নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুর্তি পুজা এবং বহুখোদাবাদ হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:২৭

ইসলাম ধর্মের সমালোচনায় অনেক পোষ্ট দেওয়া হ্য়। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপর কোন পোষ্ট আমার চোখে পড়েনি। তাই হিন্দু ধর্মের উপর একটি পোষ্ট দেওয়ার চিন্তা করলাম, তবে সমালোচনামুলক নয়। হিন্দু ধর্মে সত্যিকার অর্থে খোদা বা স্রষ্টার যে বর্ননা দেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এর সাথে প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি যে হিন্দু ধর্ম সমন্ধে আমার খুব ভাল একটা ধারনা নেই। তবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থের কিছু পংক্তি পড়ে আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে হিন্দু ধর্ম সত্যিকার অর্থে একত্ববাদে বিশ্বাসী।



হিন্দু ধর্মের বই বেদ, ব্রহ্মা সুত্রা, উপনিষদ ভগবত গীতায় স্রষ্টার যে বিবরন দেয়া হয়েছে তা নীচে দেওয়া গেল।

অযুরবেদঃ

চাপ্টার নং৩২, ভারস নং ৩ এ বলা হয়েছে, আতিস্তিয়া প্রাতিমা আসতি, তার কোন ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি নেই। আরো বলা হয়েছে, তার কোন জন্ম নেই।

চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৮ এ বলা হয়েছে, তার কোন দেহ নেই এবং সে শুদ্ধ।

চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৯ এ বলা হয়েছে, তারা অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা বায়ু, পানি আর আগুনের মত প্রাকৃতিক জিনিষের পুজা করছে আর তারা আরো বেশি অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা সৃষ্ট জিনিষকে পুজা করছে।



উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ১৯ এ বলা হয়েছে, তার মত আর কেউ নেই।

উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, তার আকৃতি দেখা যায় না এবং তাকে কেউ চোখে দেখতে পায় না।



উপনিষদের (চান্দগিয়া) চাপ্টার নং ৬, সেকসন ২ ভারস নং ১ এ বলা হয়েছে, তার কোন মাতাপিতা নেই, তার কোন প্রভু নেই, সে একাই যথেষ্ট এবং কারো উপ্র নিরভ্রশীল নয়।



রিক বেদের বই নং ৮, হাইম নং ১, ভারস নং এ বলা হয়েছে, আচ দাঙ্গাদি সামসসাত্রা অরথ্যা তার ছাড়া আর কারো ইবাদত করনা। সব প্রশংসা তার।

বই নং ৬, হাইম নং ৪৫, ভারস নং ১৬ এ বলা হয়েছে, তারই প্রসংশা কর যে অদ্বিতীয় এবং যার কোন তুলনা নেই।



ভগবত গীতার চাপ্টার নং ৭, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, যাদের বুদ্ধি জাগতিক লোভে লোপ পেয়েছে তারাই মুর্তি পুজা(ডেমি গড) করে, এরাই বৈষয়িক মানুষ যারামুর্তি পুজা করে, তারা সত্যিকারের সর্বশক্তিমানের খোদার ইবাদত করেনা।



বেদান্তের হিন্দু তত্তের প্রধান ব্রহ্মা সুত্রা হল গিয়ে খোদা শুধুমাত্র একজন, দ্বিতীয় কেউ নেই, একেবারেই নেই, একেবারেই নেই, বিন্দুমাত্র নেই।



কোন হিন্দু ভাইয়ের এব্যাপারে কোন উপদেশ বা মন্তব্য থাকলে প্লিজ জানাবেন। তাহলে আসল সত্যটি জানার সুযোগ ঘটবে।

আর উপরের কথাগুলো যদি সত্য হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামের যে মৌলিক পার্থক্যের কথা বলা হয় তার অবসান ঘটবে।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৫/-৩

