নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আব্দুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন

মানুষ আর মানুষের তামশা দেখি,দুটোই আমার প্রিয় !

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন

একজন তড়িৎ প্রকৌশলী। ****************** বুকের মাঝে স্বপ্ন আর হতাশার যুগলবন্ধী বসবাস...

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা জানতে চাই পোষ্ট... :|

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২১

সৃজনশীল প্রশ্নঃ



উদ্দীপকঃ নবীজি রাসুল (সঃ) তার জন্মের ৪০ বছর পরে নবুয়্যত লাভ করেন। হেরা গুহায় ধ্যানরত অবস্থায় ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ পাকের তরফ থেকে ওহি লাভ করেন।



প্রশ্নঃ নবীজি রাসুল (সঃ) এর জন্ম কতসালে ?



ক. ৫৫০ খ. ৫৭০ গ. ৫৭৫ ঘ.৬৭৫ খিষ্ট্রাব্দে



প্রশ্নঃ নবীজি রাসুল (সঃ) নবুয়্যত লাভ করেন কবে ?



ক. ৫৫০ খ. ৫৭০ গ. ৬১০ ঘ.৬৭৫ খিষ্ট্রাব্দে



* এখনকার ইসলাম ধর্ম আসল কবে থেকে, রাসুল (সঃ) -এর নবুয়্যতের আগে নাকি পরে ?

* নবুয়্যতের আগে তাহলে নবীজি কোন ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন ?

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৯

পাইলট ভয়েচ বলেছেন: মাইনাস

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৫

বাগসবানি বলেছেন: ১. খ. ৫৭০
২. গ. ৬১০
৩. ইসলামের জন্ম নব্যুয়ত লাভের পরে
৪. উনি বনী ইসরাইলের কোরেশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন ।

এখন গিয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়েন । ব্লগিং বাদ দেন । আগে জ্ঞান আহরণ করেন, তারপর অন্যের জ্ঞান যাচাই করেন ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: * নবুয়্যতের আগে তাহলে নবীজি কোন ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন ?



প্রশ্ন করা কি অপরাধ...

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৮

পাপাই বলেছেন: মসজিদের হুজুর দের জিঞ্গাস করেন।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৩

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: ওকে।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাগসবানির সাথে একমত।

তিনি একটা ভুল করেছেন, ইসলাম ইসলাম অনুসারে আদম আ. থেকেই পরিচালিত। আরো এক হাজারটা প্রশ্ন করুন এই বিষয়ে। পোস্ট স্থায়ী করুন।

নবুয়তের আগে তিনি মিল্লাতে ইব্রাহিমি/ মুওয়াহিদ/ হানিফ ছিলেন। মিল্লাতে ইব্রাহিমিই হানিফই মুওয়াহিদই মুসলিম। প্রমাণ দিচ্ছি পরের কমেন্টে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: উপরে দেয়া তথ্য আমার জানাই ছিল। শুধু একটা বিষয় কনফিউশান ছিল।

নবীজি কি তার নবুয়্যতের আগে কলেমা পাঠ করেছে ? কলেমা আসল কখন ?


* নবুয়্যতের আগে তাহলে নবীজি কোন ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন ?

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: বাগসবানি বলেছেন: ১. খ. ৫৭০
২. গ. ৬১০
৩. ইসলামের জন্ম নব্যুয়ত লাভের পরে
৪. উনি বনী ইসরাইলের কোরেশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন ।

এখন গিয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়েন । ব্লগিং বাদ দেন । আগে জ্ঞান আহরণ করেন, তারপর অন্যের জ্ঞান যাচাই করেন ।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুওয়াহিদ শব্দের অর্থ একেশ্বরবাদী। মুওয়াহিদরা মুসলিম।

মিল্লাতে ইব্রাহিমি মানে আব্রাহামিক রিলিজিয়ন। মুসলিম। আব্রাহাম আ. ইসলামের নবী।

হানিফ ছিল সবচে প্রচলিত শব্দ। মুসলিম।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৫

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার জন্য ।

কিন্তু

"লা ইলাহা ইল্লাহ " পর্যন্ত কলেমা তো আগেই ছিল। অন্য সকল নবীদের সময়।

তবে,

লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলউল্লাহ (সঃ) - এই কলেমা'টা কি নবুয়্যতের পরে আসছে না আগে ?

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রমাণ-

দেখুন, সিহাহ সিত্তাহর অন্যতম হাদীস গ্রন্থ, আবু দাউদ শরীফ।

সেখানে নামকরণ বিষয়ক অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হাদিস,

সাইয়্যিদুনা আলী রা. রাসূল দ.'র কাছে আর্জি পেশ করলেন, ইয়া রাসূলআল্লাহ, আমার শখ আমার কোন সন্তানের নাম রাখব আপনার নাম ও উপনাম অনুসারে।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তখন রাসূল দ. বললেন, রেখো।

বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ বললেন, তারপর আমার জন্মের পর বাবা এই শখ পুরণ করেন। তিনি আমার নাম রাখেন মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ।

এই নামের অর্থ হল, মুহাম্মাদ, যিনি হানিফগণের বংশে আগমন করেছেন।

নাম এবং উপনাম উভয়ে রাসূল দ.'র নাম রাখা হল।

এবং আলী রা.;র রেওয়ায়েতে প্রমাণিত হল, মুহাম্মাদ দ. এর পূর্বপুরুষগণ ছিলেন একঈশ্বরবাদী ও আব্রাহামিক- অর্থাৎ হানিফ।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যে কোন সম্পূরক আলোচনা ও প্রশ্ন আশা করছি। ধন্যবাদ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৩

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: মানুষের জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে প্রথম আয়াতঃ

" ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযি খালাক " এটাই তো ?

