![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
কি ভাই দেখছেন মাদকের বংশ কিভাবে ধ্বংস করছে সরকার?
জ্বী তবে মানুষেরই নির্বংশ হওয়া চোখে পড়ছে বেশী।
মানে!
মানে কিছু নারে ভাই, মাদক নিশ্চিহ্ন করে ফেলুক আমিও চাই, আমরা সবাই চাই।
সেটাই তো করা হচ্ছে ভাইজান। দেখেন না, যাক আর কয়টাদিন।
তারপর?
তারপর মাদকবিহীন সমাজ হবে, দেশ ও জাতি মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে।
আলহামদুলিল্লাহ! আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক। তাহলে আপনি নিশ্চিত যে এমন হবেই?
আলবৎ হবে, আপনি দেখি দেশের খবরই রাখেননা। প্রতিদিন বড়বড় ড্রাগডিলারদের মেরে উল্টিয়ে ফেলে রাখছে অভিযান চালিয়ে।
তা এভাবে কতোজনকে মারলে মাদকমুক্ত দেশ হবে? এই ড্রাগডিলার কি হাতে গোনা দু'চারজন নাকি। দীর্ঘ সময় ধরে হাজারে হাজারে মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সাপ্লাইয়ার গড়ে উঠেছে দেশের আনাচেকানাচে।
সেটাওতো কথা! তাহলে মারবে কতোজন!
আমি বলে দেই?
জ্বী অবশ্যই, আপনারা শিক্ষিত মানুষেরাই তো বলবেন।
তাহলে মন দিয়ে শুনুন। মনে করুন আপনার বাসার পেছনে বিরাট একটা ড্রেন আছে।
আরে না না, আমার বাসার ধারেকাছে ড্রেনটেন নাই ভাই।
অহ আচ্ছা, তাহলে ধরলাম আমার বাসার পেছনে একটা ড্রেন আছে।
কই ভাইজান, কোনোদিন দেখিনি তো!
মনে করে নিন নারে ভাই!
ঠিক জমেনা এভাবে মনে করারাকরিতে। মনে করা, ধরে নেয়া হাবিজাবি গণিত পারিনি বলে আন্ডারমেট্রিক রয়ে গেলাম।
অহ তাহলে আপনি একটা ড্রেনওয়ালা বাড়ী বের করুন প্লিজ।
আচ্ছা একটু ভেবে নেই। হে মনে পড়েছে আমার বন্ধু শফিক তার বাসার লাগোয়া একটা ড্রেন আছে।
যাক আল্লার কাছে শুকরিয়া যে অবশেষে ড্রেনওয়ালা একটা
বাসা পাওয়া গেছে।
আপনার বন্ধু শফিকের বাসার লাগোয়া যে ড্রেন সেটায় মনে করুন প্রচুর মশা।
মনেকরা করির কিছু নেই সত্যি অনেক মশা।
বাহ খুব ভালো। তা মশাদের হাত থেকে বাঁচতে তারা কি করে?
কি আর করবে? মশারি ব্যবহার করে, স্প্রে দেয়, কয়েল জ্বালায়।
আহ কতো কষ্ট মশার হাত থেকে রেহাই পেতে। আচ্ছা এভাবে তো মশা নিধন হয়না। ড্রেণে বংশ বিস্তার করেই চলে।
মশারা তো শুধু শফিকের বাড়ীতে নয় রফিকদের বাড়ীতেও ঢুকে, জব্বারের বাড়ীতেও ঢুকে। তাদের সঙ্গীসাথী সবখানেই আছে।
রফিক, জব্বার ওরা আবার কারা?
ওদের আপনি চিনবেননা, ওরা শফিকের প্রতিবেশী।
অহ তাই বলেন, আপনিও দেখি চিনেন শফিকের এলাকার মানুষজনদের।
না চিনলেও সমস্যা নানা। আচ্ছা এবার বলুন কয়েল জ্বালিয়ে, স্প্রে করে, মশারি টাঙিয়ে দুইচারটা মশা মেরে মশা নিধন করা সম্ভব? এদিকে মারছেন ১০ টা অন্যদিকে জন্মাচ্ছে ১০০ টা।
না সেটা তো সম্ভব না।
আমাদের কি করতে হবে জানেন?
