নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নদীসিক্ত অপরূপ বাংলাদেশের যে কোন জেলার মত চট্টগ্রামের ও রয়েছে সমৃদ্ধ, গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।অন্তরঙ্গ-বহিরঙ্গ দুভাবেই এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক প্রকাশ উচ্চ,প্রকট, জোরদার, আন্তরিক ও অহংময়। যাপিত জীবনের নানা অনুষঙ্গে তার প্রবলতর উপস্থিতি খুব সহজেই অন্য অঞ্চলের মানুষের চোখে পরে।
চট্টগ্রামের কথা বলতে গেলে সবার আগে ভাষার কথা বলতে হয়।বাইরের অঞ্চলের মানুষ এ অঞ্চলে এসে প্রথম যে বিস্ময়ের মুখোমুখি হোন তা হল চাটগাইয়া ভাষা।লোকের মুখে চাটগাইয়া বুলি শুনে তার অবাক নেত্রে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন গতি থাকে না।উপায় ওবা কি! অনেক আগেই প্রমথ চৌধুরী বলে গেছেন ‘বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।’আক্ষরিক অর্থেও কিন্তু তাই। অনেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষার তকমা লাগাতে চাইলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি স্বতন্ত্র ভাষা।এ ভাষার উচ্চারণ ও শব্দার্থ বৈচিত্র্য,শব্দযোজন রীতি,স্বরধ্বনি বহুলতা স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারী।কবি বুদ্ধদেব বসুর কথাতে তারই আচ পাওয়া যায়- ‘আর কোথাও শুনিনি ঐ ডাক, ঐ ভাষা, ঐ উচ্চারণের ভঙ্গি।বাংলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের ভাষা বৈশিষ্ট্য বিস্ময়কর। চাটগাঁর যেটা খাঁটি ভাষা, তাকে তো বাংলাই বলা যায় না’।
চট্টগ্রামের মানুষের অতিথিপরায়ণতার কথা সুবিদিত।আর অতিথি আপ্যায়নের কথা আসলে অবধারিতভাবে মেজবানের কথা চলে আসে।মেজবান যেন চট্টলার মানুষের বিশাল কলিজার পরিচয় দেয়।কোন উপলক্ষকে সামনে রেখে গরীব দুখি,পাড়া পড়শি ,আত্মীয়, বন্ধুদের জন্য যে ভোজের আয়োজনকরা হয় তার নাম মেজবান।গরুর গোস্ত আর সাদা ভাত হল মেজবানির মুল খাবার। সাথে ছোলার ডাল,গরুর হাড় দিয়ে ঝোলের রান্না।কখনো কখনো লাউয়ের সাথে ঝোল সমেত গরুর নলা পরিবেশন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিয়ে কিংবা যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে সাধারণত একবারের বেশি দেয়া না হলেও মেজবানে অতিথির চাহিদা অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়।অর্থাৎ ইচ্ছেমত মাংস কিংবা আহার গ্রহণে মেজবানের তুলনা হয় না। বিশেষ কায়দায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাবুর্চিরা মেজমানের গরুর মাংস রান্না করেন।দেশী-বিদেশী মসলার পাশাপাশি স্থানীয় হাটহাজারী অঞ্চলের বিশেষ ধরনের শুকনো লাল মরিচ ব্যবহারের ফলে মেজবানের মাংসের স্বাদ অতুলনীয় যে কোন ভোজন রসিকের কাছে।মেজবানের রান্নায় হাটহাজারী উপজেলায় উৎপাদিত টকটকে লাল মরিচ ব্যবহার হয়ে থাকে যা দেখতে টকটকে লাল হলেও কম ঝাঁলের এ মরিচের দাম দেশের অন্যান্য মরিচের চেয়ে বেশি থাকে। প্রিয়জনের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আয়োজিত ভোজ বা ফাতেহা কিংবা জিয়াফত চট্টগ্রামে মেজবান হিসাবে প্রচলিত হয়ে এসেছে। গত কয়েক দশক ধরে জন্মদিন, বিভিন্ন দিবস, পারিবারিক সাফল্য, নতুন কারবার শুরু, বিদেশে গমন, নতুন বাড়িতে প্রবেশ, পরিবারে আকাঙ্খিত শিশুর জন্ম, বিয়ে, আকিকা ও সুন্নতে খৎনা, মেয়েদের কান ছেদন, রাজনৈতিক সাফল্য, নবজাতকের নাম রাখাসহ নানান ধর্মীয় উৎসবের সময়ে মেজবানির আয়োজন করে থাকে এখানকার বাসিন্দারা। মেজবানির দাওয়াত সকলের জন্য উম্মুক্ত থাকে।