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৩৫

দিগন্ত বলেছেন: আমি শুধুমাত্র উপনিষদ পড়েছি এবং আমার মনে হয়েছে সেখানে এক নিরাকার সত্ত্বাকে আসল ক্ষমতার উত্তস বলে মনে করা হয়েছে। আসলে ব্যবস্থাটা অনেকটা ৩-ধাপের। প্রথম ধাপে এই ব্রাহ্মণ বা নিরাকার ব্রহ্ম। দ্বিতীয় ধাপে দেবতা ও অসুর আর তৃতীয় ধাপে মানুষ। গীতা পড়িনি, তাই জানিওনা। হিন্দু লোকজনে যে ধর্ম-পালন করে তাতে আমি উপনিষদের থেকে মনুস্মৃতির প্রভাব বেশী লক্ষ্য করি। সুতরাং ব্যবহারিক হিন্দুধর্ম আর গ্রন্থের ধর্ম খুব একটা মিল নেই। দুক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা দোষ-গুণ আছে। তবে উপনিষদ হল দর্শনের বই। জনমানসে এই বইএর তাই কদর নেই।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৩৮

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: ভালো আলোচনা ।ধারনা করা হয় ব্রক্ষ্মা একজন যার তেকে ব্রাক্ষ্ম মতবাদের এবং আলাদা ধর্মের জন্ম কিন্তু ট্র্যাডিসনাল হিন্দুরা মনে করে সকল দেব দেবী ব্রক্ষ্মা বিভিন্ন রুপ

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৪২

অমিত বলেছেন: আর উপরের কথাগুলো যদি সত্য হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামের যে মৌলিক পার্থক্যের কথা বলা হয় তার অবসান ঘটবে-----
হু, ঠিকই আছে। নাস্তিক নাসারাদের ঠেকাতে এখন সব ধর্মের এক হওয়া দরকার।


৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৪৭

সোনার বাংলা বলেছেন: খুবই সুন্দর পোষ্ট।৫
আশাকরি সবাই সুন্দর আলোচনা করবে
সে অপেক্ষায়..........
শুধু তাদের বহু মূর্তি পুজা নিয়ে ভাবতাম এইটা
কিভাবে হয়.... এই মূর্তি গুলা তো মানুষের থেকে
লক্ষ গুন অধম কিভাবে মানুষ তার পুজা করে!
যাই হোক আজ জানলাম যে তা ঐ ধর্মই নেই।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫০

দিগন্ত বলেছেন: "ধারনা করা হয় ব্রক্ষ্মা একজন যার তেকে ব্রাক্ষ্ম মতবাদের এবং আলাদা ধর্মের জন্ম" - দাদা, ব্রহ্মা নয়, ব্রহ্ম। ব্রহ্মা একজন দেবতা 'ক্লাস'-এ পড়েন। ব্রাহ্ম ধর্ম উপনিষদ-ভিত্তিক তাই সেটাও একেশ্বরবাদ।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫২

মাহিরাহি বলেছেন: দিগন্ত ব্রাহ্মণেরা বলে তাদের মুর্তিপুজার প্রয়োজন নেই এইজন্য যে তারা উচু স্তরে পৌছে গেছে এটা কি সত্য? আমি জানি রবীন্দনাথ নিরাকার স্রষ্টায় বিশ্বাসী ছিলেন।তিনি বোধহয় ব্রাহ্মণ ছিলেন না।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫৩

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: দিগন্ত সরি বানান ভুলের জন্য। রবীন্দ্রনাত ব্রাক্ষ্ম ছিলেন

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫৪

শাইরি বলেছেন: সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আরো জানতে চাই।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫৬

মাহিরাহি বলেছেন: তার মানে এই নয়কি নিচু স্তরের লোকেরা মুর্তিপুজা করে।
সরি, যদি অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে থাকি।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫৮

অশ্রু বলেছেন: বাংলাদেশের ৭০ ভাগ হিন্দুই ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:০০

দিগন্ত বলেছেন: "দিগন্ত ব্রাহ্মণেরা বলে তাদের মুর্তিপুজার প্রয়োজন নেই এইজন্য যে তারা উচু স্তরে পৌছে গেছে এটা কি সত্য?" - মাফ করবেন আমি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানি না। আমি শখ করে বাইবেল, কোরাণ আর উপনিষদ পড়েছিলাম। আমার ব্যক্তিগত ধারণা মূল ভাল বক্তব্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে আমি ব্যাপারগুলোকে দর্শন হিসাবে নিই, তাই আমার মতামত আলাদা হতেই পারে।
ব্রাহ্মণরা কি বলে সে বিষয়ে আমি উতসাহীও নই। আমি কোরাণ পড়েছিলাম, কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব ফতোয়া শুনি মনে হয় যেন এসব কোথা থেকে আসছে। ব্রাহ্মণদের ব্যাপারটাও একই রকম কিছু হবে।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:০১