এখানে ইকরা শব্দের মানে কি ' পড় '। মানে পড় তোমার প্রভুর নামে। ইকরা এর বাংলা কি 'পড়' হবে নাকি 'শোন' হবে ? নবীজী কি তখন পড়তে জানত ?




১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তিনি নবুয়্যতের আগে সেই কালিমাই পাঠ করেছেন, যে কালিমা মৃততুর সময় তার চাচা আবু তালিব রা. পাঠ করেছেন। আমি এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখি এবং ইব্রাহিম আ.'র দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৯

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমাকে একজন এই বিষয়'টা জানতে চেয়েছিল। আপনি কি কোন রেফারেন্স দিতে পারেন।

আমি তাকে দিতাম।

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কালিমাটা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ দ., কার্যকর হয়েছে নবুয়্যতের পরে।

তার আগ পর্যন্ত কার্যকর ছিল নিজ নিজ গোত্রের কালিমা।


যেমন, বনী ইসরাঈল বা ইয়াহুদাদের গোত্রে নবী এসেছেন অনেকে। সেখানে কালিমা পরিবর্তিত হয়েছে রাসূলের সাথে সাথে। নবীর সাথে সাথে নয়। রাসূল তিনি, যিনি নতুন শরীআহ অর্থাৎ কর্মবিধান আনেন। নবী তিনি, যিনি পূর্ববর্তী নবীর কর্মবিধানই জারি রাখেন কিন্তু আল্লাহর বাণীবাহক।

তাই, জিউদের মধ্যে কালিমা পরিবর্তিত হবে আপন আপন রিসালাতের অধিকারীর নামের সাথে, যেমন ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, এরপর আরো নবী রাসূল আসার পর শেষে মূসা কালিমুল্লাহ ও ঈসা রুহুল্লাহ।

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৩

বাগসবানি বলেছেন: @গোলাম দস্তগীর লিসানি : যদি বাইবেল আসার পর খ্রিস্ট ধর্মের আবির্ভাব হয়, তাহলে ইসলাম ধর্মের উদ্ভব কেন নব্যুয়ত লাভের পরে নয় !! ইতিহাস ঠিকমত পড়েন । দরকার হইলে রেফারেন্স ঘাটাঘাটি করেন । কোরেশ জাতিরা একঈশ্বরবাদি চিন্তাভাবনা ভুলে মূর্তি পূজা শুরু করে । এইকারণে ইসলামের আবি্ভাব

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৯

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: বাগসবানি, এই একটা প্রশ্নের উত্তরই আমি জানতে চেয়েছিলাম। সরাসরি বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না।

এখন সময় গরম। অনেকেই আছে, প্রশ্ন না বুঝেই গরম হয়ে যায়।

পরে কেউ যদি আবার নাস্তিক বইলা বসে, দুঃখের শেষ থাকবে না।

>> নবীজীর নবুয়্যতের আগে তো আর ইসলাম ছিল না। আরবে তখন পৌত্তলিক ধর্মের প্রচলন। বেশির ভাগই মূর্তি পূজারী ছিলেন।

তবে কোরাইশ বংশের উপর দায়িত্ব ছিল, কাবাঘরের।

তখনও কি কেউ ছিল, যারা ইব্রাহীম (আঃ) এর ইসলাম অনুসারী ?

১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কিন্তু সেই একই ধারার অন্য গোত্র প্রকটিত হল শুধু ইব্রাহিম আ.'র পুত্র ইসমাঈল আ. থেকে। তাঁর পর ওই গোত্রে ও ভূখন্ডে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর আগ পর্যন্ত আর কোন নবী ও রাসূল আসেননি। ইসমাঈল আ. যেহেতু রাসূল ছিলেন না, নবী ছিলেন, তাই যদিও ঈসা মূসা দাউদ আলাইহিমুস সালাম এসেছিলেন, কিন্তু তাদের নবুয়ত প্রায়োগিক ছিল শুধু বনী ইসরাঈলের জন্য, বনী ইসমাঈলের জন্য নয় তথা আরবদের জন্য নয়।

এই কারণে নবী দ.'র চাচা আপন গোত্রের বিগত রাসূলের উপর বিশ্বাস রেখে মৃততুবরণ করেছেন এবং সঠিক ঈমানে ছিলেন।

১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাগসবানি, আমি কোরেশগোত্রে মূর্তিপূজা ডিনাই করছি না। সেইসাথে এটাও বলছি যে, কোরেশ গোত্রে সবাই মূর্তিপূজারক ছিলেন না। এ বিষয়ে সহীহ হাদিস গ্রন্থে সহীহ রেফারেন্সের হাদিস আছে। আপনার খুজে নিতে হবে।

১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নবীজী পড়তে জানতেন। এই নিয়ে এখন বিশাল যুদ্ধ হতে পারে। সংক্ষেপে বলছি। স্পষ্ট হবে।

তিনি উম্মী, এর অনুবাদ আমরা করব, তিনি নিরক্ষর।

ভুল, উম্মী শব্দের মৌলিক অর্থ বের করুন। সেখানে দেখবেন, উম্ম মানে হচেছ উম্ব, মানে, গর্ভ, মূল, আকর, মাতা, ধারিণী, শিকড়।


