..........মা........

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

১,
বিদ্যুৎ নেই! ভ্যাপসা গরম!অনেক ঘেমে
গেছে। আর সহ্য ও হচ্ছে না! তবু ও
হারিকেনের নিভু নিভু আলোয় তুৃমি
পড়ছো।চেয়ারের পিছন থেকে কেও
একজন তোমার গাঁয়ে হাত দিল....!
নিজের আঁচল দিয়ে ঘাম মুছে দিল।
তুমি বুঝলে,একটু আগের ক্লান্তি বা
অবসাট টুকু আর নেই।গরম টাও উধাও!
একটা ছোট্ট শীতল স্পর্শতেই তোমার
পশম গুলো দোলছে....!
এ মুহূর্তে তুমি যে প্রশান্তি টা পেলে,
তা দেওয়ার মত শক্তি বিদ্যুতের নেই।
এ প্রশান্তির নাম "মা"।
২.
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তুমি।
হোস্টেলে থাকার চেয়ে ম্যাচে
থাকার সুবিধা টা তোমার চেয়ে কে
ভাল জানে? হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর হলো
তোমার। সপ্তাহ খানেকের জ্বরে তুমি
পুরোই কুপোকাত।ডাক্তারি সেবা,
শূশ্রূষা ও দাওয়াই সবই হল।কাজ হল না।
দূর্বল দূর্বল লাগছে,মাথা তোলো বসতে
পারছোনা।সামান্য জ্বরে ও তুমি
ওষ্ঠাগত। ঘুমের ঘোরে ঘোরে
কাতরাচ্ছো,মা মা বলে বকছো।
কখন যে ঘুৃমিয়ে গেলে জানো না।
হঠাৎ বুঝলে কপালে কারো ছোট্ট একটা
স্পর্শ।কেও একজন কপালে শীতল পট্টী
দিচ্ছে।চোখ মেলতে পারছো না।
তোমার ভাবনা গুলো তাল গোল
পাকিয়ে ফেলছে।তুমি কোথায় আছো
ঠিক ঠাক মনে করতে পারছো না।
চোখের পাতা না খুলেই কে কে বলে
বকছো।
হঠাৎ বুঝতে পারলো এক ফোঁটা জল
তোমার চোখের পাতায় পরলো।চোখ
মেলে দেখলে মায়ের চোখ জোড়া জলে
চিকচিক করছে।ঐ এক ফোটা জলে
তোমার চোখের পাতা খুলে গেছে।
"সত্যি তাই,পৃথীবিতে আসার পূর্ব
মুহূর্তে মায়ের চোখের শত ফোঁটা জলেই
এ পৃথীবির আলো আমরা দেখেছি।
তোমার আজো তাই হল।
ধপাশ করে উঠে বসলে, "মা" তুমি....!
মায়ের কঠোর কোমল হাত তোমার গাল
বেঁয়ে ঠোঁট অবধি ছুঁয়ে গেল।
বললো, চুপ মেরে ঘুমা খোকা।
তুমি বুঝলে,অস্থিরতা, জ্বর এবং
দূর্বলতা কিছুই নেই।
এ মূহূর্তে ডাক্তার যা পারেনি, তা
পেরেছে তোমার মা।
পৃথীবির সব মা ' রাই এমন শক্তিশালী।
স্রষ্টা এমন ক্ষমতা সবাই কে দেয় না।
সব মায়েরা ভালো থাক, সুস্থ
থাক,আমার আম্মুটা কে ও বেহেশত দিস আল্লাহ.....
....

বিঃ দ্রঃ আপনার বৌ আপনাকে
যতোগুলো চুমু দিচ্ছে প্রতিদানে আপনি
যতো গুলো চুমু খাচ্ছেন, তার চেয়ে ঢের
বেশী ছোট বেলায় আপনার মম আপনার
ললাটে এঁকে দিয়েছে। আজ আম্মু কে
একটা স্পেশাল চুমু দিয়ে দিন না,এ তো
সত্য ভালবাসাই,পাপ না।

০ টি +০/-০