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: না এটার মানে এই নয় যে নীচুস্তরের লোক মূর্তি পূজা করে। আসলে মূল একেশ্বর বাদ কে বিভিন্ন রুপে পূজা করা হয় আর ফাইনালি প্রত্যেক দেবতার অরিজিন ট্রেস করা হয় মেইন একজন দেবতার কাচে

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:০৩

দিগন্ত বলেছেন: "এই নয়কি নিচু স্তরের লোকেরা মুর্তিপুজা করে।" - অনেকটা ঠিকই বলেছেন। মূর্তিপুজোটা অনেকটা অনার্য সংস্কৃতি। তবে দয়া করে টার্মটা ঠিক করে নেবেন, মানুষ নিচু-স্তরের বলে হয়না। হিন্দুধর্ম অপছন্দের আমার এটাই মূল কারণ - মানুষের মধ্যে স্তর তৈরী করে।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:০৮

মদন বলেছেন: তারমানে কি মুল দেবতাকে নিরাকার রেখে তার সাপোর্টিং দেবতাদেরকে আকার দেয়া হয়েছে পুজা অর্চনা করার জন্য? নাকি নিরাকার ইশ্বরের ক্ষমতাগুলোকেই আলাদাভাবে দেবতা হিসেবে কল্পনা করে নিয়ে তাদের আকার দেয়া হয়েছে?

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১০

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: নিরাকার ইশ্বরের ক্ষমতাগুলোকেই আলাদাভাবে দেবতা হিসেবে কল্পনা করে নিয়ে তাদের আকার দেয়া হয়েছে পুজা অর্চনা করার জন্য

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১১

মদন বলেছেন: হিন্দুধর্ম অপছন্দের আমার এটাই মূল কারণ - মানুষের মধ্যে স্তর তৈরী করে।

আমার মনে হয় এটা তাদের ধর্মে তৈরী করা হয়নি বরং বিভিন্ন সময়ে মানুষের দ্বারাই তৈরী যেমন মুসলমানদের মধ্যে শিয়া, সুন্নী বা বিভিন্ন মাজহাবে বিভক্ত দেখা যায়।

তবে এটা ঠিক তাদের বিভাজন টা বেশ কড়া।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১১

দিগন্ত বলেছেন: মদন - উপনিষদে কোথাও পুজো-আর্চার কথা বিশেষ একটা বলা নেই। তবে উপনিষন অনুসারে, আমার ধারণা দ্বিতীয়টাই ঠিক। প্রথমটা অবশ্যই জনপ্রিয় মতামত।

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১২

শাইরি বলেছেন: হিন্দুদের পূজা করার ব্যপারটা কবে থেকে শুরু হয়েছে কেউ কি এ তথ্য দিতে পারবেন?

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২১

দিগন্ত বলেছেন: "আমার মনে হয় এটা তাদের ধর্মে তৈরী করা হয়নি বরং বিভিন্ন সময়ে মানুষের দ্বারাই তৈরী" - আমি একমত হতে পারছি না। হিন্দুধর্মে হরাইজেন্টাল ও ভার্টিকাল ভাগ আছে। কিন্তু আর ধর্মে ভাগগুলো খালি ভার্টিকাল। হিন্দুধর্মে ভাগগুলো বিভিন্ন স্কুল-অব-থট (অদ্বৈতবাদ, সাংখ্য, মিমাংসা ও আরো) যেমন আছে, তেমন বর্ণাশ্রম আছে। আমার ধারণা ঋকবেদে বলা আছে ব্রহ্মা(ব্রহ্ম নয়) -এর মাথা থেকে ব্রাহ্মণ আর শূদ্ররা পা থেকে তৈরী হয়। রামমোহন রায়ের মতে এটা খালি ডিভিসন অব লেবার বোঝাতে আছে। যাই বলুন, আমার ব্যাপারটা ভালো লাগেনি।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২২

দিগন্ত বলেছেন: "হিন্দুদের পূজা করার ব্যপারটা কবে থেকে শুরু হয়েছে" - শুরু থেকেই ছিল। বললাম না, বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন মতামত। ঋকবেদে আছে পুজোর কথা।