সহিহ বুখারী। কিতাবুল ঈমান।

ফেরেশতা বললেন, ইক্ রা...
রাসূল দ. বললেন, আমি উম্মী

এর অর্থ এখন এভাবে করা হয়, আমি পড়তে পারি না, আমি নিরক্ষর।
ভুল।

কারণ, তার সামনে কোন লেখা ধরা হয়নি, যে পড়তে পারি না নিরক্ষর তা তিনি বলবেন।

(এই কমেন্টগুলোয় এমন কিছু আলোচনা এসেছে যা আমার পরে লাগবে, আশা করি আপনি পোস্ট ড্রাফট করবেন না ভাই, আমার আবার ভেবে লিখতে হবে সংরক্ষণের জন্য)

তাঁকে যখন বলা হল পড়,
তিনি বললেন, আমিই মূল

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৯

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: আল্লাহ সর্বজ্ঞানী।


আমি একটু কেমন জানি, সববিষয়েই আমার কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। অনেকেই বিষয়'টা ভাল ভাবে নেয় না।

আমি অনেক সময় দেখেছি, ক্লাসে অকেন বন্ধুই প্রশ্ন না করেই জানি ভাব ধরে বসে থাকে।

আমি জানার জন্য বোকার মত প্রশ্ন করে ফেলি।

আমার অনেক বিষয়েই কিছু প্রশ্ন ছিল। অবশ্যই পজিটিভ প্রশ্ন।

তেমন কাউকে পাই না। তাই প্রশ্ন করতেও পারি না। নিজে নিজে হাদিস পড়ে পড়ে পড়াও কিছু'টা কঠিন। সময়,সামর্থ্য হয়ে উঠে না।

অথচ কিছু আলোচনা, প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে অনেক বিষয় জানা-শোনা হয়ে যায়।

ওকে ভাই। পোষ্ট ড্রাফট করবো না। কারো হয়ত কাজে লাগতে পারে।

১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তখনও কি কেউ ছিল, যারা ইব্রাহীম (আঃ) এর ইসলাম অনুসারী ?

আলী রা.'র পুত্র বর্ণিত আবু দাউদ শরীফের হাদিস থেকেই প্রমাণিত।

ভাই আপনিও ভুল বুঝবেন না। এইসব আলোচনা আমাদের আরো সমৃদ্ধ করে।

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৮

বাগসবানি বলেছেন: তখনও কি কেউ ছিল, যারা ইব্রাহীম (আঃ) এর ইসলাম অনুসারী ?
---------------------------------------------------
এইখানেই ভুল করতেছেন, ইব্রাহীম আ্ঃ এর ধর্ম ইসলাম ছিল না, উনি বনী ইসরাইল জাতির ছিলেন, যারা মূর্তিপূজক ছিল । কিন্তু ইব্রাহীম আঃ একশ্বরবাদী ছিলেন ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১২

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: দিলেন তো আরো জামেলায় ফেলে। এতদিন জানতাম। আল্লাহ পাকের তরফ থেকে প্রেরিত নবী-রাসূলের ধর্ম ইসলাম।

এখন প্রশ্ন হলো, ইসলাম আর একশ্বরবাদী কি এক না ?

১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১১

বাগসবানি বলেছেন: আর হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর চাচা (উনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন কি করেন নাই - এটার পরিষ্কার প্রমাণ কোথাও নেই ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩২

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: আরেক'টা প্রশ্নঃ সব জায়গায় প্রচলিত আছে। ইসলাম মানে শান্তি ?

ইসলাম মানে কি, শান্তি ?

নাকি, আল্লাহ পাকের প্রদত্ত এবং রাসূলের নির্দেশ মত দ্বীনের উপর নিজেকে আত্মসমর্পন করা ?

১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১২

নোবল হুড বলেছেন: আপনি কি আলেম? যদি তা হন তবে কি পড়াশুনা করছেন? আর যদি না হন তবে পইড়া জ্ঞান অজন করেন,ধারকরা জ্ঞান দিয়া নিজেরই প্রয়জন মিটবোনা অন্যেরে কি প্রশ্নের জবাব দিবেন? কি বই পড়তে হইবো না জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন বইলা দিমু ইনশা আল্লাহ। ধন্যবাদ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৯

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: ভাই, প্রশ্ন'টা কি আমাকে করলেন ?

তাহলে, উত্তর হচ্ছে " না "।

আমি ইসলামের লাইনে আলেম না।

আমি ইন্জিনিয়ারিং লাইনে আলেম। তবে ইসলামকে ভালবাসি। অনেক কিছু জানিনা বা বুঝিনা বলে কিছু'টা মন খারাপ লাগে।

আলেম হইতে পারলে মাশাল্লাহ দারুন হতো। খুশি হতাম।

যদি কিছু বইয়ের রেফারেন্স দিতেন খুব ভাল হত। সময় সুযোগ মত পড়া যেত।


২০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২০

বাগসবানি বলেছেন: ভাই, আপনে শুধু অন্যের শোনা কথাকে জ্ঞান মনে করেন । জ্ঞান কিন্তু কষ্ট কইরে অর্জন করতে হয় । মনে হইতেছে, আপনি স্কুল কলেজে নোট জোগাড় কইরে কইরে পড়াশুনা করছেন । কোনো ধর্মই কোনো নোটবই না ! সুতরাং খুলির নিচে যে পদার্থ আছে, ঐটাকে কাজে লাগান । ঐটাকে গরম কইরে লাভ নাই । আপনাদের মত লোকের সংখ্যা বেশী এইদেশে। এইকারণে এইদেশের লোকজন আমরিকাতে যায় উচ্চশিক্ষা নিতে ।