বিশেষভাবে রান্না করা গরুর মাংসই মেজবানের মূল আকর্ষণ।এ মাংসের জন্য সাধারণত দ্য ক্যাটল অফ চিটাগাং জাতের গরু ব্যবহার করা হয় যার প্রাপ্তিস্থান চট্টগামের বাশখালি,আনোয়ারা,চন্দনাইশ সহ সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে।আকারে ছোট হলেও এ গরুর মাংস সুস্বাদু, পুষ্টিকর।
একসময় মেজবান চটগ্রামের সামাজিক গণ্ডিতে সীমিত থাকলেও হালে দেশের নানা প্রান্তে মেজবান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকাস্থ চটগ্রাম সমিতি প্রতিবছর মেজবানের আয়োজন করে আসছে।ব্যবসায়ীদের কল্যাণে মেজবানের ব্র্যান্ড ইমেজ ও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বৈকি! চট্টগ্রামে ভালো মানের হোটেল রেস্টুরেন্টে ‘’মেজবানির মাংস ‘’ ‘মেজবানির ডাল’ নামে আলাদা খাবার বিক্রির প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে খুব স্পষ্ট হয়ে উঠছে।সম্প্রতি চালু হওয়া চট্টগ্রামের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসনে সবচেয়ে বড় খাবারের হলটির নাম রাখা হয়েছে ''মেজবান হল''।ব্যবসায়ীদের এহেন কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামের মানুষের প্রবল মেজবান আসক্তিকে নির্দেশ করে।
বলিখেলা চট্টগ্রামের সংস্কৃতির আরেকটি বলিষ্ঠ অনুষঙ্গ। বলীখেলা নামটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নাম। এর আভিধানিক নাম হলো মল্লযুদ্ধ বা কুস্তি প্রতিযোগিতা।বলিখেলায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন কালের। এ অঞ্চলে মল্ল নামে খ্যাত বহু প্রাচীন পরিবার দেখা যায়।চট্টগ্রামে সর্বমোট ২২টি মল্ল পরিবার ইতিহাস প্রসিদ্ধ। একসময় চট্টগ্রাম অঞ্চলরে প্রায় প্রতিটা গ্রামে বলিখেলার প্রচলন থাকলেও র্বতমানে উল্লখেযোগ্য দু একটি স্থান ছাড়া বাকিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলা চলে। তবে চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকন্দ্রে লাল ময়দানে অনুষ্ঠতি জব্বারের বলিখেলা এখনো আপন মহিমায় টিকে আছে। দেশের অন্যান্য স্থানের বলীখেলা কিংবা লোকজ মেলার সাথে জব্বারের বলীখেলার বিশেষ পার্থক্য রয়ছে। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে বাঙালি যুব স¤প্রদায়ের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলা এবং শক্তিমত্তা মাধ্যমে মনোবল বাড়ানোর উদ্দশ্যেে ১৯১০ সালে বন্দর শহর চট্টগ্রামের বদরপতি এলাকার আবদুল জব্বার সওদাগর ১২ বৈশাখ তারিখে লালদীঘির ময়দানে সর্বপ্রথম বলীখেলার আয়োজন করেন।একসময় দেশ বিদেশের নানা বিখ্যাত বলী জব্বারের বলিখেলায় অংশগ্রহণ করছেন।এ বলীখেলা আর্কষণ করছেে পাশ্চত্যকেও।১৯৬২ সালে দুজন ফরাসী মল্লবীর আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশগ্রহণ করেছিন। ব্রিটিশ ফিল্ম ডিভিশন একবার ডকুমেন্টারি ফিল্ম হিসাবে আবদুল জব্বারের বলীখেলার ছবি সংগ্রহ করেছিল, যা লন্ডরের ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে।