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২৩

মাহিরাহি বলেছেন: ডাক্তার আইজউদ্দিন এবং মদন, আপনারা আমার পোষ্টের শিরোনামটি আবার পড়ে দেখুন।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থের পংক্তিগুলি দিয়েছি তার সমর্থনেই।
তাই হিন্দুদের মুর্তি পুজাটাই অন্যায় এবং তাদেরই ধর্মমতে।
কেউ যদি আমার উপকার করে আর তার জন্য যদি আমি তার সহযোগিকে ধন্যবাদ জানাই তাহলে ব্যপারটা কেমন হয়।
স্তর আর মাযহাব এক নয়।

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২৬

দিগন্ত বলেছেন: "স্তর আর মাযহাব এক নয়।" - সেটাই বুঝিয়েছি।
"তাই হিন্দুদের মুর্তি পুজাটাই অন্যায় এবং তাদেরই ধর্মমতে।" - অন্যায়- এর ব্যাপারে অন্যরকম। হিন্দুধর্মে নিরাকার ঈশ্বর পূজো চান বলে মনে হয়নি। তবে উপনিষদ পড়লে এরকম ধারণা হওয়া স্বাভাবিক।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২৭

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: আরে আপনি তো বুজতেসনা। নিরাকার ভগবান মাইনা নিয়া বিভিন্ন ভগবান তার ওরসে জন্ম হইসে আর তাদের পূজা করনে সিস্টেম চালু হইসে।

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২৮

অশ্রু বলেছেন: এই মানুষগুলো বিধর্ম নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে বসে আছে একেকজন, নিজের ধর্মের কোনা জ্ঞান কিন্তু তাদের নেই

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২৯

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: অশ্রু তাই নাকি?

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৪৭

হুদা ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন অশ্রু।

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৪৯

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: তাই নাকি ,হুদা ইসলাম ?

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৫৫

'অসুর' বলেছেন: হচ্ছে কি এখানে??

২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:০২

শাইরি বলেছেন: @অশ্রু
"এই মানুষগুলো বিধর্ম নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে বসে আছে একেকজন"-এখানে কেউ নিজেকে ধর্ম বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেছেন বলে দেখিনি, অন্য ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা এমন কোনো নিয়ম কি আছে? "নিজের ধর্মের কোনা জ্ঞান কিন্তু তাদের নেই" - আপনি এখন থেকেই সেই জ্ঞান দেয়া শুরু করেন, যদি আপনার সেই ন্যূনতম জ্ঞান থেকে থাকে।

আপনার আলোচনা ভাল না লাগলে এই পোস্ট আর দেইখেন না।

৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:২১

মইন বলেছেন: সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আরো জানতে চাই।

৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৩৭

সাইমুম বলেছেন: ঋক বেদ থেকে পড়া শুরু কইরা বেদে আইসা থামলে অনেক প্রশ্ন জাগবে। টেরাই কইরা দেহেন। কারণ ঋক বেদে যারে বড় দেবতা হিসাবে পাইবেন, তারে বেদে আইসা কম গুরুত্বের দেবতা হিসাবে পাওয়া যাবে।

৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৩৮

মানচুমাহারা বলেছেন: আপনাদের আলোচনা বেশ ভালো লেগেছে। বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে কি লেখা আছে সেই সম্পর্কে আমি খুব বেশি জানি না, তবে কিছু কিছুর কিছু অংশ পড়েছি।
========================
এখানে আসল যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হলো হিন্দু ধর্মে বহুঈশ্বর ও একেশ্বর ,মুর্তিপূজা ও মুর্তিপূজার ভ্যালিডিটি।ট্যাগ গুলো এই রকমই মনে হলো আমার।
========================
আমি আমার দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করিঃ