২১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪

নোবল হুড বলেছেন: লিসানি ভাই ।সেই সময় কোরেশ বংশে একজন ছিল ওয়ারাকা বিন নাওফেল যিনি বিবি খাদিজার চাচাতো ভাই তিনি ইসলাম পূব সময়ে কিন্তু পূজারী ছিলেন না।ওনার বিসয়ে আলোচনা করলে হয়তো প্রশ্নকারি সে সময়ের সঠিক ধরম নিয়ে জানতে পারবে।

২২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই একটা অনেক বড় কমেন্ট করেছিলাম, নেটলাইনের জন্য সমস্যা হয়ে গেল।

আমরা কি সম্পূর্ণ সরলভাবে প্রশ্নোত্তর চালাতে পারি না?
পোস্টে আক্রমণাত্মক কমেন্ট এলে তা রিপোর্টেড হবে এবং শুধুশুধু পোস্টদাতা কমেন্টকারী সবার চেষ্টা ও অক্ষরগুলা লেখাই বিফল হবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০০

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: আমি আসলে জানতে চাই।

আক্রমণাত্মক কমেন্ট ইগনোর করেন। এবং আমি ডিলিট করে দিব।

নিশ্চয় না জানা'টা অন্যায় নয় এবং জানতে চাওয়া'টাও অন্যায় নয়।

২৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: করতে না পারা কমেন্টটার মূল বিষয় ছিল এরকম-

*চাচা মৃততুর সময় ইব্রাহিম আ.'র নীতির উপর বিশ্বাস রেখে মারা যান।
*রাসূল দ. তাঁরই ঘরে লালিত।
*রাসূল দ কখনো মূর্তিপূজা করেননি, একবার মাত্র অনুরোধে তাঁকে মেলাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তিনি মেলা থেকেই প্রত্যাবর্তন করেছেন।
*১০০০ বছরের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় আল আযহার শুধু সেই বিষয় সার্টিফাই করে যা প্রমাণিত হাদিসের আলোকে তৈরি। দ্য মেসেজ মুভি এবং মুহাম্মাদ দ. এনিমেটেড মুভির স্ক্রিপ্ট আল আযহার সার্টিফাই করেছিল। সেখানে চাচাকে মৃততুকালে ইব্রাহিমি বাক্য পড়তে দেখা যায়।

*রাসূল দ. বলেছেন, ইব্রাহিম আ. মুসলিম মিল্লাতের পিতা। তাই মিল্লাতে ইব্রাহিমিই মুসলিম। এবং মিল্লাতে ইব্রাহিমিকে পৌত্তলিক বলা মানে ইসলামকে পৌত্তলিক বলা।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৪

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: রাসূল (সঃ) এর নবুয়্যতের আগে কি মিল্লাতে ইব্রাহিম- এর অনুসারী কেউ ছিল ?

থাকলে তারা কারা ? তাদের জীবন সম্পর্কে কতটুকু জানা গেছে ?

২৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬

নোবল হুড বলেছেন: আল মামুন ভাই বই এর নাম নেন-- ইযাহুল কুরআন (১ম খন্ড) তাশরিহুল কুরআন (২য় খন্ড) এগুলো মাদরাসার ক্লাসের বই বাংলায় লেখা।আরো আছে পরে জানাবো। আপনি কি আরবি পড়তে জানেন?

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৪

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: জানি ভাই। কুরআন পড়তে পারি।
তবে অর্থ বুঝি না।

তার জন্য বাংলা অনুবাদ পড়তে হয়।

২৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাগসবানি ভাই,

তাহলে শুনুন, ইব্রাহিম আ.'র সমাজ শুধু মূর্তিপূজারক ছিল না, তারা ছিল শয়তান পূজারক।

ব্যাকগ্রাউন্ড-
*তাঁরা ছিলেন ব্যাবিলনিয়ান।
*তখন ব্যাবিলনিয়ায় চরম উন্মেষ ঘটে নাগরিক সভ্যতার।
*এখনো ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়, স্যাটান, যার নামে স্যাটারডে এবং যার নামে শনিগ্রহ স্যাটান, সেই শয়তানের প্রথম উপাসনা হয়েছিল প্রাচীণ আসিরিয়া-ব্যাবিলনিয়ার দিকে, শস্যের দেবতা হিসাবে।
*এই আ্ইডিয়া ডেভলপ করে নগর সভ্যতা এগিয়ে যাবার ফলে অধিক খাদ্য প্রয়োজন হওয়াতে।

কুরআনিক রেফারেন্স চান? কুরআনে একটা জায়গায় ইয়া আবা ইয়া আবা (হে পিতা, ইব্রাহীম আ. মূর্তির ভাষ্কর ও আপন চাচা আজরের হাতে বড় হয়েছিলেন বলে তাকে পিতা ডাকতেন) বলে অনেকগুলো আয়াত আছে। সেখানে ইব্রাহিম আ. বলছেন,

পিতা, তোমরা সুস্পষ্টভাবে শয়তানের অনুসরণ করছ, অথচ শয়তান পথভ্রষ্টকারী।

এখানে শয়তানের উদাহরণটাকে মেটাফরিক্যালি মূর্তির পূজা বোঝানো হয় বলে ধরা হয়। প্রকৃত সত্য হচেছ, সেই সময়কালে মূর্তি তৈরি করে স্যাটানের পূজা করা হতো।