নামকরা বলির অভাবে বর্তমানে বলির আকর্ষণ কিছুটা স্লান হয়ে গেলেও একে কেন্দ্র করে যে লোকজ মেলার আসর বসে তার আবেদন বিন্দুমাত্র কমেনি।সারা বছরের গেরস্থালি পণ্য কেনার জন্য অনেকেই এই মেলার প্রতীক্ষায় থাকেন।মেলা চলাকালীন সময়ে সমগ্র আন্দরকিল্লা নিউমার্কেট (র্বতমান), কোতোয়ালী মোর, কেসিদে রোদ, হজরত আমানত শাহ (রহ.)-এর মাজার ছাড়িয়ে জেলরোড,দক্ষিণে বাংলাদশে ব্যাংক,শহীদ মিনার এলাকাসহ প্রায় ২ বর্গমিটার এলাকা মেলায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মেলায় হাতপাখা, শীতল পাটি, মাটির কলস, চুড়ি ফিতা, হাতরে কাঁকন,মাটির ব্যাংক, খেলনা, কুড়াল, পিড়ি,হাড়ি পাতিল,মোড়া, মাছ ধরার চাই,ঢোল, বাঁশ,বাশ ও বেতের নানা উপকরণ, নানা আসবাব ও গৃহ উপকরণ,মাটির তৈরি তৈজসপত্র,শিশুদের জন্য কাঠের পুতুল, মাটির তৈরি নানান ধরণের খেলনা সামগ্রী, ঘর সাজানোর উপকরণ প্রভৃতি গেরস্থালী উপকরণ সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও গ্রাম বাংলার নানা সুপরিচিত ঐতিহ্যবাহী খাবারের দেখা মেলে এ মেলায়।
বলী খেলাকে কেন্দ্র করে শতাব্দী প্রাচীন এ মেলাটি বর্তমানে মহাসমারোহে টিকে থাকলেও বলী খেলার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা হ্রাসের ব্যাপারটি দুঃখজনক।অথচ নতুনভাবে এর ব্র্যান্ডিং ইমেজ পূর্ণনির্মাণের মাধ্যমে নতুন প্রজম্মের কাছে একে আগের মত জনপ্রিয় করানো যেত।
ওরে সাম্পান ওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা – এই গানটি শুনেন নি এমন লোক বোধ হয় খুব কম আছেন।সাম্পান আর কর্ণফুলী নদী যেন এক সুত্রে গাথা।সাম্পান প্রথম সৃষ্টি হয় র্কণফুলী নদীতে। প্রচলন আছে, র্কণফুলী নদীতে একসময় যাত্রীবাহী জাহাজ ও স্টিমার চলাচল করতো। জাহাজ থেকে নেমে যাত্রীরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে কূলেওঠার জন্য সাম্পানের সৃষ্টি। সাম্পান বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। ছোট আকারের একটি সাম্পানরে দৈর্ঘ্য আনুমানিক২০ ফুট এবং প্রস্থ কমপক্ষে সাড়ে ৪ ফুট। এ ধরণের একটি সাম্পানে ১৫ থেকে ১৮ জন যাত্রীধারণ হয়। এ সাইজের চেয়েও আরো বড় সাম্পান রয়ছে। চট্টগ্রামবাসীদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য অঙ্গনে সাম্পানের রয়েছে এক বিরাট ভূমিকা। সাম্পানরে বৃহত্তর রূপ হলো কাঠের তৈরি জাহাজ। এ গুলোতে আট-দশ হাজার মণ মালামাল নিয়ে সাগরে পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থকেে মালামাল পরবিহন করতো। চট্টগ্রামের নৌশিল্পের ঐতিহ্য প্রায় ১২ শ’ বছরের।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, সপ্তদশ শতকে তুরস্কের সুলতানের নৌবহরের অধিকাংশ জাহাজ নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। একবার এক আদেশে সুলতান চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৩টি জাহাজ ক্রয় করেছিলেন। ব্রিটিশ নৌবহরেও চট্টগ্রামে নির্মিত জাহাজের প্রাধান্য ছিল।
১৯২৪ সালে কলকাতা বন্দরে ১১টি ব্রিটিশ জাহাজের মধ্যে ৮ টি ই ছিল চট্টগ্রামের তৈরি। ১৯০০ শতকে চট্টগ্রামে এক হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ তৈরি হত। সিজার ফ্রেড্রারিক লিখেছেন, চট্টগ্রাম থেকে ২৫ থকেে ৩০টি জাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। এখানকার নির্মিত জাহাজ গুণে মানে আলেকজান্দ্রিয়ায় তৈরি জাহাজের চেয়ে উন্নত ছিল। জার্মানির ব্রেমার হ্যাভেন জাদুঘরে এখনও চট্টগ্রামের তৈরি জাহাজ প্রর্দশনীর জন্য সংরক্ষিত আছে।কালের স্রোতে সাম্পানের আগের সেই জোরালো অবস্থান না থাকলেও ঐতিয্যের অনুষঙ্গ হিসেবে কর্ণফুলীর বুকে বেঁচে আছে আজো।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীনদী ও সাগরের পাড়ের মন মাতানো গন্ধে সৃষ্ট চট্টগ্রামবাসীর আরেকটি প্রিয় জিনিস শুটকি।মূলত মৎস্য সংরক্ষণের প্রয়োজনে এ শিল্পটি গড়ে উঠেছে। শুকানো শুটকি সুন্দর ও সুস্বাদু একটু কম হয়। সাগর পাড়ে শুকানো শুটকির স্বাদ ভালো হয়। কারণ লোনা পানির মাছ ও লোনা বাতাসে শুকানো শুটকির স্বাদ-গন্ধ আলাদা। আর র্কণফুলী পাড়ে শুকানো মাছে লবণ মিশিয়ে শুকাতে হয়। এছাড়াও র্কণফুলী পাড়ের বাতাস র্আদ্রতামিশ্রিত।এ কারণে অন্য শুটকির চেয়ে এখানকার শুটকির স্বাদ-গন্ধ একটু আলাদা।ফলে চট্টগ্রামের শুটকির খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পরেছে।
