শবে কদর গোপন রাখার রহস্য……

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৯

--কোনও জিনিস যে পরিমান মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ হয় তা অর্জন করার জন্য সে পরিমান চেষ্টা মেহেনত করতে হয়।
০-সুতরাং শবে কদরের মত মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত কীভাবে চেষ্টা মেহেনত ছাড়া অর্জন হতে পারে? এ কারনেই তার নির্দিষ্ট তারিখ অস্পষ্ট রাখা হয়েছে।

রাসুল (সঃ) বলেন,
عسى ان يكون خيرا لكم
অর্থাৎ- হতে পারে নির্ধারিত তারিখ বলে না দেয়ার মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। (ইবনে কাসীর: ৪/৫৩৪)
কারণ যদি নির্ধারিত তারিখ জানা হয়ে যেত, তাহলে এর প্রতি এত গুরুত্ব থাকতো না। অার জানা থাকা সত্যেও গুরুত্ব না দেয়া বড় বঞ্চিত হওয়ার লক্ষণ।

মুফাচ্ছিরে কুরআন আল্লামা ইবনে কাসীর দামেস্কি (রহঃ) বলেন, শবে কদর গোপন রাখার রহস্য এটাই যে, এর তালাশে মুসলমানরা পুরা রমজান নিজেদেরকে আল্লাহ্ পাকের ইবাদাতের মধ্যে মশগুল রাখবে। (ইবনে কাসীর : ৪/৫৩৪)

যদি নির্দিষ্টভাবে শবে কদর জানা হয়ে যেত তাহলে অলস প্রকৃতির মানুষ রমজানের অন্যন্য রাতের প্রতি গুরুত্বই দিত না।

**হযরত উবাদাহ ইবনে সামেত (রা) বলেন, এক রাতে রাসুল (সঃ ) আমাদেরকে শবে কদর সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন। তখন দু’জন লোক পরস্পর ঝগড়া করছিল। রাসুল (সঃ) বলেন, আমি তোমাদের শবে কদর সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক ব্যক্তির ঝগড়ার কারণে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। হতে পারে এর মধ্যেই তোমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। সুতরাং তোমরা তা পঞ্চম, সপ্তম ও নবম রাতে তালাশ কর।

অতএব বন্ধুগণ শবে কদরকে ২৭ রমজান নির্দিষ্ট না করে রমজানের শেষ দশকে প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিগুলোতে খোঁজ করি। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে কুরআন ও হাদিস মতে আমল করার তাওফিক দান করুন… অামিন

সম্পাদনায়
মাওলানা মাহ্দী হাসান রাজ

০ টি +০/-০