তাই বলে পুরো জাতিই মূর্তি পূজারক, আবার একই কনক্লুশনে আসা ঠিক নয়। পুরো জাতি কখনো মুসলিমও ছিল না, পুরো জাতি কখনো মূর্তিপূজারকও ছিল না।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৮

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ লিসানি ভাই একটা গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেয়ার জন্য।


" কুরআনিক রেফারেন্স চান? কুরআনে একটা জায়গায় ইয়া আবা ইয়া আবা (হে পিতা, ইব্রাহীম আ. মূর্তির ভাষ্কর ও আপন চাচা আজরের হাতে বড় হয়েছিলেন বলে তাকে পিতা ডাকতেন) বলে অনেকগুলো আয়াত আছে।"


ভাই, যদি সম্ভব হয়। তবে সূরা এবং আয়াত নং দিয়ে দিবেন।

২৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০২

নোবল হুড বলেছেন: মামুন ভাই: অনেক আরবী শব্দের বাংলা মানে নিয়ে চিন্তিত।আরবি ভাসার উপযুক্ত বাংলা মানে হয় না।কারণ--আরবি শব্দের মেটেরিয়াল আর বাংলার মেটেরিয়াল আলাদা তাই অনুবাদ হলেও ওজন মেলেনা।আরবির উপযুকত অনুবাদ হয় ফারসী+ঊরদু তে। তাই অনুরোধ থাকবে পারলে কুরানের অনুবাদের সাথে শানে নুযুল ও পরবেন,তাহলে অনেক কিছু বুঝতে সহয হবে। শুভ কামনা রইলো।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৭

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ নোবল হুড ভাই।

কেউ একজন ইন্জেকশান দিয়ে সব জ্ঞান আমার মাথার মধ্যে দিয়ে দিত।

কি ভালই না হত ;)

২৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: লেখকের দৃষ্ঠি আকর্ষন, এই পোস্ট টা দয়া করে ডিলিট দিবেন না, এখানে কিছু বিষয় আছে যা আমি আগে জানতাম না, এখন জানলাম, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে...

আর গোলাম দস্তগীর লিসানি ভাইকে ধন্যবাদ....

২৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখন প্রশ্ন হলো, ইসলাম আর একশ্বরবাদী কি এক না ?

যারা নবীর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে একেশ্বরবাদী, তারাও মুওয়াহিদ আবার যারা নবীর উপর বিশ্বাস ছাড়াই একেশ্বরবাদী, তারাও মুওয়াহিদ।

সকল মুওয়াহিদ মুমিন।
কিন্তু নি:সন্দেহে পরিপূর্ণ মুমিন নন।

এ বিষয়ে রেফারেন্স হিসাবে একটা মজা করা যায়, লালন শাহ্ র বাণি তোলা যায়_

নবী না মানিল যারা
মোহাহেদ (মুওয়াহিদ) কাফেরও তারা
সেই মোহাহেদ দায়মাল হবে
বেহিসাব দোজখ যাবে
আবার তারে খালাস দিবে
লালন কয় মোর কী হয় জানি।

ইলাহাল আলামিন গো আল্লা বাদশা আলমপনাহ তুমি।


এই ছত্রটা কিন্তু ধর্মীয় অনুসিদ্ধান্তের পূর্ণ নির্যাস থেকে নেয়া। রাজা রামমোহন রায় একেশ্বরবাদীদের ধর্ম ব্রহ্ম ধর্মকে ফারসি ভাষায় পরিচিত করে দেন মুওয়াহিদ ধর্ম হিসাবে এবং এটা সনাতন ধর্মের একটা শাখামাত্র। ফারসি বইটা ছিল, 'তোহ্ ফাতুল মুওয়াহিদিন'।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৯

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন:
সকল মুওয়াহিদ মুমিন।
কিন্তু নি:সন্দেহে পরিপূর্ণ মুমিন নন।

বিষয়'টা জানা ছিল না। এত ভিতরের জ্ঞান প্রশ্ন'টা না করলে জানা হত না।

মাশাআল্লাহ, লিসানি ভাই। দারুন একটা জিনিস জানলাম।

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকেই জ্ঞান দান করুন।

২৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১২

নোবল হুড বলেছেন: আল মামুন ভাই :: আরবী ভাষা বাংলার থেকে অনেক সহয ভাষা অপনি অল্প দিনেই শিখতে পারবেন আশা করি।শিখতে চাইলে আওয়াজ দেন,,,আর না চাইলে চুপ মারেন।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৫

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন:

ভাই, খুব খুব ইচ্ছা আছে। যদি সহজ কোন উপায় থাকে, বললে খুবই উপকার হত। যদিও একটা ভাষা শেখা খুব সহজ কাজ না। তবে চেষ্টা করলে পারব।


এমনিতে আমি কোরআন বেশ ভাল ভাবেই রিডিং পড়তে পারি।

আরবী ভাষা রিডিং পড়া তো খুব সোজা। কিন্তু বুঝতে হলে আমাকে কি করতে হবে ?


৩০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সূরা এবং আয়াত নং, ইনশাআল্লাহ। তাহলে ঘাঁটতে হবে। আমিতো অডিও শুনি, তাই সূরার নাম একদম মনে থাকে না।

ইসলাম মানে কি শান্তি নাকি আত্মসমর্পণ?