শুস্ক ও হাল্কা খাদ্য প্রস্তুতকারক শিল্পেও চট্টগ্রামের রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য।চট্টগ্রামের বিখ্যাত গণি বেকারী, বজল বেকারী,মাস্টার বেকারীর নাম আজো সুবিদিত।মিষ্টান্ন শিল্পেও পুরোনো বোস ব্রাদার্স হতে শুরু করে বর্তমানের মধুবন, ফুলকলি,পূরবীর নাম পুরো দেশে সমুজ্জল।
বিস্কুটের কথা আসলে বেলা বিস্কূটের কথা বলতেই হবে। বড় সাইজের শক্ত এ বিস্কুটের কদর একসময় চট্টগ্রামবাসীর ঘরে ঘরে ছিল।সকালের নাস্তায়, স্কুলের টিফিনে,বিকালের হাল্কা নাস্তায় চায়ের সাথে বেলা বিস্কুট ছাড়া চট্টগ্রামবাসীকে ভাবা যেত না।কালের ছোঁয়ায় খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে বেলা বিস্কুটের আগের অবস্থান না থাকলেও এখনো বিশেষ একটি অবস্থান ধরে রেখেছে।
বিশ্বায়নের এই যুগে যেখানে সব প্রকার স্বতন্ত্র চিহ্ন এক দেহে লীন হয়ে পরছে সেখানে নানা ধরণের সংযোজন –বিয়োজন সত্ত্বেও চট্টগ্রামবাসীর তাদের মূল সংস্কৃতির প্রতি আনুগত্য ও শ্রদ্ধাবোধ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: াহাহাহহা, বাকরখনি ???? নাকি বাওরওনি এইতা নিয়ে খটকা না হয় একটু থাক ।
সচেতনভাবে চেষ্টা করি এখানকার স্পেশাল বাতাস যাতে গায়ে না লাগে। তবুও মাঝে মাঝে এখানকার মানুষের উষ্ণতায় আপ্লুত না হয়ে পারি না।
যাকে ভালবাসে তার জন্য কলিজা খুলে ফেলতে পারে এখানকার মানুষ । আপনি CLTC এর কথা ভেবে দেখতে পারেন ।
শুভেচ্ছা শাকিল ভাই ।
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চট্টগ্রামের ভাষা এতটাই বিদঘুটে যার কিছুই বুঝা যায় না। আমার এখানে একটা চট্টগ্রামের ভদ্রলোকের গ্রসারি শপ আছে। সব সময় সেখানেই যাই কেনাকাটা করতে। উনি কি বলেন তার কিছুই বুঝি না। এক দিন উনাকে বলেছিলাম "ভাই, আপনি যে কথাগুলো বললেন তা যদি এক্তু কষ্ট করে বাংলায় বলতেন তাহলে বুঝতে পারতাম!" ফলাফল উনি এখন আমার সাথে হিন্দিতে কথা বলেন
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ, কি কইলেন ভাই ।
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:১৫
জেন রসি বলেছেন: মেজবানের বর্ননাটা বেশ টাচি ছিল। যেভাবে লিখলেন একেবারে পড়াতেই অর্ধ ভোজন হয়ে যাচ্ছিল আরকি।
বলি খেলার ঐতিহ্য বোধহয় হারিয়ে যাবে। ঐতিহ্যরা হারিয়ে যায়।
ভাষা নিয়ে কিছু বলার নেই। মাথার উপর দিয়ে চলে যাওয়া টাইপ ভাষা। প্রমথ চৌধুরী যথার্থই বলেছিলেন।
নতুন কিছু তথ্য জানলাম। যে কোন উপলক্ষে মেজবানের দাওয়াৎ দিতে ভুইলেন না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথম চৌধুরীকে মাইনাস । চিটাগাং আসেন , মেজবানি চলবে নগদে ।
শুভেচ্ছা রইল ।/
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট। ইন্টারনেট স্পীড স্লো থাকার কারনে পোস্টটিকে আমি সিলেক্ট করতে পারছি না। মেজাজ বহুত বিলা। কিছুক্ক ন পরে আবার আসতেছি।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আচ্ছা ভাই । আমারও আসতেছে যাইতেছে ।
