![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবিতুনের বাপ কয় ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান’। পরিবারের লোকজন কয় নির্বাচন করবি নাকি? সমালোচকরা বলেন ‘সেলিব্রেটী হতে চায়’। নিরপেক্ষ স্বজনরা বলেন ‘এরূপ সামাজিক কর্মকান্ড করা ভাল’। আমি বলি এসব কিছুই না। এটা আমার বিবেক, এটা আমার দায়বদ্ধতা (যার জন্য কারও কাছে জবাব দিতে হবে না বিবেক ছাড়া)। যা উপেক্ষা করতে পারি না কোনভাবে। কেউ আমাকে ভাল বলুন আর মন্দ বলুক এতে আমার কিছু যায় আসে না। জোঁকের মত আমি লেগে থাকতে চাই আর দেখতে চাই লেগে থাকার ফল কতটা মধুর! লোকে কী ভাববে? তা যদি আমিই ভাবি, তাহলে লোকে ভাববে কী? আমার মতে সমালোচনা হচ্ছে বড় ব্রান্ডিং।
আলোর পাশে অন্ধকার। আমার শশুরের ছেলেরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের প্রথম শ্রেনীর অর্থা্ৎ শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও ব্যাংকার এর মত সম্মানীয় পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু এই বাড়ির পাশের ঘরের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে বাল্য বিবাহ, নিরক্ষরতা, বাচ্চাদের স্কুলে না যাওয়া এবং এ ব্যাপারে পরিবারের উদাসীনতা ইত্যাদি। শশুর বাড়িতে গিয়ে যখন দেখি ছোট ছোট ৮-১১ বছরের ছেলে মেয়েরা স্কুলে না গিয়ে বিভিন্ন খেলা ধুলায় মেতে থাকে। বিশেষ করে ছেলেরা সকাল বেলাই চাড়া খেলতে (মাটির তৈরী কোন আসবাবপত্র ভাঙ্গা টুকরাকে ত্রিভুজ আকৃতি করে এটা সামনের দিকে ছুড়ে মারা) অথবা ম্যাচের খাপ দিয়ে খেলতে লেগে যায়। এনিয়ে পরিবারের কারো কোন মাথাব্যাথা নাই। এসব দেখে আমি অবাক হই এবং বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তোলে। কী করা যায় এদের জন্য? নষ্ট হতে দিতে চাই না আমি একটা শিশুকেও। এজন্য আমার যা যা করা দরকার আমি তা করব। আমি জানি এখানে অনেক কথা হবে। লক্ষ্য অটুট রেখে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এগিয়ে যেতে চাই। কারো কোন সমালোচনা গায়ে লাগাতে চাই না। চাই মোটিভেশনাল স্পিস এবং গঠনমূলক নির্দেশনা।
আমার যা পরিকল্পনা -
প্রথমতঃ বাচ্চাদের স্কুল মুখী করা। প্রতিটা ছেলে- মেয়ে যেন নিয়মিত স্কুলে যায়। এজন্য বিনোদনমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
দিত্বীয়ত ঃ অবিভাবকদের ডেকে প্রয়োজন হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুরোধ করা। তাদের বুঝাতে হবে যে সন্তান তারই সম্পদ, ভবিষ্যৎ কর্ণধর। আপনি যা পারেননি আপনার সন্তান তািই করে দেখাবে। অবশ্যই তা সুন্দর কিছু।
আমার স্বপ্ন ঃ এই ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে কেউ হবে ডাক্তার, কেউ হবে ইঞ্জিনিয়ার, মন্ত্রী-মিনিষ্টার কেউ বা হবে আতিউর রহমান অথবা তার থেকেও বড় কেউ। অন্ততঃ একটা ছেলে বা মেয়েও যদি উঠে আসে সেটাই আমার সাফল্য।
শুরু করেছি যতটুকু ঃ
১। গত শুক্রবার ০৪-১১-২০১৬ তারিখ গিয়েছিলাম। পরের দিন শনিবার অবিভাবকদের সাথে কথা বলেছি।
২। স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি। ৫ম শ্রেনীতে যারা পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য সামান্য কিছু উপহার দিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আপনার উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। সমাজের গঠনে অবদান রাখুন সফলভাবে- এই প্রত্যাশাই রইলো।