আমরা কি করবো সেখানে? সমস্যা তো শফিকের! আপনার কিংবা আমার বাসার ধারেকাছে তো কোনো ড্রেন নেই।
অহ তাই তো, সমস্যা তো শফিকেরই। তারপরেও আমাদেরও সমস্যা আছে। মশারা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, আমাদের বাসাবাড়িতেও সেই ড্রেন থেকে মশা আসা অস্বাভাবিক না।
সেটাও কথা, তাহলে রেহাই পাবার উপায় কি?
যে ড্রেনে মশাদের আস্তানা সেখানে আক্রমণ করতে হবে। ড্রেনটাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যাতে মশারা না জন্মাতে পারে আর ছড়িয়েও না পড়ে।
বাহ তাই তো। আমরা তো দেখি গাছের গোড়ায় পানি না ঢেলে ডালপালায় পানি দিচ্ছি।
এই তো বুঝতে পেরেছেন আসল বিষয়।
ধন্যবাদ।
ম্যানশন নট। ভালো থাকবেন, যাই এবার।
আবার দেখা হবে। অহ আচ্ছা ভাই, দাঁড়ান দাঁড়ান!
কি হলো?
আমরা তো মাদক অভিযানের কথা বলছিলাম! মাদক বাদ দিয়ে আপনি মশা নিধনে কখন নামলেন আর আমাকেই বা নামালেন কখন।
মশা! আরে মশা কই পাইলেন ভাই, আমরা তো মাদক নিয়েই আলাপ করছিলাম।
মস্করা করেন নাকি ভাই আমার সাথে? শফিকদের বাসার পাশে ড্রেনের মশা নিধন নিয়েই তো আপনি ব্যস্ত ছিলেন।
এই দেখেন শফিকের বাসা নিয়ে কখন কি বললাম আমি? আমি তো বললাম বাংলাদেশের কথা, ঐ টা শফিকের বাসা ছিলো না, ছিলো বাংলাদেশ। আর যে ড্রেন ঐ টাকে ধরে নিন বর্ডার। তাহলেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। অহ ভালো কথা মশার কথা কিন্তু আমি বলিনি, আপনি যাদের মশা বলছেন আমি তাদের ইয়াবা বা মাদক সাপ্লাইয়ার বলেছি।
ভাই আপনি তো আমার মাথা আউলিয়ে দিলেন।
মুখে মশা ঢুকবে, বন্ধ করুন। এতো অবাক হবার কিছু নেই। মনে রাখবেন দরজা খোলা রেখে জানালা এমনকি ভেন্টিলেটর বন্ধ করে দিলেও লাভ হবেনা। শুধু সাময়িক চাহিদা পূরণে ব্যাঘাত ঘটানো ছাড়া। ঐ দরজা দিয়ে কে আসে আর কি নিয়ে আসে সেসব যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের যদি কব্জা না করতে পারেন তাহলে মাদক নির্মূলের স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যাবে। তাছাড়া আদৌ কি কেউ এমন কোনো স্বপ্ন দেখেছে নাকি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার এবং পাবলিকের সিমপ্যাথি পেতে এই অভিযানের পরিকল্পনা করেছে কে জানে। কারণ রাঘব বোয়াল কেউ তো জালে আটকালোনা এখনো।
৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:০১
মাহফুজ বলেছেন: তাতো অবশ্যই।
২| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৫
কাইকর বলেছেন: বাহ....
৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
মাহফুজ বলেছেন:
৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিনোদন।
৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
মাহফুজ বলেছেন: কিঞ্চিৎ বিনোদিত হয়েছেন তাহলে!
৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো রম্য
৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:২০
মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: ইহা মাদকবিরোধী ভেলকী। সামনে নির্বাচন...
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪১
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: রম্য ঠিক আছে। তবে নাই মামার চেয়ে কানা মামাও ভালো। সাময়িক স্প্রে মেরে মশা কিছু কমুক।