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১
জেন রসি বলেছেন: কাভা ভাই মনে হয় মেজাজ বিলা কইরা বলি খেলার মুডে আছেন। আগে মেজবান দিয়া কাভা ভাইরে ঠান্ডা করেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কাভা ভাইয়ের সাথে পাল্লা দিতে পারে এমন কোন বলি এই বাংলায় আছে আছে মনে হয় না । আপনার কি মনে হয় ?
কাভা ভাইকে আগে মনে হয় বরহানি খাওয়াতে হবে।/ নাহ , আগে চলেন উনাকে কিভাবে ঠাণ্ডা করা যায় তা নিয়ে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করি
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ‘বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।’ -- প্রমথ চৌধুরী।
'চাটগাঁর যেটা খাঁটি ভাষা, তাকে তো বাংলাই বলা যায় না’ - বুদ্ধদেব বসু।
কিছুটা ব্যাঙ্গাত্মক হলেও, বাংলার প্রথিতযশা উপরোক্ত দু'জন কবি সাহিত্যিকের মন্তব্যগুলো আমার কাছেও একইভাবে একসময় প্রতিভাত হতো। পরে চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষদেরকে ভালবেসে ফেলি, সেই সাথে তাদের ভাষাকেও। বলতে না পারলেও, কিছু কিছু বুঝি।
যদিও আমার বাবার কর্মস্থল হওয়ার কারণে চট্টগ্রামেই আমার জীবন শুরু হয় এবং জীবনের প্রথম পাঁচ/ছয় বছর আমি ওখানেই কাটিয়েছি, এর পরে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে আবাসিক হইনি। এর বহু বছর পরে নিজের কর্মস্থল হিসেবে দু'বছর চট্টগ্রামে ছিলাম। পরের বারে 'মেজবান' এর সাথে পরিচিত হয়েছি এবং উপভোগ করেছি। এখন অবশ্য ঢাকার অভিজাত হোটেল ও ক্লাবগুলো বছরে অন্ততঃ একবার করে 'মেজবান' এর আয়োজন করে থাকে। তাই ঢাকাবাসী অনেকের কাছেও 'মেজবান' অপরিচিত নয়।
১৯৬২ সালে দুজন ফরাসী মল্লবীর আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশগ্রহণ করেছিন। ব্রিটিশ ফিল্ম ডিভিশন একবার ডকুমেন্টারি ফিল্ম হিসাবে আবদুল জব্বারের বলীখেলার ছবি সংগ্রহ করেছিল, যা লন্ডরের ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে- বেশীদিনের কথা নয়। এই আমরাই তো ছোটবেলায় ঢাকার পাড়ায় পাড়ায় ব্যায়ামাগার দেখেছি, যেখানে সামান্য কিছু যান্ত্রিক উপকরণ আর ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজের দ্বারা তরুণ/কিশোরদের শরীরচর্চামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। বছরে একবার, সাধারণতঃ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার পর, বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা হতো। এসব প্রতিযোগিতা প্রথমে পাড়া থেকে শুরু করে ক্রমান্বরে "মিঃ ঈস্ট পাকিস্তান" শিরোপার জন্য প্রতিযোগিতা পর্যন্ত গড়াতো।
সপ্তদশ শতকে তুরস্কের সুলতানের নৌবহরের অধিকাংশ জাহাজ নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। একবার এক আদেশে সুলতান চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৩টি জাহাজ ক্রয় করেছিলেন। ব্রিটিশ নৌবহরেও চট্টগ্রামে নির্মিত জাহাজের প্রাধান্য ছিল
---- এবং
এখানকার নির্মিত জাহাজ গুণে মানে আলেকজান্দ্রিয়ায় তৈরি জাহাজের চেয়ে উন্নত ছিল। জার্মানির ব্রেমার হ্যাভেন জাদুঘরে এখনও চট্টগ্রামের তৈরি জাহাজ প্রর্দশনীর জন্য সংরক্ষিত আছে।কালের স্রোতে সাম্পানের আগের সেই জোরালো অবস্থান না থাকলেও ঐতিয্যের অনুষঙ্গ হিসেবে কর্ণফুলীর বুকে বেঁচে আছে আজো ---
উপরোক্ত তথ্যগুলো জেনে অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছি।