হিন্দু ধর্মের শুরুতে আমি যতদুর জানি,মুর্তিপূজা ছিলো না,মতান্তরে ছিলো।
মুর্তি বা যদি শুধু বস্তু মনে করেন তাহলে তার অর্থ দাঁড়ায় কোন নিরাকার কিছুর কল্পনাকে বাস্তবের কিছুর সাথে তুলনা করা।এখন আপনি যদি ঈশ্বরকে নিরাকার হিসাবে প্রার্থনা করতে পারেন তাহলে ঈশ্বর আপনার কাছে নিরাকার। কিন্তু আমরা নিরাকার কিছুর চেয়ে সাকার অর্থাৎ শারীরিক কিছু দেখে বিশ্বাস করি বেশি। তো শুরু হলো ঈশ্বরের শারীরিক রুপের কল্পনা।কিন্তু মানুষের কল্পনায় সাকার ঈশ্বরের রুপ মানুষের শরীরের মতোই মনে হলো। মানুষ সাকার ঈশ্বর বা মুর্তি তৈরি করে পূজা বা প্রার্থনা শুরু করলো। দেখুন চোখের সামনে কে আছে সেটা কিন্তু বড় কথা নয়, আসল কথা হলো আপনি কার চিন্তা করছেন। নিরাকার হিসাবেও যার চিন্তা করতেন সাকার হিসাবে ঐ মুর্তির ভেতর তাঁরই চিন্তা করছেন।অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা পৌচ্ছে দেয়া হলো আসল উদ্দেশ্য। যার বিশ্বাস ও ভক্তির মাত্রা যত বেশি সে ক্রমশ সাকার থেকে নিরাকার ঈশ্বরের দিকে ফিরে যাবে।
========================
আমার মনে হয় আমি আমার ভাষায় হিন্দু ধর্মের সাকার আর নিরাকার ঈশ্বরের বা স্রষ্টার ব্যাপারটা কিছুটা হলেও পরিস্কার করতে পেরেছি।
=========================
এখন আসা যাক বহুঈশ্বর ও একেশ্বরবাদঃ

একটা কথা ধ্রুব সত্য তা হলো ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। তাহলে বহুঈশ্বর কি তাইতো ?
হিন্দু ধর্মের বই গুলো ঈশ্বরের বানী কিন্তু তা এসেছে মানুষের মাধ্যমে। ঋষিরা(হিন্দু ধর্মে সাধক বা সাধনা করা যারা) ধ্যানে(অবিচ্ছিন্ন প্রার্থনা) ঈশ্বরের বানী যা পেয়েছেন তাই তারা লিপি বদ্ধ করেছেন। কেউ কেউ আবার সেই বই গুলো নিয়ে সহজ করে ব্যাখ্যা করে বই লিখেছেন। বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও বই এসেছে,যেমন রামায়ন ,মহাভারত ইত্যাদি। কিভাবে যে এগোবো...

আচ্ছা মূল আলোচনা আবার ফিরে আসি। ধরুন আমি সুপারম্যান। যখন যা ইচ্ছা রুপ ধরতে পারি, যা ইচ্ছা করতে পারি। একদিন আমি পুলিশ হিসাবে একজনকে বিপদ থেকে বাচালাম আর বলে গেলাম আমি সুপারম্যান। পরের দিন আমি র

৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৫০

মানচুমাহারা বলেছেন: মুর্তি পূজার ব্যাপার স্বামীবিবেকানন্দের একটা বাস্তব জীবনের উদাহরন হলো এরকমঃ
তিনি এক বার এক রাজার কাছে গেলেন বা তার আমন্ত্রনে গেলেন। আলোচনা এক পর্যায়ে নিরাকার ঈশ্বরে বিশ্বাসী রাজা স্বামীজীকে প্রশ্ন করলেন মুর্তি পূজার কি দরকার আছে কি ? কেন মুর্তিকে বিশ্বাস করবো ?

স্বামীজী তখন রাজার একজন প্রহরীকে ডাকলেন আর রাজার একটা ছবি বা প্রট্রেট নিয়ে আসতে বললেন। এরপর রাজার সামনে প্রহরীকে ঐ ছবির উপর থু থু দিতে বললেন। কিন্তু প্রহরী রাজী হলো না। হবার কথা নয় কারন রাজা সম্মানীয় ব্যাক্তি। তার ছবিতে থু থু দেওয়া যাবে না। এখানে কথা হলো ছবিতো ছবিই তাহলে তাতে থুথু দিলে সমস্যা হবার কথা কি ? হুম অবশ্যই সমস্যা তো হবেই। কারন ওটা যে সে ছবি নয় ওটা রাজার ছবি। এখন যদি রাজার মরেও যান তাহলেও তার ছবিতে সবাই শ্রদ্ধা করবে। কারন ওটা রাজার ছবি।অর্থাৎ একটা ছবিকে রাজার মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। তাহলে একটা পাথর বা মাটি দিয়ে বানানো মুর্তিকে যদি ঈশ্বর হিসাবে মেনে নিয়ে প্রার্থনা করা হয় তাহলে দোষ কি ? প্রার্থনা করছি তো সেই পরম রাজাকে ।
=========================
সাইকোলজিক্যালি যদি চিন্তা করেন তাহলে সরাসরি নিরাকার কোন কিছুর কল্পনা করা য্তটা কঠিন তার চেয়েও বাস্তব কিছুর কল্পনা থেকে নিরাকারে যাওয়া অনেক সহজ না। যদি নিরাকারে নাই যেতে পারি ক্ষতি কি ঈশ্বর বা স্রষ্টার প্রার্থনা মনে মনে করাও যা চিৎকার করে করাও তাই।

