![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরান মাজিদের ৩০ তম পারার ১০৭ নং সুরা এটি।এর আয়াত সংখ্যা ০৭। এটি মাক্কী সুরা। এখানে যারা মুসলমান হয়েও যাদের মধ্যে প্রশ্নবোধক আচার আচরন ছিল তাদের সেই লঙ্ঘনীয় আচরন সম্পর্কে আল্লাহ তার হাবিব কে বলে দিয়েছেন। সুরা মাউনেকোরান নাজিলের মাসে কোরান চর্চা-০৩।
১ম আয়াতে বলা হয়েছে তাদের মুল আচরন যদিও তারা মুসলিম হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিত।আর সেটি হলো তারা আখিরাতের পুরষ্কার এবং শাস্তিকে অস্বীকার করতো।
আর বর্তমান সময়ে আমরাও তাই করে থাকি দুষ্টামির ছলে।যেমনঃএক বন্ধু আরেক বন্ধুকে হাসির ছলে বলছে”তুই কিন্তু আমার এক্স এর সাথে যা করছোস তা আল্লাহ সইবে না” বা তুই জাহান্নাম থেকে জীবনেও বাহির হইতে পারবি না”। খেয়াল করুন এখানে কিন্তু “আল্লাহ সইবেনা” এবং “জাহান্নাম থেকে বের হইতে পারবি না” এই কথা গুলো হাসির ছলে বলা হচ্ছে যদিও কথাগুলো আসলেই সিরিয়াস।আর ব্যাপার টা দুই জনের জন্যই শাস্তি যোগ্য অপরাধ।মানে এক্স গার্ল ফ্রেন্ড মানে যার ছিলো তার জন্যও গুনা আর এখন যে আছে তার জন্যও গুনা।কিন্তু তারা এই ব্যাপারটিকে হাসি তামাসার মত করে বলে এবং পক্ষান্তরে আখিরাতের ঐ সিরিয়াস কথা গুলোকে হাসির/দুষ্টমীর ছলে বলে তাই আমি মনে করি এটা আখিরাতের ঐ কথার অবিশ্বাসই ফুটে উঠে।
২য় আয়াতে আরেকটি ব্যাপার বলা আছে আর তা হলো এতিমকে ধাক্কা দেয়া। এতীমের ব্যাপারে কিছু বলার অপেক্ষা নাই কারোরি।কিন্তু আমি বাস্তব জীবন থেকে আরেক ধরনের এতিমকে উধাহরন হিসাবে আনতে চাই।আর তা হলো ধরুন আপনি কোন অফিসে কর্মরত আর আপনি একটা ডিসিশান নিলেন হোক সেটা ভালো অথবা খারাপ।আপনার সাথে আপনার কোন কলিগ সহমত হলো না।তখন তাকে শায়েস্থা করার জন্য আপনি তার বেকগ্রাউন্ড খুজে বের করলেন যে সে কোন বিপদে পড়লে তাকে উদ্বার করার কেউ এই প্রতিষ্ঠানে নেই।তখন আপনি তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে একটা বিপদে ফেলে তাকে অফিস থেকে বের করে দিলেন।তাহলে সেক্ষেত্রে যাকে বের করে দিলেন আপনি কিন্তু ঐ অবস্থার এক এতিমকে ঘাড় ধাক্কাই দিলেন। আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি ব্যাপারটা।যদি এরকম কিছু করে থাকেন।তাহলে আজই ইস্তেগফার করুন।
৩য় আয়াতে বলা হয়েছে মিসকীনকে খাবার দানে উতসাহিত করে না। তাহলে মিসকিন কারা সেটা আগে আমাদের জানতে হবে।আমরা সাধারনত যারা ভিক্ষা করে তাদের মিসকিন বলে থাকি আসলেই কি তারা? না।
অভাব যার আছে, কিন্তু জাকাতের যে নেসাব রয়েছে, সেই নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই, তার চেয়ে কম আছে, তিনি হচ্ছেন মিসকিন।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি একটি বা দু’টি খেজুর অথবা এক বা দুই লোকমা খাবারের জন্য ঘুরে বেড়ায় সে প্রকৃত মিসকীন নয়। বরং প্রকৃত মিসকীন ঐ ব্যক্তি যে লোকদের নিকট চায় না এবং তারাও তার অবস্থা অবহিত নয় যে, তাকে কিছু দান করবে। সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৩১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সুতরাং এই ধরনের মানুষের সাহায্যে আমাদের পরিচিত কেউ এগিয়ে আসলে আমরা না জেনে এগিয়ে আসা মানুষটিকে বলি এ কিন্তু ভন্ড(শুনাকথার উপর ভিত্তি করে বা নিজে নিরেট ভাবে না জেনে)।তখন এগিয়ে আসা ব্যাক্তিটি কিন্তু উতসাহ হারিয়ে ফেলে। এটাও কিন্তু আল্লাহর কাছে ঘৃনীত কাজ।
৪র্থ এবং ৫ম, ৬ষ্ঠ আয়াতে বলা হয়েছে নামাযীদের ব্যাপারে যারা লোক দেখানো নামায পড়ে এবং কাজ করে।আমি সারা সপ্তাহ নামায না পড়ে শুক্রবার নামাযে যাচ্ছি এই কারনে যে মানুষ কি বলবে জুমার নামায না পড়লে? আমি মনে করি তাদের চেয়ে যারা কোন নামাযই পড়েনা তারা অনেক ভালো। আর এটা বুঝানোর জন্য আমি মনে করি আর বেশি কিছু বলার অবকাশ নেই।
৭ম আয়াতে বলা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দেয়া থেকে বিরত থাকা।
সেটাও আমরা মনে করে থাকি গরীব মিসকীনদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে।কিন্তু এভাবে চিন্তা করুন তো আপনার কাছে কোন কলিগ হঠাত করে একটা কলম খুজলো।আর আপনি ইন্টেনশনাল ভাবেই কলম থাকা সত্বেও তাকে কোনদিন না করেছিলেন কিনা? যদি উত্তর হ্যা হয় তাহলে আজই পারোয়ারদেগার এর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন।
আল্লাহ আমাদের কোরানের শাস্বত মর্ম বাণী গুলো বুঝে নিজের জীবনে আমল করার তৌফিক দিন।
আমীন
১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৭
amar bibek বলেছেন: মন্তব্যটা বুঝলাম না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম অনেকে নিজেকে চালাক ভাবতেই বেশি পছন্দ করে, বুদ্ধিমান ভাবতে পছন্দ করে না।