ইসলাম মানে শান্তি।
শান্তি যুদ্ধে আসে না, শক্তিমানের কাছে ক্ষীণশক্তির আত্মসমর্পণে আসে।
আর এই শক্তিমান এমন একজন, যাঁর সাথে অন্য শক্তির তুলনাই চলবে না।

এখানেই শান্তি আর আত্মসমর্পণ সমার্থক হয়ে গেল।

৩১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১

সানড্যান্স বলেছেন: এগুলো কে সৃজনশীল বলা কি ঠিক হল? লিসানি ভাই?

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৮

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: কেন ?

আমি সৃজনশীল আসলে বিষয়'টাকে বলিনি। বলেছি প্রশ্নের প্যার্টান'টাকে।

অবশ্য বিষয়'টা সৃজনশীল নয়।

ইতিহাস কি বলা যাবে ?

৩২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: Valo alochona onek kisu janlam. Eysob bisoy aro jante chy.

৩৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

শুভ জািহদ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের শুরু আদম আঃ এর সময় থেকে। ইসলাম ধর্মে বিধি বিধান এর সামনে যে আত্মসমর্পণ করে সে মুসলিম।

সুরা যারিয়াত-৫১/৩১-৩৭>ইব্রাহীম বললঃ হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কি? তারা বললঃ আমরা এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি, যাতে তাদের উপর মাটির ঢিলা নিক্ষেপ করি। যা সীমাতিক্রমকারীদের জন্যে আপনার পালনকর্তার কাছে চিহিßত আছে। অতঃপর সেখানে যারা ঈমানদার ছিল, আমি তাদেরকে উদ্ধার করলাম। এবং সেখানে একটি গৃহ ব্যতীত কোন মুসলমান আমি পাইনি।

অতএব প্রমাণ হলো যে ইসলাম শুধু এই নবীর থেকে শুরু হয় নাই। বরং সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই ইসলাম ছিল। এবং অন্যান্য নবীগণও ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হিসেবেই ছিলেন।

এছাড়াও দেখুন আমাদের নবী সাঃ আসার পূর্বে যারা ছিল তারা অজ্ঞ হলেও মুসলিম ছিল।

সুরা কসাস-৫১-৫২> কোরআনের পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব (তাওরাত ও ইঞ্জিল) দিয়েছি, তারা এতে বিশ্বাস করে। যখন তাদের কাছে এটা পাঠ করা হয়, তখন তারা বলে, আমরা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। এটা আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য। আমরা এর পূর্বেও মুসলিম ছিলাম।

ইসলাম সেই শুরু থেকেই ছিল। আর মোহাম্মদ সাঃ হলেন সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী ও রাসূল।

৩৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

ঝটিকা বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন:......সেখানে চাচাকে মৃততুকালে ইব্রাহিমি বাক্য পড়তে দেখা যায়।


প্যাচ লেগে গেল। আমার জানা মতে মুহাম্মদ(স.) এর নবুয়্যতের পরে ইব্রাহীম(আ.) এর ধর্ম বাই ডিফল্ট বাতিল হয়ে যাবে। তখন মুহাম্মদ(স.) কে বিশ্বাস করে একমাত্র তার বিধানকে অনুসরণ করতে হবে। সে হিসাবে আবু তালিবকে কিভাবে মুহাম্মদ(স.) এর অনুসারি বা ঈমানদার (যেহেতু আল্লাহ এবং মুহাম্মদ(স.) উভয়কে একই সাথে বিশ্বাস হচ্ছে কালিমা শিকার করা তথা ঈমান) বলা যায়? কেউ ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।

৩৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

মুহাম্মদ যিয়ান ইলাহী বলেছেন: আল্লাহ যত নবী পাঠিয়েছেন প্রত্যেকেই ইসলামের অনুসারী ও প্রচারক ছিলেন। তাদের প্রত্যেকেরই উম্মতগণ যখন আল্লাহর আইনের বাইরে চলে গেল তখন তারা খ্রিস্টান, ইহুদি প্রভৃতি নাম গ্রহণ করলো। এই জন্য সুরা ফাতিহায় সেই উম্মতদের বিপথগামী এবং অভিশপ্ত বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স: ) এর মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্নতা লাভ করে এবং পূর্ববর্তী নবীদের আদেশ গুলো রহিত হয়। ইহুদিদের জন্য যেমন কালেমায় মুসা কলিমুল্লাহ যুক্ত ছিল, মুহাম্মদ (স: ) এর আগমনের পর তা রহিত হয়। রসুলুল্লাহ (স: ) ইসলাম প্রচার এর পূর্বে তিনি ও তার গোত্র ইব্রাহিম (আ: ) এর অনুসার ছিলেন। কেবল আবু লাহাব ছিলেন মূর্তিপুজারক।

৩৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

সিবাক বলেছেন: আপনি অনুবাদ পড়ুন "কোরআন"এর।

নেটে সার্চ দিলেই বাংলা অথবা ইংরেজীতে অনুবাদ পেয়ে যাবেন।

আসা করি এতে করে সঠিক জিনিসটা নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন।

৩৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সূরা মারইয়ামের (১৯) মধ্যবর্তী আয়াত। আল কুরআনের অনুবাদ, ড. তাহির উল ক্বাদরী, ইংরেজি-হিন্দি ও উর্দুতে পাওয়া যায়।

ওয়াযকুরু (যিকর করুন/স্মরণ করুন) ফিল কিতাবি (গ্রন্থে) ইব্রাহিমা ইন্নাহু কানা সিদ্দিক্বান নাবীইয়্যাহ (ইব্রাহিমের আ., যিনি সত্যবাদী ও নবী ছিলেন)...

