একেবারে নিষিদ্ধ রাখা দরকার। শিখাতে হবে জীবন কে উপভোগ কর। কোনকিছুই পাপ না্। এরপর মধ্যবয়স থেকে ধর্ম টর্ম শেখাতে হবে। যেন অর্জিত সমস্ত কিছুই হালাল করতে পারে। (বেসিক ইসলাম)
০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫৩
মাহফুজ বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনা আর আদর্শকে সবাই মেনে নেবেনা, সেটা বুঝেন তো ভ্রাতা? বুঝলে কিন্তু মেনেও নিতে হবে।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো।
০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫৪
মাহফুজ বলেছেন: খুব বেশী কৃতজ্ঞতা রইলো।
৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
বিপরীত বাক বলেছেন:
আপনার কনসেপ্ট পুথিগত ও তত্ত্বীয়। আর আমার টা অভিজ্ঞতা থেকে।
I am more practical than you.
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
খুবই সুন্দর গল্প, এর আগে কেহই এই ধরণের গল্প লিখেননি।
আরেকটু ভালো হতো, যদি আদিলের বয়সটা ৪ বছর কমিয়ে দিতেন; চেষ্টা করে দেখেন, করা যায় কিনা।