একটি সুলিখিত, তথ্যবহুল পোস্ট। পোস্টে ভাল লাগা + +
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে বেশ ভাল লাগল ।
সাথে আপ্নিও কিছু তথ্য দিয়ে দিলেন । ঢাকার অভিজাত হোটেল ও ক্লাবগুলো বছরে অন্ততঃ একবার করে 'মেজবান' এর আয়োজন করে থাকে।
আপনাদের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে পুরোনো সময়ে চলে এসেছি। ভালো লাগা ছুয়ে যাচ্ছে ।
শুভেচ্ছা রইল
৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
জেন রসি বলেছেন: প্রথমেই বোরহানি খাওয়াইয়া দিবেন? ব্যাপারটা একটু আনঅর্থোডক্স হইয়া গেল না?আমার মনে হয় প্রথমে লাউলের সাথে গরুর নলাটা ট্রাই করতে পারেন। তারপর ভাইয়ের মন মর্জি বুইঝা বাকি সিদ্ধান্ত নিতে হইবো।
তবে কাভা ভাই কোন পদ্ধতিতে বলি খেলেন এইটাও একটা বিবেচনার বিষয়।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ্যা ব্যাপারটা ভাইয়ের উপর ছেড়ে দিলেই ভাল হয় । বলির ব্যাপারে কিছু বলতে লুইজ্জা পাচ্ছি
৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
জেন রসি বলেছেন: কেন লুইজ্জা পাইতেছেন? এই “লুইজ্জা” শব্দটার মধ্যেই রহস্য আছে!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হামা ভাইরে ডাকেন । রহস্য বাইর করুক
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
জেন রসি বলেছেন: পোস্টের নাম হবে “ দ্যা কিউরিয়াস কেস অব কাভা’স বলি খেলা অ্যান্ড মাহমুদ’স পারসেপশন অ্যাবাউট কাভা’স বলিখেলা”!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইয়ে মানে হাজার হোক কাভা ভাই মডু মানুষ কি হইতে কি হইয়া যায় পোষ্টের আরেকটু নম্র ভদ্র নাম দেয়া যায় কিনা দেখেন
১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
জেন রসি বলেছেন: ইয়ে মানে কাভা ভাই যে মডু এইটা মনে থাকেনা! এখন আপনি বলায় মনে পরছে! পোস্টের নাম অবশ্যই পাল্টানো দরকার। পোস্টের নাম হবে “ অনলি কাভা ভাই ইজ রিয়্যাল ,বাকি সব ঐতিহ্য“!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আশা করি কাভা ভাইয়ের বলি ধরার পদ্ধতি একদিন আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হবে , আমরা পালন না করি ত কি হইছে আমাদের উত্তরসূরিরা কাভা ভাইকে ইতিহাস করে রাখবে ।
১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।
যদিও মেজবান কখনো খাওয়া যাবে না......
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার জন্য দরকার হলে খাসির মাংসের মেজবান দেব । আসেন চিটাগাং । ভাল থাকবেন সুমন দা ।
১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: ম
পোস্ট পড়তে গিয়ে ভেবেছিলাম মেজবাণী মাংসের রেসিপি দেবো। কমেন্ট পড়তে গিয়ে ইন্নিনিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাহে রাজিউন পড়ছি!!!!!!!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আসলে আমার পোষ্ট ত , তাই সবাই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সরবচ্চ চেষ্টা করে। বিশেষ করে জেন রসি ভাইয়ের অবদান কখনো ভুলবার নয়
রেসিপি চাইইইইইইইইইইই ।
ভালো থাকবেন আপুনি ।
১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
সুমন কর বলেছেন: একদিন, সময় করে চলে আসবো...........!!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অপেক্ষায় থাকব সুমন দা ।
১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খিদা লাইগা গেলো মেজবানের কথা পইড়া। চিটাগং আইলে খাওয়াইবা এই মেজবান মাংস ?
