![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
আমরা সেইসব মহা হিপোক্রেট হোমসেপিয়েন্স যারা নিজের বোনকে বিয়ে দিতে গিয়ে ছেলের সরকারি- বেসরকারি চাকরির বিষয়ে আঁতিপাঁতি খবর নেই, ব্যাংক ব্যালান্স কেমন জানার চেষ্টা করি এবং সেটা বেশ স্বাস্থ্যবান হলে তৃপ্তির জোরালো ঢেকুর তুলি। এমনকি ছেলের ফ্যামেলি ছোট না বড়, যৌথ না একা সেটা নিয়েও মাথা ঘামাই। আপনার পরিবার যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোথাও কোনো গ্রামে বসবাস করে আর কৃষিকাজে জীবন নির্বাহ করে তবুও বোন বা মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে চাইবেন ছেলেটার বাড়ি শহরে হোক, শহরে না হলে শহরের ধারেকাছে হোক, দু**ল তাও যদি না হয় ছেলেটা অন্তত শহরে কোনো চাকুরি করুক। তাই না? যারা বলবেন, কই না তো, আমরা তো এমন না! আমরা ভালো বংশ আর মানসম্মান চাই। বাহ ভালো তো তাইলে আজ উঁচু বংশের লাখলাখ যুবক কেন পয়সার অভাবে, মেয়েদের অভাবে হুহু করে বয়স বাড়ার পরেও অবিবাহিত জীবন কাটাচ্ছে? যারা শুধু জাতবংশ আর ভালো মনেই সন্তুষ্ট আপনারা সেইসব অবিবাহিত খোজে এনে আপনাদের বোনদের, মেয়েদের বিয়ে দিয়ে অশেষ সওয়াব হাসিল করুন।
যাই হোক আমরা এই হিপোক্রেটদের গার্লফ্রেন্ড যখন বেকারত্ব, আর্থিক দৈন্যদশা বা অন্যকোনো দোষত্রুটির ফলে একসময় ছেড়ে চলে যায় তখন মায়াকান্নার সাথে মুখে মাইক নিয়ে চারিদিকে বলে বেড়াই "মেয়েটা স্বার্থপর, বেইমান, লোভী, প্রতারক ইত্যাদি। আমার জীবনটাকে একেবারে কাপাকাপা করে চলে গেছে।" স্বার্থপর সে কেন হবেনা, কে চায়না জীবনে সুখী না হতে সোনার হরিণ সুখের এই দুনিয়াতে?
এটা অস্বীকার করবোনা যে মেয়েরা লোভী নয়, তারা বেইমানী বা প্রতারণা করেনা। মেয়েরা নির্বোধও। মানবজাতির শুরুর প্রাক্কালেই আদম হাওয়ার জীবনিই শুরু হয় নারীর নেতিবাচক ঘটনার মাধ্যমে। তবে সবাই কি এক? আমি বা আপনি কিংবা ওদের জীবনে নাহয় প্রতারক প্রবঞ্চক কয়েকটা মেয়ে এসেছিলো তাই বলে সবাইকে নিশ্চয় এক ভাবতে পারেননা। নিজের মা বোনও তো মেয়েজাতিদের অন্তর্ভূক্তই। তাহলে কি তারাও প্রতারণা প্রবঞ্চনা করেই আমাদের মা হয়েছেন, বোন হয়েছেন। আপনার থিউরি কিন্তু তাই বলে।
মেয়েরা নিজেদের সিকিউরিটি নিয়ে জন্মলগ্ন থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কারণ আধুনিক হতে হতে একা-একা সে মঙ্গলে চলে গেলেও একদিন না একদিন কোনো না কোনো কারণে, একজনপুরুষের কাছে তার মাথানত করতেই হবে। এটাই শ্বাশত সত্য। এই সত্য মিথ্যে হলে পৃথিবীটাও মিথ্যে। মনে রাখবেন, সময়ের সাথে মৌলিকতার হয়তো পরিবর্তন ঘটে কিন্তু তা একেবারেই নির্মুল হয়ে যায়না। পৃথিবীর সবচাইতে অসহায় মানুষ কারা জানেন যে মেয়েদের সংসার ভেঙ্গেছে। সংসার ভাঙ্গা একটা মেয়ে জানে জীবনের প্রকৃত রূপ কি?
ভাইরে আধুনিকতার গড্ডালিকাপ্রবাহে মেয়েরা যতোই ভেসে যাক নারীর মৌলিকতায় যে অসহায়ত্ব, অবলা বৈশিষ্ট্যাবলী আছে সেগুলো কোনোদিনও গুচে যাবেনা। শতকরা ৫০ জনেরও যদি গুচে যায় বাকী ৫০ জন ঠিকই নারীর আদিঅকৃত্রিম সেইসব প্রাচীন বৈশিষ্ট্য নিয়েই থাকবে।
তাই আসুন না এই নতুন পৃথিবীর নতুন সময়ে নারীবাদ, পুরুষবাদ সব ভুলে হয় মানুষবাদ নাহয় সত্য বা প্রকৃতবাদ হবার প্রতিজ্ঞা করি। পরিবর্তনের আলো তাহলে উজ্জ্বল হবেই, মিটিমিটি জ্বলে আমাদের দ্বিধান্বিত করবেনা।
বিঃদ্রঃ ব্যকরণগত ভুল অনিচ্ছাকৃত নয়। আশা করি তাতে ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হবেনা।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মাহফুজ বলেছেন: সামুতে এই প্রথম কেউ আইসা বললো, আমার ব্লগে ঘুরে আসুন। অবশ্যই।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সবাই এমন করে কি ভাবে না ভাবতে পারে?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মাহফুজ বলেছেন: আজ হয়তো পারবেনা কিন্তু কাল পারবে নাহয় পরশু কিংবা আরো কিছুদিন পর।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
মা.হাসান বলেছেন: ভালোবাসার জয় হোক।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মাহফুজ বলেছেন: সেটাই প্রত্যাশা
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের মধ্যে মানবতা বোধ জাগ্রত হলে আর সমস্যা থাকবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
এ.এইচ.নাবিল বলেছেন: মানুষবাদ হওয়ার চেস্টায় আছি।
আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার আহ্বান রইল।