৩৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১২:০০

শাইরি বলেছেন: @মানচুমাহারা আপনি মূল লেখাটি আবার একবার পড়ুন। মূল লেখায় স্রষ্টার বিবরনের সাথে বহুঈশ্বরবাদ কি কন্ট্রাডিক্টরির (মূল ধর্ম হতে বিচ্যুত অর্থে) সৃষ্টি করেনা। এবং মুর্তিপূজার বিষয়টিও।

৩৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১২:১১

'অসুর' বলেছেন: ভারতবর্ষে বেদ হল সর্বপ্রথম লিখিত ধর্মগ্রন্থ। তার আগে কি ভারতবর্ষে মানুষ ছিল না? ধর্ম ছিলো না? হিন্দু ধর্ম হল আর্যদের সঙ্গে নিয়ে আসা ধর্ম যার মাধ্যমে আর্যপূর্ব ভারতবর্ষের বহুঈশ্বরবাদী ধর্মাচরণের পরিবর্তে একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রচলন ঘটে। ভারতবর্ষের হিন্দু ধর্ম তাই দুটোরই মিশেল। দুটো ধারাই প্রায় সমানভাবে বিকশিত হয়েছে। কিন্তু একেশ্বরবাদী অংশ শাসকদের সমর্থনে আর আর্যপূর্ব বহুঈশ্বরবাদী লোকায়িত ধর্ম সাধারণ জনসমাজের আন্তরিক ভক্তিতে বিকশিত হয়েছে। একারণেই প্রধানত হিন্দুধর্ম বহুঈশ্বরবাদী।

৩৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১২:১৫

'অসুর' বলেছেন: দুঃখিত, উল্লেখ করা দরকার যে,
বেদ হল হিন্দুধর্মের অর্থাৎ আর্যদের প্রথম ধর্মগ্রন্থ।

৩৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১২:১৬

মানচুমাহারা বলেছেন: আমি একটা ব্যাপার মেনে নিতে পারছি না, বহুঈশ্বর আর এক ঈশ্বরকে বহুরুপের কল্পনা করা এক কথা নয়। হিন্দু ধর্মে কোথাও বহুঈশ্বরের কথা বলা হয়েছে বলে আমার জানা নাই।

৩৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:২৫

মানচুমাহারা বলেছেন: একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আর তা হলো ব্রহ্ম আর ব্রহ্মা একই শব্দ নয়।
ব্রহ্ম(ঈশ্বর)=ব্রহ্মা(সৃষ্টি করেন) যোগ বিষ্ণু (পালন করেন)যোগ শিব (ধ্বংশ করেন)।

৩৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:২৮

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: মানচুমাহারা এরা সবাই তো একি ব্যাক্তি শুধু ভিন্ন রুপ

৪০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৪১

মানচুমাহারা বলেছেন: @ ডাক্তার আইজউদ্দিন
ঠিক ,কারন যদি বলি একই ব্যাক্তি নয় তাহলে ঈশ্বরকে বিভক্ত করা হয়ে গেলো। আবার দেখুন বলছি 'ব্যাক্তি', মানে একটা সাকার কিছু বা মুর্তি হিসাবে বিবেচনা করছি।

===========================
@সবার জন্যঃ
আমি মুল পোস্ট, আমার নিজস্ব চিন্তা ও বই পুস্তকের রেফারেন্স ছাড়া সাধারন জ্ঞান বুদ্ধি থেকে যা বুঝেছি তাই লিখেছি।

৪১| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১:২৬

বইপাগল বলেছেন: আজকে পিস টিভিতেও ডাঃ জাকির নায়েকের একটা অনুষ্ঠান দেখলাম "সিমিলারিটিজ বিটউইন হিন্দুইজম এ্যান্ড ইসলাম" অসাধারণ, আবার ব্লগে এসে মাহিরাহির পোস্টটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ৫