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ । হোটেল জামানে নিয়া খাওয়াইমু
১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
জেন রসি বলেছেন: আদার বেপারি হয়ে জাহাজের খবর রাখতে নেই। তাই কাভা ভাইয়ের বলি খেলা এবং মেজবান খাওয়া বিষয়ক দুই সদস্যের কমটি থেকে আমি পদত্যাগ করলাম।
তার চাইতে বরং মরিচের খবর নেওয়া যাক। যতদূর জানি চট্রগ্রামের মানুষ ঝাল বেশী খায়। দু একবার শুটকি খাইয়া আমার মনে হইছিল বঙ্গোপসাগরে ঝাপ দেই। এই ঝাল বেশী ব্যাপারটাও চট্রগ্রামের একটা ঐতিহ্য। কিন্তু এখানে লিখলেন মেজবানে মরিচ নাকি এ দেশের কম্যুনিস্টদের মত। মানে দেখতে অনেক লাল কিন্তু ঝাল নাই। এই মাংশে ঝাল কম দেওয়া হয়?
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খাইছে । গাছে তুলে দিয়ে মই নিয়ে পালিয়ে পেলেন ভীতু সন্তান না হবার আহবান করছি
স্বাভাবিকভাবে মাংস রাঁধার সময় যেরকম ঝাল দেয়া হয় মেজবানির মাংসে তা থেকে কম থাকে।
১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫১
শায়মা বলেছেন:
থাক থাক আর মেজবানীতে কাজ নাই!!!!!!!
আপাতত আজ রাতের ডিনার থেকে তোমাদের ৩ জনের জন্য এই রাইস বল উইথ ইয়াম্মি ইয়াম্মি সস আনিলাম!!!!!!!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খেতে গেলাম । কিন্তু কম্পিউটার স্ক্রিনে হাত আটকে গেল ।
১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: চট্টলার মেজবান মিস করি বড়দা।
ধানমণ্ডির মেজবান নামের এক রেঁস্তরায় মেজবানের স্বাদ নিতে গিয়ে কি ধরাটাই না খেয়েছিলাম।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: !! দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে ভাই
চিটাগাং আসলে নক দিয়েন , মেজবানি খাবো দুজনে । দাওয়াত দিয়ে রাখলাম ।
১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অফিসের কাজে দু'বার চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম ,চমৎকার কিছু মানুষের ভালোবাসার গল্প রেখে এসেছি ।
লেখায় ভালোলাগা ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম ।
আশা করি ভাল আছেন ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা রইল ।
১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পোস্ট পড়ে যারপরনাই হতাশ হয়েছি। বলি খেলা, জাহাজ আর কর্ণফুলী ছাড়া বাকি সবই শুধু খাবার নিয়ে 'অমানবিক' আলোচনা। বিশেষ রকমের মরিচ বিশেষ রকমের গরুর মাংস দিয়ে একটি 'অমানবিক খাবারের' কথা বলা হয়েছে বারবার! প্রতিবাদ রইলো!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
আপনার কথা ভেবেই ত মেজবানি র অংশটা লিখলাম । ভেবেছি মেজবানির লোভে মইনুল ভাইকে চট্টগ্রাম টেনে আনা যাবে ।
প্রিয় মইনুল ভাইকে অনেকদিন পর দেখে খুশি হলাম ।
প্রতিবাদ আমলে নিয়ে মেজবানির দাওয়াত দিলাম
শুভেচ্ছা রইল প্রিয় মইনুল ভাই ।
২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: একটা মেজবানের দাওয়াত তো জীবনে দিলেন না।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ! !!
চলে আসেন ভাই । মেজবানি খাওয়াব ।
২১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
সাাজ্জাাদ বলেছেন: চাটগার বিয়ের কথা কিছু বললেন না যে। এক একটা বিয়েতে যে কতো ধরনের অনুষ্ঠান থাকে যে,কতো কতো টাকা খরচ হয় যে , তা কিছু বললেন না যে। চাটগার বিয়েতে একবার যে যোগ দিয়েছে যে সে বুঝবে যে বিয়ে কতো প্রকার আর কি কি যে। ১৫০০-২০০০ মানুষের খাওয়া দাওয়া তো আছেই যে, সে আরও অনেক লম্বা কাহিনী যে। পরে একদিন বলা যাবে যে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রবন্ধটী পত্রিকার জন্য লিখেছিলাম। সেখানে শব্দসংখ্যা ও বিষয়বস্তুর আউটলাইন দেয়া ছিল। এর আওতায় লেখাটি লিখতে হয়েছে।
ভবিষ্যতে এবিষয়ে লিখলে বিয়ে সহ আর ও নানা কিছু আসবে নিশ্চয় ।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
খাওয়ার আগে কোন প্রকার আপোসে যাচ্ছি না। মেজবানি এবং প্রতিবাদ যুগপৎ চলবে!