যখন তিনি আপন পিতা (অর্থাৎ চাচা আজরকে, যিনি আপন জন্মদাতা পিতা তারখ এঁর ইন্তেকালের পর তাঁকে পালন করেছিলেন) কে বললেন, হে আমার পিতা, তুমি ওই অবয়বগুলোর আনুগত্য কেন কর, যেগুলা না শুনতে পায় না পায় দেখতে আর না তোমার কোন কষ্টদায়ক বিষয় দূর করতে পারে?

পিতা, নি:সন্দেহে আমার কাছে মহান প্রভুর কাছ থেকে ওই জ্ঞান এসে পড়েছে যা তোমার কাছে এখনো পৌছেনি। আমার অনুসরণ করো, আমি তোমাকে সরল পথ দেখাব।

হে পিতা, ইবাদাত করো না শাইত্বোয়ানের! নি:সন্দেহে শাইত্বোয়ান মহান রাহমানের অবাধ্য।

পিতা, আমি অবশ্যই ভীত! তোমার কাছে মহান করুণাময়ের শাস্তি পৌছাতে পারে। তুমি পরিণত হতে পারো শাইত্বোয়ানের সাথীতে।

(আজর) বলল, এই ইব্রাহিম আ.!
তুমি কি আমার প্রতিপালকগণের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ?

তুমি যদি সত্যিই এই অপবিশ্বাস থেকে ফিরে না আসো, আমি নিশ্চিত তোমাকে শেষ করে দিব। তুমি দূর হয়ে যাও আমার সামনে থেকে, লম্বা সময়ের জন্য!

(ইব্রাহিম আ.) বললেন, তাহলে সালাম রইল তোমার প্রতি,
আমি এখনি তোমার জন্য আপন প্রভুর কাছে প্রার্থনা করব।
নি:সন্দেহে তিনি আমার উপর অনেক দয়াবান। তোমাকে হিদাআত দান করতেও পারেন।

(ব্রাকেটের কথাগুলোও সেখানে ছিল, হুবহু তুলে দিলাম।)

৥ শুভ জাহিদ ভাইয়ের কমেন্ট, অসাধারণ।

৥ ঝটিকা ভাইয়ের কমেন্ট,

'আর হে রাসূল দ., আমি আপনার কাছে সত্য বই পাঠিয়েছি আগের বইগুলোর সমর্থকরূপে। সেগুলোর সংরক্ষক ও সাক্ষীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা পাঠিয়েছেন তা অনুসারেই তাদের মধ্যে মীমাংসা করুন। আর (হে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী), তাদের ইচ্ছার অনুসরণ করোনা নিজের কাছে আসা সত্যকে ছেড়ে। আমি তোমাদের সবার জন্যই একটা বিধান ও পথ রেখেছি। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে তোমাদের সবাইকে মাত্র একটা জাতিতে/ সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারতেন। তাই এটাই প্রমাণ হল যে, তিনি তোমাদের (যাকে যাকে) যা দিয়েছেন, তা অনুসারেই তোমাদের পরীক্ষা করবেন। সুতরাং ভাল কাজের বেলায় তোমরা প্রতিযোগীতা কর। তোমরা সবাই ফিরে আসবে আল্লাহরই দিকে। তখন তিনিই তোমাদের জানাবেন, মতভেদগুলো স্পষ্ট করবেন। (৫:৪৮)'

ঠিক আগের আয়াতটা, ‌'এবং এটাই উচিত যে, ইনজিলের অনুসারীরা নির্দেশ দিবে সেটা অনুযায়ী, যা আল্লাহ ইনজিলে দিয়েছেন। তবে আল্লাহর দেয়া নির্দেশ যারা দেয় না, তারা ফাসিক।'

একই সূরার ৪৩ নাম্বার আয়াত, 'তারা আপনার কাছে কীভাবে বিচার চাইবে অথচ তাদের কাছে তাওরাত আছে (ইহুদি)। যার মধ্যে আল্লাহর নির্দেশও আছে। এর পরও তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং ঈমান আনছে না।'

অনুসিদ্ধান্ত- যা তাওরাতে আছে তার উপরই ঈমান আনছে না।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের আগে যাদেরকে বই দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা তোমাদের ধর্মকে হাসি-তামাশা ও খেলার জিনিস বানিয়ে নেয়, তাদেরকে ও (আল্লাহকে) অস্বীকারকারীদেরকে= ক্বাফিরদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা।'

অনুসিদ্ধান্ত- যারা নিজের ধর্মে শান্তিপূর্ণভাবে ও ভালভাবে আছে, ইসলামের সাথে লটকালটকি করে না, তারা এমনকি বন্ধুত্ব পাবার উপযুক্ত।

মা-ইদা'র আয়াত ৬৯,
'নিজেদেরকে মুসলমান অভিহিতকারী, ইহুদিগণ, নক্ষত্র-পূজারীগণ এবং খ্রিস্টানগণ, তাদের মধ্যে যে কেউ সরলমনে আল্লাহ ও বিচার দিবসে বিশ্বাস আনবে এবং সৎকর্ম করবে, তবে না থাকবে তাদের কোন ভয় না কোন দু:খ।'

অনুসিদ্ধান্ত- নিজেকে মুসলিম বলুন, ইহুদি বলুন, হিন্দু বলুন আর বৌদ্ধ বলুন, কিন্তু একমেবাদ্বিতীয়ম পরম ঈশ্বরের প্রতি যে বিশ্বাস রাখে, তাঁর কাছে গিয়ে বিচারের মুখে পড়ার কথা যে বিশ্বাস করে, তাঁর প্রেরিত বই ও প্রেরিত পুরুষের প্রতি যে বিশ্বাস রাখে ও ভাল কাজ করে,