মাহিরাহি, ঐ অনুষ্ঠানটা আপনার দেখা সম্ভব হলে আপনি আরো ভালো এবং অকাট্য সব রেফারেন্স এ পোস্টে যোগ করতে পারতেন। তাতে পোস্টটি আরো সমৃদ্ধ হতো। ধন্যবাদ।

৪২| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১:২৮

ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন: আচ্চা খ্রীস্চান আর ইহুদি ধর্ম তো একেশ্বরবাদী হেগো লগে আপনারা মুসলমানরা মারামারি করেন কেন বইপাগল;

৪৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:০৮

মদন বলেছেন: ডাক্তার, মুল পোস্টের বাইরে ঝাপ দেওনের দরকার কি?

৪৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @দিগু, তুমি হিন্দু হইয়া গীতা পড় নাই, তুমার তো পরজন্মে খবর আছে!

যাই হোক, জ্ঞানের সাগরে সব উথলাইয়া পড়তাছে এই জায়গায়। প্রথম দুকে মনোযোগ ছিলো, কিছুক্ষন পর মনে হইলো আমার চোখ স্ক্রিনে থাকলেও কান গেছেগা আড্ডায়।
এই তর্ক চলা উচিত!

আমার উস্তাদ কপিরাইট কইরা বইলা গেছে:
জানার কোন শেষ নাই
জানার চেষ্টা বৃথা তাই
চল সবাই স্কুল পালাই!

৪৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার উস্তাদের নাম হইলো উস্তাদ শের-এ-গুজরান খা!

আইসো বলি ছুম্মা আমিন!

৪৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:১২

হোসেইন-দ্য এ টিম বলেছেন: এই পোস্ট কি নীতিমালার লঙ্ঘন?

৪৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ভালো লাগল.......৫ দাগালাম

@ হারাধন ওরফে ডাক্তার,
"আচ্চা খ্রীস্চান আর ইহুদি ধর্ম তো একেশ্বরবাদী হেগো লগে আপনারা মুসলমানরা মারামারি করেন কেন বইপাগল;"...........
খ্রীস্চান আর ইহুদি ধর্ম তো একেশ্বরবাদী ???? ধর্ম মূর্খ আর কাকে বলে!!!
খ্রিস্টানরা এক খোদা ফেলে ত্রি-খোদার উপাসনা করে জানো না?
ইহুদীরা কাকে খোদার পুত্র মনে করে জানো না? না জানলে ধর্ম নিয়ে গলা বাজি করার দরকার নাই...নিজের নাস্তিক মার্কা ধর্মেই বহাল থাক............

৪৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:৩২

বইপাগল বলেছেন: শুধু খৃষ্টান ধর্ম কেন, এমনকি হিন্দু ধর্মে পর্যন্ত একজন সৃষ্টিকর্তার কথা বলা আছে। যারা নিজেদের ঐ ধর্মের লোক বলে পরিচয় দেয়, তারা কিন্তু নিজেদের ধর্মগ্রন্থ-ই ভালো করে পড়ে নাই বা পড়ার চেষ্টা করে নাই।

৪৯| ১১ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:১৪

মানচুমাহারা বলেছেন: আমি ছোট বেলা থেকে আমার নিজের ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মের যারা আমার আশেপাশে সব সময় থাকতো তাদের ধর্ম সম্পর্কে জানার চেস্টা করেছি। নিজের ধর্ম সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, যে ধর্ম সম্পর্কে বা শুধু ধর্ম বা এই বিষয়ে বোধ আমি বই পড়ার চেয়ে নিজের বিচার বুদ্ধি থেকেই বেশি জেনেছি বা বুঝেছি। এটা কাউকে উদ্দেশ্য করে বলছি না।।

৫০| ১১ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:৪৮

মৈথুনানন্দ বলেছেন: যে একেশ্বরবাদের কথা আলোচিত হচ্ছে, তার একটা নিয়ার-য়্যানালোগ্যাস ফর্ম আমরা দেখতে পাই তিব্বতী তন্ত্রে, সেখানে তুঁল্পের ( TULPA ) কথা বলা হয়েছে। ইতিহাস পড়লে যেমন জানা যায় অতীশ দীপংকর যেমন অনেক কিছু তাদের শিখিয়ে এসেছিলেন, আবার ওদের জিনিস কিছু শিখেও এসেছিলেন, তাহলে ব্রম্ভবাদ ---> তুঁল্প না কি তুঁল্প ---> অরিজিন অব ব্রম্ভ?

