নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ শেখ মাহ্ফুজুল হক সোহাগ

ডাঃ শেখ মাহ্ফুজুল হক সোহাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্পার্ম ব্যাংক ( ১৮+) vs ডাক্তার

২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই হারাম ও জারজ সন্তান তৈরির, এই করখানাকে ঘৃনা করি।
শুধুমাত্র, জানার জন্য এই ব্লগটি লেখা হয়েছে। কি করে মানুষ, দিন দিন পশুতে পরিনত হচ্ছে, একটু বিচার করে দেখেন !!!!
★★★★★★★★★★★★★★

স্পার্ম ডোনেশন সম্পর্কে অনেকেই জানেন, আবার অনেকেই জানেন না। স্পার্ম ডোনেশন হল, কোনো ব্যক্তির ইচ্ছায়, কোনো মহিলার গর্ভাশয়ে যার শুক্রাণু দান করা ( নাউজুবিল্লাহ) । এতে কোনো ধরনের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ছাড়াই, গর্ভাশয়ে শুক্রাণুকে স্থাপন করা হয়ে থাকে। যা একজন ডাক্তার করে থাকে। স্পার্ম ডোনেশন ব্যক্তিগতভাবে এবং স্পার্ম ব্যাংক বা ফারটিলিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দান করা যেতে পারে। এর বিনিময়ে স্পার্ম ডোনেটরকে অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে।

আইন :

পৃথিবীর অনেক দেশেই স্পার্ম ডোনেশনের বৈধতা রয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকার আবিষ্কার এই অপসংস্কৃতি, তারাই প্রথম এটিকে বৈধতা দেয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু আইনি বিধান পালন করতে হয়। যেমন :

- শুক্রাণুদাতাকে স্পার্ম ডোনেশনের বিনিময়ে অবশ্যই উপযুক্ত অর্থ প্রদান করা।

- স্পার্ম ডোনেট করার পূর্বে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা।

- তার দুইটি জীবিত সন্তান থাকতে হবে।

- ডাক্তার সব সময় ডোনারের ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রাখবে।


ধর্ম :

ইসলাম ধর্মে স্পার্ম ডোনেশনের বিষয়টিকে হারাম হিসেবে বিবেচ্য করা হয়েছে। এর যে মূখ্য কারণ দেখানো হয়েছে তা হল স্পার্ম ডোনেশনের ফলে বংশের মিশ্রণ ঘটে যায় যাকে জিনাহ বলা হয়ে থাকে এবং এই জিনাহ ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী হারাম।

হাদিসে উল্লেখিত আছে যে, ‘ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বৈর্ধ নয় এমন কোনো স্ত্রী লোকের গর্ভে এক ফোঁটা শুক্রাণু ফেলা পরে সবচেয়ে বেশি গুনাহ এর কাজ।

কিছু ধর্ম এই বিষয়টিকে সমর্থন করে আবার কিছু ধর্ম এটিকে একেবারেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এছাড়া এ প্রসঙ্গে সৌদিআরবের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত প্রাইমারি মেডিকেল কেয়ার অ্যামিনিস্ট্রেশনের সাথে যুক্ত সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের প্রধান ড. আহমেদ মুহাম্মদ খাঁন বলেন যে, ইসলামে অবৈধতার পাশাপাশি স্পার্ম ডোনেশনের বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবেও রীতিবিরুদ্ধ। কেননা ব্যাংকগুলোতে শুক্রাণুকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার নিচে এমন একটি তাপমাত্রায় প্রিজার্ভ করে রাখা হয় যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এজন্যই ইসলামিক বেশ কয়েকটি দেশের জনগণ এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করেননি বা তাদের দেশে বিষয়টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।


বীর্য দান বা চলতি কথায় যাকে আমরা বলে থাকি স্পার্ম ডোনেট, ভারতে কিন্তু খুব একটা আম বাত নয়। এই বিষয়টি নিয়ে একটা সামাজিক ট্যাবু তো রয়েছেই। খুব কম হাসপাতালেই স্পাম ডোনারদের নিজের বীর্য দান করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মানুষ সচেতনও নয়।


বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কোটি কোটি দম্পতি রয়েছেন যারা সন্তানের বাবা-মা হতে পারছেন না। ডোনারের স্পামের সাহায্যে এই দম্পতিরা জীবনের জারজ সন্তানকে নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। "নাউজুবিল্লা "

