সিলেটের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান

২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

ইরাবতী পান্থশালা
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে জৈন্তাপুরের সারিঘাট নামক স্থানে এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার অবস্থান। এই পান্থশালার নামকরন হয়েছিল জৈন্তিয়া রাজ্যের রাজকুমারী ইরাবতী'র নামে। সিলেট শহর থেকে পর্যটন আকর্ষণ লালাখাল যাওয়ার পথে এই স্থাপনাটি দেখা যায়।

জিতু মিয়ার বাড়ি
সিলেটের জায়গীরদার খান বাহাদুর আবু নছর মোহাম্মদ এহিয়া ওরফে জিতু মিয়ার আবাসস্থল কে জিতু মিয়ার বাড়ি নামে ডাকা হয়। এটি সিলেট শহরের মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি দর্শনীয় স্থাপনা। এই বাড়ীটি সিলেট নগরীর শেখঘাটে কাজীর বাজারের সংলগ্নে অবস্থিত।

টিলাগড় ইকোপার্ক
সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় এর অবস্থান। এটি দেশের তৃতীয়তম ইকোপার্ক। কয়েকটি ছোট ছোট টিলা নিয়ে এই ইকো পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। ছোটবড় টিলার মধ্য দিয়ে একটি ছড়া বয়ে গিয়েছে। ঘন গাছ-গাছালি রয়েছে এই ইকোপার্কটিতে। বেশকিছু ফল গাছের পাশাপাশি এখানে রয়েছে জীববৈচিত্রের সমাহার। এখানে পিকনিক কর্নার ছাড়াও রয়েছে শিশুদের জন্য চিলড্রেন’স কর্নার।

বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান
সিলেট নগরীর অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র। এটি নগরীর বন্দর বাজারের পূর্বে ধোপা দিঘীর পার এলাকায় ওসমানী জাদুঘরের সামান্য দূরে দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর নামে ২০০০ সালে স্থাপিত হয় এটি। এটিকে বঙ্গবীর ওসমানী শিশু পার্ক নামেও ডাকা হয়।

ড্রিমল্যান্ড পার্ক
সিলেট শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে জকিগঞ্জ রোডের পার্শ্বে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হিলালপুরে অবস্থিত। বিনোদনের জন্য এই পার্কে আছে নানান রাইড এবং আয়োজন। সব বয়সের মানুষের বিনোদনের জন্য পার্কটি উপযুক্ত বলা যায়। ১০০টাকা প্রবেশমূল্যে। মানে ১০০টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করতে পারবেন এই থিম পার্কে। পরিবার পরিজন এবং বন্ধুবান্ধব মিলে আনন্দঘন সময় কাটানোর জন্য এটি উপযুক্ত একটি স্থান, সব বয়সের মানুষের বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে বিভিন্ন রাইড।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, সিলেটটুডে।

০ টি +০/-০