৫১| ১২ ই আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শাইরি বলেছেন: হোসেইন-দ্য এ টিম বলেছেন :
এই পোস্ট কি নীতিমালার লঙ্ঘন?

এই প্রশ্ন করা হলো কেন?

৫২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৫৮

শ্রীমতি চৌধুরী বলেছেন: রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব (লোকে বলত পাগল : স্ত্রীকে মাতৃ জ্ঞানে পুজা করতেন) বলেছেন, যত মত তত পথ। মতের শেষ নাই, পথেরও শেষ নাই। যারা বুঝবেন তারা অল্পতেই বুঝেন আর যারা বুঝেন না তারা কিছুতেই ভুঝবেন না। অযথা তর্ক বিতর্ক।
যাহোক, খুবই ভালো লাগলো আপনাদের জ্ঞান দেখে।
উদু ভাইয়ের ওস্তাদ ঠিকই কইছেন,
জানার কোন শেষ নাই
জানার চেষ্টা বৃথা তাই
চল সবাই স্কুল পালাই!

অতপরঃ @ মানচুমাহারা ::: [[[ ব্রহ্ম(ঈশ্বর) = ব্রহ্মা(সৃষ্টি করেন) + বিষ্ণু (পালন করেন) + মহেশ্বর (ধ্বংশ করেন)]]]
ওই হলো গিয়ে শেষ কতার এক কতা-- রাখে কৃষ্ণ মারে কে? মারে কৃষ্ণ রাখে কে?

৫৩| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৫৯

সজল শর্মা বলেছেন: গবত গীতার চাপ্টার নং ৭, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, যাদের বুদ্ধি জাগতিক লোভে লোপ পেয়েছে তারাই মুর্তি পুজা(ডেমি গড) করে, এরাই বৈষয়িক মানুষ যারামুর্তি পুজা করে, তারা সত্যিকারের সর্বশক্তিমানের খোদার ইবাদত করেনা।

এখানে শেষ লাইনটা অতিরিক্ত। "তারা সত্যিকারের সর্বশক্তিমানের খোদার ইবাদত করেনা।"- এই লাইন গীতায় নেই। ৭ নং এর ২১ আর ২২ নং শ্লোক পড়ে দেখবেন সব খোলাসা হয়ে যাবে।

এভাবে প্রত্যেক্টি রেফারেন্সের আগে পিছে অনেক কিছু আছে। সব হিন্দুই এ কথা মানে যে ব্রহ্ম এক এবং অদ্বিতীয়। সাকার-নিরাকার দুই উপাসনা পদ্ধতিই শাস্ত্রে আছে। এভাবে দু-একটি করে শ্লোক তুলে বিশাল শাস্ত্রের কথাকে তো তুলা যায় না। শাস্ত্রে কিন্তু সব দিকই আলোচনা করা হয়েছে।

৫৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২

কঠিন চিজ বলেছেন:

৫৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

নষ্ট কবি বলেছেন: ভাই না জেনে আপনারা হিন্দু ধম নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছেন। X( X( X( X(

৫৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৮

নষ্ট কবি বলেছেন: জানতে হলে আমাকে মেইল করুন,,,,,,,,[email protected]

৫৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২২

যীশুমন বলেছেন: "রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে"

অথবা - "ঘুমিয়ে আছে শিশুরপিতা- সব শিশুর ই অন্তরে"

"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু - তর্কে বহুদূর"

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের -

কেউ বলে -জল,
কেউ বলে - পানি,
কেউ বলে -ওয়াটার,
একের রূপান্তর- বহুর মাঝে এক।
আছে সবাই - কিন্তু কেউই নেই।
নিজের নিজের বিশ্বাস নিয়ে থাকো - মানো তিনি আছেন। ব্যস এতেই সব।
আপনি আচরি ধর্ম -সবাই নিজের নিজের ধর্ম পালন করো। কেউ কারো ধর্মের দোষ দেখো না। তাতে নিজের ধর্ম পালন হয় না।
নিজেকে দেখো। নিজের দোষ ত্রুটি দেখো - দোষ শুধরে নাও। পরের দোষ-ত্রুটি দেখতে যেও না।

মা সারদা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের এই বানীই যথেষ্ট ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.