![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।
ভারতে গরুর জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে ভারতে একজন দরিদ্র মানুষকে তার বৌয়ের লাশ কাধে নিয়ে মাইলের পর মাইল হাটতে হয়েছিল। সঠিক চিকিতসার অভাবে অনেক মানুষকে মরতে হচ্ছে ঐ দেশে।
অথচ অসুস্থ বা দুর্ঘটনায় জখম গরুদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া জন্য ‘গৌবংশ চিকিৎসা মোবাইল ভ্যান’ চালু করা হয়েছে যে ভ্যানে হাজির থাকবেন একজন পশুচিকিৎসক ও তার সহকারী, উপরি থাকছে টোল ফ্রি নম্বর।
ভারতে এক সময় দলিতরা আক্ষেপ করা শুরু করবে, গরু হয়ে জন্ম না নেওয়ায় জন্য
ছোট বেলায় শুনেছিলাম এক অবাংগালি এক শিশুকে শুনল সুর করে পড়তে "গুরুকে সম্মান করা উচিত"। শুনে সে মহা ক্ষিপ্ত এটা কোন ধরনের বেয়াদবি পড়া "গরুকে সম্মান করা উচিত"। বেচারা গরু এবং গুরুর মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনি।
ঐ অবাংগালি বেচে থাকলে আরো অবাক হতেন এ খবর শুনে যে গৌবংশ চিকিৎসা মোবাইল ভ্যানের উদ্দোক্তারা (উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য সোমবার এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা উদ্বোধন করেন) গরুকে সম্মান করার উপদেশ দিয়েছেন। তাদের মতে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে, যারা গরুকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে দেখেন, দুধ দেয়া বন্ধ করলে অবহেলা করেন এবং ফলে গরু রাস্তায় নোংরা প্লাস্টিক খায়।
ক্ষুধার্তদের এক তৃতিয়াংশের বাস ভারতে। ২০ কোটির উপর ভারতীয়রা আজ রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাবে। ৭০০০ এর চাইতে বেশি ভারতীয় প্রতিদিন ক্ষুধায় মারা যায়। ২৫ লাখ মারা যায় সারা বছরে।
সংখালঘুদের নির্যাতনে এখন ভারত ৩ নাম্বারে। দুদিন আগে আসামে দুজন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে গরু চুরির অভিযোগে, কিছুদিন আগে হত্যা করা হয়েছে ১২ বছরের এক শিশুকে।
ঐদিকে ভারত ব্যস্ত গরু রক্ষায় আর আমাদের দেশে বুদ্ধিজীবিরা ব্যস্ত ভাস্কর্য রক্ষায়।
দুই দেশের মুসলমানদেরকেই এখন এক কঠিন সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
ভারত সরকারের যেমন উচিত গরু বাদ দিয়ে দরিদ্র সংখ্যালগুদের দিকে নজর দেয়া, আমাদের দেশের সরকারেরও উচিত ভাস্কর্য বাদ দিয়ে এদেশের দরিদ্র জনসংখ্যার দিকে নজর দেয়া।
০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
মাহিরাহি বলেছেন: দরিদ্ররকে শুধু ব্যবহার করা হয়, ভোট ব্যাংক হিসাবে।
২| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৩:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক ভারতীয় গরু থেকে কম মুল্যের
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মাহিরাহি বলেছেন: অনেক অনেক
৩| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৩:১২
সম্রাট৯০ বলেছেন: কোর্টের সামনে এই ভাস্কর্য অযথা।কোর্ট কর্তৃপক্ষ আর সরকার যে এই কাজ করেছে তাদের এটা সরিয়ে নেয়া উচিৎ।সে যে উদ্দেশ্যেই বানানো হোক না কেন।
আর এই বিষয়টা বলতে গিয়ে আপনি ভারতের গরু গাভী চড়িয়ে আসাটাও অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের সমাজে আপনাদের মত কিছু মানুষের মতই কিছু অযথা কাজ হয় অযথা কথা বলা বা লেখার জন্য।
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মাহিরাহি বলেছেন: সহজ ব্যপারটি বুঝাতে পারিনি, ব্যর্থতা আমার।
ভাস্কর্য আর গরু নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, কিন্তু আপনার মত বুদ্ধিমান জনগনও সেটা বুঝতে চাইছেন না।
৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯
জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: বিশ্বের সর্ব বৃহৎ গো মাংস রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত, বৈদেশিক রেমিটেন্সের উৎস হবার কারণে এই সন্মান গরু জাতির প্রাপ্য। আর দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভারতের কি কাজে লাগে যে তাদের দিকে নজর দিতে হবে? দানা মাঝির বউ বেচে গেলে জাতির এমন কি উপকার হত? কিন্তু একটা অসুস্থ গরু সুস্থ হলে তার মাংস বিক্রি করে কমসে কম হাজার খানেক ডলার নগদ কামাই হবে।
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মাহিরাহি বলেছেন: গরু =<দানা মাঝির বউ
৫| ০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: গরু একটি উপকারী প্রানী। গরু আমাদের দুধ দেয়, গোবর দেয় মাংশ দেয়, ...........
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মাহিরাহি বলেছেন: গরুর চামড়া দিয়ে জুতা হয়।
৬| ০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
কানিজ রিনা বলেছেন: গরুও মানুষ নাকি, যাকে মা বলা হয়।
ভারতের শিশুরা গরুর দুধ খায় তাই গরুকে
মা বললে দোশ নাই। কিন্তু গোরুর বাছুর
গুল মায়ের দুধ পায়না বাছুর মা না ডাকলে
কেমন হয়। কিন্তু ষাড় গুলকে ওরা বাবা
ডাকেনা কেন ষাড় কি দোষে বাবা ডাক
থেকে বন্চিত হোল।
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মাহিরাহি বলেছেন: ওদের মায়ের ঠেলায় বাচা দায়,
আমার বাবা হলে ত
৭| ০৩ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: ওরাও গরু এবং গুরুর মধ্যে পার্থক্য করতে পারছেনা। পৃথিবী নাকি দিন দিন শিক্ষিত হচ্ছে আর সভ্য হচ্ছে! এই তার নমুনা!
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মাহিরাহি বলেছেন: সভ্যতার নমুনা!
দিন দিন শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ছে, দরিদ্ররা শোষিতও হচ্ছে আগের চাইতে বেশি।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: দাদারা গরুর জন্য অ্যাম্ব্যুলেন্স ,পরিচয় পত্র ,নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেছে।
আর আমরা মুর্তির গায়ে কতটুকু কাপড় আছে,কতটুকু খোলা আছে, গ্রীক নারির না বাংগালি নারীর মুর্তি তা নিয়ে লাফালাফি করি।মুর্তি থাকবে না সরাবে তা নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ বয়ান দিচ্ছি।
দাদাদের সাথে আমাদের তাল মেলাতে হবে তো।নাহলে আমরা যে বোকামোতে পিছিয়ে যাবো!
হত দরিদ্র বাচুক আর মরুক তা দেখার দরকার কি?
অবস্থা খারাপ দেখলে আমরা আখের গুছানো সুরু করে দিব।