![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমিই বাংলাদেশ..আমরাই বাংলাদেশ.।যদি আমরা রাখি ভাল, তবেই থাকবে ভাল বাংলাদেশ .।
(বর্ষবরন পালনের পদ্ধতি নিয়ে আপনি আপত্তি তুলতেই পারেন, বর্ষবরণ বন্ধ করার দাবী তুলতে পারেন না)
#মুক্তমনা ও প্রগতিশীল দাবীদারদের প্রতি কিছু প্রশ্ন......
*মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ, এসব হাবিজাবি কাজ কি একজন সুস্থ বুদ্ধি সম্পর্ণ মানুষের অপছন্দ করা উচিৎ নয়??
এটা ক্যামন মুক্ত বুদ্ধির পরিচয় ??
ক্ষমতায় কুলালে যোক্তিক কারন দর্শান......
*এই কালচার কি কোন দিক দিয়ে বাঙালি কালচার??
হাবিজাবি মূর্তি তৈরি করে ঘাড়ে নিয়ে একদিক থেকে অন্য দিকে গেলে কিসের মঙ্গল হবে বুঝে আসেনা আমার, বোঝান প্লীজ...,
*মঙ্গলের জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলতে আপনাদের অন্ধ বিশ্বাস মনে হয়, আর এই যে আকামা গুল করেন এগুল অন্ধ বিশ্বাস নয়??? আহাম্মকি কর্মকাণ্ড নয়??
মঙ্গল শোভা যাত্রা এবং রথ যাত্রা কি সিমিলার নয়??
#এখন আসি কিছু কাঠমোল্লা আর সিজনাল মুমিন ব্যক্তিদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রসঙ্গে এবং কিছু প্রশ্ন তাদের প্রতি.........ঃ-
*বাংলা নববর্ষ নিয়ে আপানাদের এতো চুল্কানি কেন??
কেন বাংলা নববর্ষ পালন করা যাবেনা??
*আমাদের আরবি নববর্ষ কেন পালন করতে হবে?
*আরবি ভাষায় কথা বললে বুঝেন তো??
*আরবি কি আমাদের মাতৃ ভাষা??
*মহানবী(স) কি এমন কোন আদেশ দিয়ে গেছেন আমাদের??
নাকি বাংলা বর্ষ পালন করতে নিষেধ করেছেন??
(আবারো বলছি... বর্ষবরণের পদ্ধতি নিয়ে আপনি আপত্তি তুলতেই পারেন, বর্ষ বরণ বন্ধ করার দাবী তুলতে পারেন না)
*বাংলা ভাষার সাথে আমাদের ইসলাম ধর্মের কোন বিরোধ নেই, থাকার কথাও না, বিরোধ বরণ পদ্ধতি ও আমাদের মনে, এটাই সমস্যা, বর্ষ বরণ বিরোধী মানুষিকতা নিয়ে আমরা বড় হয়েছি, আর একদল খুব কৌশলে বর্ষ বরণের আয়োজনে আজীব আজীব পদ্ধতি সংযজন করে দিনে দিনে এই বিরোধকে আরও বাড়িয়ে তুলছে, মুসলিম বাঙালি ও সর্বস্তরের বাঙ্গালিদের উচিৎ এই বরণ পদ্ধতি পরিবর্তনের চেষ্টা করা, আর যাদের বাংলা বর্ষ বরণ নিয়ে এতোই সমস্যা, তাদের বাংলা ভাষা ছেরে আরবি ভাষার দেশ গুলতে চলে যাওয়া উচিত, ওখানে আরবি বর্ষবরণ করা হয়, আমি মনে করি বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, বাংলা বর্ষও ততোদিন বরণ করা হবে নিঃসন্দেহে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
স্বাধীন কিবোর্ড বলেছেন: আমার জানামতে কোন ভাষার সাথেই ইসলাম ধর্মের কোন প্রকার বিরোধ নেই।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
সুস্ময় রায় বলেছেন:
পাকিস্তান সৃষ্টির পর একশ্রেণীর মানুষ বাংলা ভাষাকে হিন্দুদের ভাষা বলে বাদ দিতে চেয়েছিল। তখন ধর্মভীরু মানুষ মাত্রই সেটাকে সমর্থন করেছে। আজ বাঙালিদের সংস্কৃতি ও বর্ষবরণ কে হিন্দুদের কালচার বলে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। তাতেও সমর্থন যুগিয়ে চলছে অনেকে। মঙ্গল শোভাযাত্রা যে শুধু পহেলা বৈশাখে হয় তা নয়; এ বাদেও বাঙালিরা স্কুল কলেজ বা এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকি(আজকাল তো ঈদ উপলক্ষেও মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়)। এগুলো আমাদের অস্তিত্তের সাথে জড়িয়ে আছে। আপনি রথযাত্রার সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার মিল দেখতে পাচ্ছেন, মঙ্গল প্রদীপের সাথে মন্দিরের প্রদীপের মিল দেখতে পাচ্ছেন (সেকারনেই মূলত বর্ষবরণ পদ্ধতিতে আপনার আপত্তি) কিন্তু যে জায়গাটায় মিলটা দেখতে পাচ্ছেন না তা হল দুজনেই বাঙালি, তাই তাদের উৎসব পালনের পদ্ধতিও একই। আপনি যে সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন তার কতখানি মুসলিম সংস্কৃতি আর কতখানি সৌদি আরবের সংস্কৃতি আর যে সংস্কৃতিকে বাদ দিতে চাইছেন তার কতখানি হিন্দু সংস্কৃতি আর কতখানি বাঙালি সংস্কৃতি তার পার্থক্য আগে বুঝতে হবে। ধর্ম পালন করার অর্থ এই নয় যে একটা বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর সবকিছু অনুকরন করতে হবে আর নববর্ষ পালনের অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার ধর্ম হারাবেন (বেশিরভাগই ধর্ম হারানোর ভয়ে নিজের জাতিসত্তা নিয়ে সংশয়ে থাকেন)। তারপরও যদি মনে হয় বর্ষবরণ পদ্ধতি হিন্দুয়ানা তাহলে বলব ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে রুটি আর খেজুর খাওয়ার অভ্যেস করতে (সৌদি আরবের অনুকরনে) কারন হিন্দুরা সুপ্রাচীন কাল থেকে ভাত খায়।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
স্বাধীন কিবোর্ড বলেছেন: আমি কিছু প্রশ্ন করেছি তার আন্সার গুলো আপনার বক্তব্বের মধ্যে পেলাম না, সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন। অদ্ভুত মূর্তি নিয়ে কখনো মঙ্গল শোভা যাত্রা হতে পারেনা, আপনার দর্শন বাঙ্গালির উপরে চাপিয়ে দিবেন না দয়াকরে, আপনি যে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদাহরণ দিলেন, সেগুল আর পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য আছে, আর ভালকরে শুনে রাখেন, এই মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনোই বাংলার সংস্কৃতির অংশ ছিল না আর এখনো হয়নি, কিছু মিডিয়া আর আপনারা হাজার চিল্লালেও সেটা হয়ে যাবেনা, আপনার কোথায় লেগেছে আমি হয়তো বুঝতে পারছি, যতদুর সম্ভব রথ যাত্রা নিয়ে বলেছি বলে। আর খাওয়ার যে পরামর্শ দিলেন, সে ব্যাপারে কিছু বল্লাম্না, বদ হজম হতে পারে, এখন থেকে চেষ্টা করবেন কমেন্ট করার আগে ৫মিনিট মেডিটেশন করার, কাজে দেবে। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
আনামুল হক ইনাম বলেছেন: বাংলা ভাষার সাথে আমাদের ইসলাম ধর্মের কোন বিরোধ নেই,