তবে স্পার্ম ডোনেট করার ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকিও থাকে। বীর্যের মাধ্যমে বহু সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বা কোনও গুপ্ত রোগ বীর্যের মাধ্যমে নতুন প্রাণে প্রবাহিত হতে পারে। সেই কারণে বীর্যের মান, বীর্যের যাবতীয় পরীক্ষা, স্ক্রিনিংয়ের পরই চিকিৎসরকরা তা গ্রহণ করেন। কিন্তু স্পার্ম ডোনেট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। যা আগেই আলোচনা হয়েছে।

কেউ যদি স্পার্ম ডোনেট করতে চায়, তাহলে সবার আগে তাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারি হতে হবে। হেপাটাইটিস বি এবং সি, HIV, HTLV,সিফিলিস জাতীয় রোগ যেন না থাকে। এমনকী ডায়বেটিস বা ক্যানসার থাকলেও কারও স্পার্ম ডোনেট করা যায় না।

অধিকাংশ স্পার্ম ব্যাঙ্ক বা স্পা্রম ক্লিনিকে চিকিৎসকরা স্পার্ম ডোনারের বয়স জিজ্ঞাসা করে। বাধ্যতামূলক না হলেও স্পার্ম ডোনারের বয়স, চল্লিশের কম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এই বয়সের পর থেকে বীর্যের মান কমতে শুরু করে বলেই বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে।

চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রমাণিত লম্বা পুরুষের চেয়ে বেঁটে পুরুষদের বীর্যে সমস্যা বেশি পরিমাণে থাকে। স্পার্ম ডোনারের আদর্শ উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি থেকে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। বেঁটে পুরুষদের মধ্যে জন্মগত বা জন্মসম্বন্ধীয় একাধিক সমস্যা থাকে। তার প্রভাব শিশুর উপরও পরতে পারে। এর ফলে সদ্যোজাত অপুষ্টির শিকার হতে পারে, শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে, নানা সংক্রমণের সমস্যার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

স্ক্রিনিং টেস্টে পাস করার পর স্পার্ম ক্লিনিককে উন্নত মানের বীর্যের নমুনা দিতে হয়। স্পার্ম ডোনেট করার দিনের আগে ২দিন থেকে ৫ দিন যৌনসঙ্গম, হস্তমৈথুন করতে পারবেন না। এর কারণ স্পার্ম ডোনারের কাছ থেকে উন্নত মানের নমুনা পাওয়া যায়।
★★★★★★★★★★★★★★

এটি একটি কুকর্ম, যা সরাসরি না করে, একজন ডাক্তারের মাধ্যমে সূক্ষ সিরিন্জে স্পার্ম নিয়ে, তা অভুলেশান পিরিউডে, মহিলাদের জরায়ুতে দিয়ে দেওয়া হয়।
তখন কনসিভ করে।

আপনার মনে হয়তো একটি প্রশ্ন বার বার ঘোরপাক খাচ্ছে, তাহলে সরাসরি কেন যৌন মিলনের মাধ্যমে, বাচ্ছা নেওয়া হয় না???

এটা খুবই সহজ হিসাব, একটু ভাল ভাবে চিন্ততা করলেই, এর উত্তর খুজে পাবেন।

ম্পার্ম ব্যাংক বাংলাদেশে নেই। কোন মুসলিম দেশ আজ পর্যন্ত এর বৈধতা দেয় নি। তবে বাংলাদেশে থেকে অনেক কাপল ইন্ডিয়াতে টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমন কেরে, গোপনে অন্যের স্পার্ম গ্রহনের মাধ্যমে কু সন্তান লাভ করছে।

বাংলাদেশে এই কাজ যে একে বারেই হয় না তা ভুল। কিছু ডাক্তার রা টাকার লোভে পরে, এই কাজ করতে পরে বলে আমার ধারনা। কারন রোগীরা ডাক্তারকে জিম্মি করে, এসব অনৈতিক কাজের জন্য। তখন সত্যই একজন ডাক্তারের কিছু করার থাকে না।
লেখাঃ
ডাঃ শেখ মোঃ মাহ্ফুজুল হক সোহাগ
MBBS (Dhaka University)
DMU
PGT
মোবাইলঃ+৮৮০১৭১৭৪৭৭৫৬৩

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছিঃ ছিঃ ছিঃ।

২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

ডাঃ শেখ মাহ্ফুজুল হক সোহাগ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে, সহমত প্রকাশের জন্য। আমাদের সকলকে, এই ধরনের খারাপ কাজের প্রতিবাদ জানাতে হবে, প্রতিরোধ গরে তুলতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.