![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন তড়িৎ প্রকৌশলী। ****************** বুকের মাঝে স্বপ্ন আর হতাশার যুগলবন্ধী বসবাস...
নিলয়-রীধি রেললাইনে হাত ধরে হাটছে।
এই এই ! হাত ছেড়ো না, পড়ে যাবো তো।'
নিলয়, হা হা করে হাঁসতে লাগল। যেন অনেক মজা পেয়েছে শুনে। অবশ্য রীধি প্রায় পড়েই যাচ্ছিল।
নিলয় বলল, না পড়বে না। আমি আছি না, ধরে ফেলব। আচ্ছা, ধরো আমি যদি না থাকি, তুমি কি একা কখনো এখানে হাটতে আসবে ?
: না, এমন সন্ধ্যা বেলা একা একা আমি কখনো রেললাইনে হাটতে আসব না। আমার রেললাইনে হাটতে ভাল লাগে না।'
: একটু আগেই তো বললে, তোমার অসাধারণ লাগছে !
: সে তুমি আছো বলে, বলছি।
: ও তাই বুঝি ?
: হুম। তোমার সাথে হেটে হেটে আমি এই লাইনের শেষ পর্যন্ত যেতে পারবো।
: কেন, আমাকে ভালবাসো বলে ?
মিষ্টি করে হেসে, রীধি নিলয়ের দিকে তাকালো। চোখ বলছে, বুঝে নাও ! তোমাকে কে বলল, 'আমি তোমাকে ভালবাসি ?'
নিলয়, এক মুহুর্ত চুপ থেকে হঠাৎ-ই হা হা করে হেসে উঠল।
'আমাকে কে বলেছে জানতে চাও ?'
'কে ?'
'আমাকে এই সন্ধ্যা বলেছে, ঐ উড়ে যাওয়া পাখীর দল বলেছে, জন্মবধি কারো অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা এই বৃক্ষসারি বলেছে, এই নির্জন রেললাইন বলেছে- আমার হাত ধরে রেললাইনের উপর হেটে চলা পৃথিবীর সবচেয়ে রুপবতী এই মেয়েটি আমাকে ভালবাসে।'
'নিলয়, যাও ভাল হবে না কিন্তু।'
'কেন ? কি হবে ?'
'প্লিজ ওমন করে বলো না। আমার ভয় হয়; তোমাকে যদি কভু হারিয়ে ফেলি।'
নিলয় তাকিয়ে দেখল, রীধি কাদছে !
অভয় দিতে নিলয় বলল, 'একি তুমি কাঁদছ ! যাও আর কভু ওমন করে বলবো না। মরে গেলেও আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না। এই তোমাকে ছুয়ে বলছি।'
' সত্যি !'
আর ঠিক তখনই, পিছন থেকে আসা,এক ট্রেনের বিকট হুইসেল; তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায় রীধি। হঠাৎ চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে।
জ্ঞান ফিরে দেখে হাসপাতালের সফেদ বিছানায় শুয়ে আছে। ডান পা'টা কিছুতেই নাড়াতে পারছে না। তাকিয়ে দেখে, ডান পা'য়ের পুরোটা জুড়ে ব্যান্ডেস।
চিৎকার করে উঠে রীধি। নিলয় নিলয় বলে ডাকতে থাকে।
পাশ থেকে নার্স এসে বলল, ' আপা একদম কথা বলবেন না। একটুও নড়াচড়াও করবেন না। আজ তিনদিন পর আপনি চোখ খুললেন। আপনার মা বাইরে আছে। আমি ঢেকে দিচ্ছি।'
রীধি'র মা রুমে ঢুকতেই রীধি বলল, ' মা নিলয় কোথাও। আমি এখানে কি করে এলাম ? নিলয়ের কি হয়েছে ? '
'শান্ত হও, মা, নিলয় ভাল আছে।'
চোখে রাজ্যের বিষ্ময় নিয়ে রীধি বলে, আমি শান্তই আছি মা, বলো নিলয় কোথায়।
পাশে দাড়ানো নার্সটা বলল, ' কিছু অপরিচিত লোক এসে আপনাকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল। আপনার সাথে একটা ছেলেকেও নিয়ে এসেছিল। নীল রঙের শার্ট গায়ে। তারও মাথায় আঘাত ছিল।'
'সে কোথাও ?'
'অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার পর, প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়াতে সে সারভাইভ করতে পারেনি। তার বাসার লোকজন এসে তার লাশ নিয়ে গেছে। সরি আপা।'
শুনে রীধি চুপ করে গেল, শুধু অস্পষ্ট স্বরে বলল, ' না ঠিক আছে।'
এরপর প্রতিবছর, একটা নির্দিষ্ট দিনে রীধি একাকী কিছুক্ষণ রেললাইন দিয়ে হাটে। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকে, নিশ্চল বৃক্ষের মত। হয়ত কারো অপেক্ষায়, অথবা পিছন থেকে ছুটে আসা কোন ট্রেনের !
২| ০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরাই লুতুপুতু প্যাকেজ নাটক! মাইনাচ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩০
আবদুল্লাহ্ আল্ মামুন বলেছেন: ওরে বস, আপনি !
করডিয়ালি মাইনাচ গ্রান্টেড....
৩| ০২ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
মুনসী১৬১২ বলেছেন: কি রোমান্টিক :#>
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪২
আবদুল্লাহ্ আল্ মামুন বলেছেন: তাইতো দেখতাছি...
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৫২
আবদুল্লাহ্ আল্ মামুন বলেছেন: * একজনকে বাঁচিয়ে দিলাম !