তাদের কোন ভয় নেই,
কোন চিন্তা নেই।

৥ সিবাক ভাইয়ের কমেন্ট,

কুরআনের যে কোন অনুবাদ পড়ার প্রবণতা হচ্ছে পথভ্রষ্ট হবার সবচে বড় উপায়।

কারণ, আরবি ভাষা মূলত বর্তমান রূপে ডেভলপ করেছে কুরআন গ্রন্থিত হবার পর যখন মুসলিমরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, তখন থেকে।

এখন, কুরআন আসার পর যে ভাষা ডেভলপ করেছে, সেই ভাষা থেকে কুরআন অনুবাদ করা চাট্টিখানি বা আট্টিখানি বা ষোলটিখানি কথা নয়।

যে কোন অনুবাদ কখনোই পড়বেন না বা শুনবেন না। তাহলে আম-ছালা সবই গেল। যে যেভাবে খুশি অনুবাদ করেছে কুরআনের। আমি মাত্র দুটা অনুবাদ চিনি সঠিকভাবে। আহমাদ রেজা খান র.’র কানযুল ঈমান অনুবাদ, ড. তাহির উল ক্বাদরীর অনুবাদ।

এই দুটা সামান্য অনুবাদ করার জন্য শত শত প্রাচীণতর তাফসির গ্রন্থ, শত শত সহিহ হাদিস গ্রন্থ, তারিখে ইসলাম ও আইম্মায়ে মুজতাহিদিনের লক্ষ লক্ষ যৌক্তিক ফতওয়া ফলো করা হয়েছে, যে কাজ আর কোন্ কোন্ অনুবাদে করা হয়েছে সেটা তো বলতে পারি না।

আজকাল তো গুগল ট্রান্সলেটরে দিয়েও অনুবাদ করা যায়, বিং ট্রান্সলেটরে দিয়েও অনুবাদ করা যায়, নিজের ইচ্ছামত একটা মতবাদ প্রকাশের জন্য তো করা যায়ই...

এছাড়া আরো সঠিক অনুবাদ থাকার কথা, কিন্তু সেটা যে কোনটা, তা বুঝব কী করে?

৩৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

সিবাক বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি- ভাইকে বলছি,

আপনি যেটা বলছেন সেটা ঠিক আছে,

কিন্তু কোরআন বুঝে পরতে হবে, না বুঝে পরলে তা কোন কাজে দিবে না,

এর জন্য ২টা অথবা ৩টা অনুবাদ কোরআন নামিয়ে নিয়ে পড়তে হবে।



কোরআন তেলায়াত করতে হবে, কিন্তু অর্থ বুঝে।

৩৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৪

ঝটিকা বলেছেন: @ সিবাক কোরআনের অর্থ জানা দরকার ঠিক আছে, কিন্তু অর্থ না জেনে তেলওয়াত করলে কোন লাভ হবে না এটা ঠিক না। সম্ভবত এব্যাপরে একটা নির্দেশ আছে অনেকটা এরকম "তোমরা কোরআন পড়তে থাক, বুঝে হোক বা না বুঝে হোক"( এটা হাদিস না কোরআনের আয়াত মনে নেই, কারো জানা থাকলে লিখে দিয়েন)। শুধু তেলওয়াতেও সোয়াব আছে। তাই মানুষকে ডাইরেক্ট একথা বলা ঠিক না, "না বুঝে পড়ে লাভ কোন নেই" এতে মানুষ আরো কোরান বিমুখ হয়ে যাবে, ভাববে আগে অর্থ জেনে নিই তারপর পড়ব। এমনিতেই নিয়মিত কোরআন পড়া লোকের সংখ্যা খুবই নগন্য।

৪০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: @ঝটিকা,

একমত।

শব্দের-বাক্যের বা সুরের শক্তি প্রচন্ড। আর কুরআনের শব্দশৈলী এমন, যে এটা মনে একটা প্রভাব ফেলে, অবচেতন মনে ফেলে তারচেও বেশি।

জীববিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন, সুনির্দিষ্ট মাত্রার সুর এমনকি গাছের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। প্রতিটা প্রাণীর মস্তিষ্কের যোজন ও অভিযোজন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুনির্দিষ্ট সুর ও স্বর সুনির্দিষ্ট কিছু তরলের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় সারা শরীরে ও বিশেষ করে ব্রেনে।

আর সেই স্বর বা সুর যদি পরিচিত কোন বিষয়ের সাথে ট্যাগড থাকে, তাহলে সেই পরিচিত বিষয়টাই মনে গেঁথে যায়। যেমন, কুরআনের সুর রিল্যাক্ট্যান্ট। সেইসাথে এই সুরটা যারা মুমিন অথবা নরমমনা, তাঁদের মনে বারবার মনে করিয়ে দিবে আল্লাহ-রাসূল দ.-ইবাদাত-ন্যায়বিচার-সাম্য-শেষবিচার ও পাপ থেকে বিরত থাকার ভয়ের কথা।

কুরআন সাইকোলজিক্যালি অনেক বড় ইম্প্যাক্ট ফেলবেই, তা অর্থ আমরা বুঝি বা না বুঝি। আর বোঝার তো আলাদা বিশাল মর্ম আছেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.