লেখাটি উপভোগ করেছি। চট্টগ্রাম এবং এর মানুষগুলো সম্পর্কে কমই বলা হয়েছে। শীতে চট্টগ্রামে আসতে পারি। সপরিবারে। শুধুই চট্টগ্রামে
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রবন্ধটি পত্রিকার জন্য লিখেছিলাম। সেখানে শব্দসংখ্যা ও বিষয়বস্তুর আউটলাইন দেয়া ছিল। এর আওতায় লেখাটি লিখতে হয়েছে।
ভবিষ্যতে এবিষয়ে লিখলে নানা কিছু আনার পরিকল্পনা আছে।
চমৎকার পরিকল্পনা। চটগ্রামে আসার সময় সুযোগ - সময় পেলে যোগাযোগ করার অনুরোধ থাকল ।
শুভেচ্ছা রইল মইনুল ভাই ।
২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৩
কালীদাস বলেছেন: খিদা লাইগা গেল মেজবানের বর্ণনা পৈড়া
নাগরিক অবকাঠামো কেমন এখন? অনেক বছর হয় যাওয়া হয়না শহরটায়। সামারে পেপারে দেখলাম সরকারী অফিসে নৌকা কিনতে
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহা । মেজবান বলে কথা
চটগ্রাম ধীরে ধীরে আরেক ঢাকা হতে যাচ্ছে। ফ্লাইওভারের আগের দিনগুলো ভালো ছিল। তবু ঢাকার তুলনায় অনেক অনেক বেশি স্বস্তিতে আছি।
ব্লগে আপনার আট বছর হয়ে গেল । এ উপলক্ষে যদিও পোস্ট দিয়েছেন , তবু আট বছরের নানা আনন্দ বেদনার কাসুন্দি শুনতে আগ্রহী । আশা করি বিবেচনায় রাখবেন।
আপনার উপস্থিতি দেখে ভাল লাগছে। সময় সুযোগ করে ব্লগে নিয়মিত সক্রিয় থাকবেন এই কামনা করি।
শুভকামনা রইল।
২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আহারে, ছিটাগাঙের ছুরি আর লইট্যা হুনি খাইয়াই শুঁটকি খাওয়া শিখছি। এর আগে শুঁটকির গন্ধও সহ্য করতে পারতাম না।
তবে 'মেজবান' খাওয়ার আপচুচটা রইয়াই গেল!
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেকদিন পর জুলিয়ান দা। আশা করি নিয়মিত হইবেন ।
আমার ভাল্লাগে রূপচাঁদার শুটকি ।
চিটাগাং আহেন , খাওয়ামু আপ্নেরে ।
ভাল থাইকেন জুলিয়ান দা ।
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম পোস্ট, মন্তব্য করা হয়নি। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা ভাই ।/ আপনাকে দেখে ভাল লাগছে ।
ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০১
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: বদ্দা চিটাগাং আমার প্রিয় শহর। ৬টা বছর আমি কাটিয়েছি ওখানেই।মেজবান খাওয়া এবং বলি খেলা উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে।
চিটাগাংয়ের আলো,বাতাসের মত প্রিয় ছিল বেলা বিস্কুট ।
খটকা লেগেছে একটা যায়গায় গিয়ে - বাকরখনি ???? নাকি বাওরওনি !!!
বিদেশে থেকেও চিটাগাং বন্ধুদের আতিথেয়তা পেয়েছি অনেক বার।
আমার চিটাগাংপ্রিতী দেখে এক বন্ধু আমায় বলেছে-
"বদ্দা জিন্দেগীত ত টেংশন ফেংশন নো করিও।
আরার চিটাগাং চলি আইসসো!
চিটাগাং ভাসার উফ্রে তিন মাসের এক্কানা কোর্স করিবা- CLTC ( চিটাগাং ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সেন্টার)
ব্যবসা করিবা।লাইফ সেটেল্ড অয়ি গেয়ি!