নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সভ্য বাংলাদেশী

স্রষ্টা এবং সৃষ্টি কে ভালবাসি। বাকি জীবন কোন স্বার্থ ছাড়া ভালবেসে যেতে চাই।

সব্য বাংলােদশী

এই ব্লগের কোন লেখা লেখকের অনুমতি ব্যতিরেকে হুবহু অথবা আংশিক পরিবর্তন করে প্রকাশ করা নিষেধ। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন : [email protected]

সব্য বাংলােদশী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বরিশাল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকঃ

বাঙালি রাজনীতিবিদ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কুটনীতিক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট 'শের-এ-বাংলা' এবং 'হক সাহেব' নামে পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক অনেক পদে অধিস্তান করেছেন তার মধ্যে কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭ - ১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬ - ১৯৫৮) অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।



জীবনানন্দ দাশঃ

জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ পাদে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খৃস্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিক পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি প্রধানত কবি হলেও বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা ও প্রকাশ করেছেন। তবে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অকালমৃত্যুর আগে তিনি নিভৃতে ১৪টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প রচনা গ্রন্থ করেছেন যার একটিও তিনি জীবদ্দশায় প্রকাশ করেন নি। তাঁর জীবন কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধকাল অনপনেয়ভাবে বাংলা কবিতায় তাঁর প্রভাব মুদ্রিত হয়েছে। রবীন্দ্র-পরবর্তী কালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত।





শহীদ আলতাফ মাহমুদঃ

১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পাক সৈন্যদের হাতে বন্দী অবস্থায় শিল্পী আলতাফ মাহমুদ নিখোঁজ হন। আলতাফ মাহমুদ (ডিসেম্বর ২৩, ১৯৩০ - সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী সুরকার, সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন ভাষা সৈনিক এবং ২১শে ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসে গাওয়া 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গানটির বর্তমান সুরটিও তার করা। মূলত এই গানের সুরকার হিসেবেই তিনি সমাধিক পরিচিত।





কবি সুফিয়া কামালঃ

সুফিয়া কামালের জন্ম জুন ২০, ১৯১১, মৃত্যু নভেম্বর ২০, ১৯৯৯ বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখক ও নারীবাদী।স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছেন, কার্ফ্যু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেছেন। মুক্তবুদ্ধির পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে আমৃত্যু তিনি সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।



আরজ আলী মাতুব্বরঃ

আরজ আলী মাতুব্বর (১৯০১-১৯৮৬) স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং লেখক। জগত ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা তাঁর লেখায় উঠে এসেছে যা থেকে তাঁর প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়



মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরঃ

মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর (মার্চ ৭, ১৯৪৯- ডিসেম্বর ১৪, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ১৯৪৯ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল মোতালেব হাওলাদার। তিনি ১৯৬৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং ১৯৬৬ তে আই.এস.সি পাশ করার পর বিমান বাহিনীতে যোগদানের চেষ্টা করেন, কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় ব্যর্থ হন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮-র ২ জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন। অবশেষে, ১০ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর, লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম, লেফটেন্যান্ট আউয়াল ও ৫০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়া এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে মাত্র ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বারঘরিয়া এলাকা থেকে ৩/৪ টি দেশী নৌকায় করে রেহাইচর এলাকা থেকে মহানন্দা নদী অতিক্রম করেন। নদী অতিক্রম করার পর উত্তর দিক থেকে একটি একটি করে প্রত্যেকটি শত্রু অবস্থানের দখল নিয়ে দক্ষিণে এগোতে থাকেন। তিনি এমনভাবে আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন যেন উত্তর দিক থেকে শত্রু নিপাত করার সময় দক্ষিণ দিক থেকে শত্রু কোনকিছু আঁচ করতে না পারে। এভাবে এগুতে থাকার সময় জয় যখন প্রায় সুনিশ্চিত তখন ঘটে বিপর্যয়। হঠাৎ বাঁধের উপর থেকে ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের ৮/১০ জন সৈনিক দৌড়ে চর এলাকায় এসে যোগ দেয়। এরপরই শুরু হয় পাকিস্তান বাহিনীর অবিরাম ধারায় গুলিবর্ষন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর জীবনের পরোয়া না করে সামনে এগিয়ে যান। ঠিক সেই সময়ে শত্রুর একটি গুলি এসে বিদ্ধ হয় জাহাঙ্গীরের কপালে। শহীদ হন তিনি

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: + ও প্রিয়তে। বিসিএস ইন্টারভিউ দেয়ার সৌভাগ্য হলে কাজে লাগবে অনেক। ;) ধন্যবা্দ...

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

সব্য বাংলােদশী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

টাইটান ১ বলেছেন: পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ। বরিশাল এগিয়ে যাক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

সব্য বাংলােদশী বলেছেন: আমাদের সবার জেন একটাই প্রত্যাশা হয় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

দি সুফি বলেছেন: বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, অশ্বীনি কুমার দত্ত, কবি কামীনি রায়, সালমান খান (খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা), তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আবদুর রব সেরনিয়াত - এরা কই? :|

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

সব্য বাংলােদশী বলেছেন: কবি কামিনি রায় ঝালকাঠি জেলার

তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া পিরোজপুর জেলার অধিবাসী ছিলেন।

অশ্বীনি কুমার দত্ত পটুয়াখালী তে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। যদিও ঐ সময় পটুয়াখালী জেলা ছিল না, বরিশাল জেলা এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। সর্বোপরি মাহাত্মা অশ্বীনি কুমার দত্তের জাতীয়তা ভারতীয়।

সালমান খান (খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা): তার পিতা বাংলাদেশের বরিশালের সন্তান ছিলেন। কিন্তু জনাব সালমান খান (খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা) বাংলাদেশী নাগরিক নন। তার জন্ম New Orleans, Louisiana, U.S. এবং তার জাতীয়তা United States of America।

"দি সুফি" আশা করি আপনার আক্ষেপ মেটাতে পেরেছি।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

হামিম ঢাকা বলেছেন:

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আমার নামটা ভুইল্যা গ্যালেন দাদা........ B:-) B:-) B:-) B:-)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

সব্য বাংলােদশী বলেছেন: জিনা জনাব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.