![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন তড়িৎ প্রকৌশলী। ****************** বুকের মাঝে স্বপ্ন আর হতাশার যুগলবন্ধী বসবাস...
....ফোনের রিং হচ্ছে।
হ্যালো, তুমি আসছো ?
হুম।
একটু দাড়াও। আমি এক্ষুনি আসছি। জাস্ট দু'মিনিট।
রোকেয়া হলের বিপরীত দিকের চাঁয়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে আছে, নিলয়।
- মামা, একটা র'চা আর একটা বেনসন লাইট দাও তো।
- একটু দাড়ান মামা, দিতেছি।
নিলয়, একবার ঘড়ির দিকে তাকাল, পাঁচ'টা সাতাশ বাজে। চা শেষ করে সিগারেট হাতে নিল। সিগারেট'টা ধরাবে কি ধরবে না ভাবছে।
ধরাবে না বলেও, কি মনে করে সিগারেট'টা ধরালো। একবার আকাশের দিকে তাকাল, আজকের বিকেলটা অনেক সুন্দর। রোদের খুব বেশি তাপ নেই। মৃদ্যু বাতাসও আছে। সিগারেটের ধুয়া ছাড়তে ছাড়তে আশেপাশের মানুষ গুলো দেখছে। এক বয়ষ্ক মানুষকে দেখল, রোকেয়া হলের সামনে দাড়িয়ে আছে, হাতে নেটের ব্যাগ ভর্তি লিচু। কারো জন্য অপেক্ষা করছে মনে হয়।
হাতের সিগারেট শেষ হয়েছে অনেকক্ষণ হল, আরেকটা সিগারেট ধরাতে ইচ্ছে করছে। ইদানিং নিলয়ের এই সমস্যাটা হয়েছে। একটা সিগারেট শেষ হয়ে গেলেই আরেকটা ধরাতে ইচ্ছে করে।
রোকেয়া হলের দিকে তাকাল। দীপা দাড়িয়ে আছে। তার দিকে তাকিয়ে হাতের ইশারা করছে। এই পড়ন্ত বিকেলের আলোয়, হাল্কা হলুদ আর সবুজ রঙের থ্রী পিসে দীপাকে কি অপরুপই না লাগছে। নিলয়ের বুকটা একটু যেন কেমন করে উঠল।
- সরি একটু দেরি হয়ে গেল। তুমি কি করছিলে এতক্ষণ ?
- তেমন কিছু না। এককাপ চা খেয়েছি। আর তোমার অপেক্ষা করছিলাম।
- ও তাই, যাক ভেবে ভাল লাগল। আগে জানলে, আরেকটু দেরি করে আসতাম।
-কেন ?
- না, এমনিতেই। কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে, ভাবতে ভাল লাগছে।
- এতে ভাল লাগার কি আছে। অপেক্ষা করাতো বিরক্তিকর।
- ও তুমি বুঝবে না। আজ তোমার ক্লাস ছিল না ?
- ছিল, যাইনি। একটু গাজীপুর গিয়েছিলাম। বড় ভাইয়ের বাসায়।
তোমার ক্লাস ছিল ?
- হ্যা, তুমি ফোন করার কিছুক্ষণ আগে ফিরছিলাম। এই জন্যই একটু দেরি হয়েছে।
- ও আচ্ছা।
- চল ফুলার রোডের দিকে গিয়ে বসি। ওদিকটা একটু নিরিবিলি আছে।
- চল।
নিলয়-দীপা ফুলার রোডের পাশে বসে আছে। নিলয় ভাবছে কথাটা বলবে কিনা ? দীপা কি কিছু মনে করবে ? আবার ভাবল, না থাক। আজ না।
- তোমাকে আজ একটু অন্যরকম লাগছে।
কি রকম ?
- একটু অস্থির অস্থির, কিছুক্ষণ পরপর পকেটে হাত দিচ্ছো আর বের করছো। কিছু নিয়ে চিন্তিত নাকি ?
- না, ও কিছু নয়। এমনি।
- ও তোমাকে বলা হয়নি, কাল ভোরের ট্রেনে আমি সিলেট চলে যাচ্ছি। আমার রুমমেট মৌসুমী আপু টিকেট কেটে এনেছে।
- কেন ? হঠাৎ ?
- কাল থেকে আঠারো দিন গ্রীষ্মের ছুটি। আব্বু-আম্মুও অনেকদিন থেকেই যেতে বলছিল, মৌসুমী আপু কালই যাবে, তাই তাকে বলেছিলাম আমার টিকেটও যেন কেটে আনে।
- হুম, অনেকদিন তাহলে দেখা হবে না, তাই না ?
- হ্যা, কিন্তু কথা তো হবে।
... তিনমাসের বেশি সময় হয়ে গেছে, ওদের সম্পর্ক। সব কথা হলেও, নিলয় এখনো দীপা'র হাত ধরেনি। নিলয়ের অনেক দিনের ইচ্ছে, কোন এক সোনালী বিকেলে সে দীপার হাত'টা ধরবে।
প্রকৃতিও যেন নিলয়ের হৃদয়ের কথা বুঝতে পেরেই, আজকের বিকেল, এই শান্ত শহরটাকে সোনালী রোদে সাজিয়ে রেখেছিল। না নিলয় আজো পারেনি। সাহসের কাছে হেরে গিয়ে, ফিরে এসেছে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে দীপা একসময় বলল, চল ফিরে যাওয়া যাক।
ওরা আবার দীপার হলের দিকে হাটছে।
অন্য দিনগুলোর মত, সন্ধ্যার সময়, দীপাকে বিদায় জানাল। যাওয়ার সময়, নীলা একবার পিছন ফিরে তাকাল। দেখে নিলয় তাকিয়ে আছে, একটু ফিরে এসে বলল, 'কিছু বলবে ?'
নিলয়, চুপ করে তাকিয়ে থেকে বলল, 'না, কিছু না; কাল দেখা হবে !'
দীপা হেঁসে বলল, ' না কাল হবে না। আমি বাসায় চলে যাচ্ছি তো।'
নিলয়ও হেসে দিয়ে বলল, 'ও সরি, ভুলে গিয়েছিলাম।'
দীপা কিছু না বলে, শুধু হাসলো।
দীপা চলে যাবে, এমন সময় আবার ফিরে এসে হুট করে নিলয়ের হাত'টা ধরল।
নিলয়, বেশ অবাক হয়ে দীপার দিকে তাকাল।
- আচ্ছা, এতদিন হয়ে গেল। তুমি আমার হাত'টা ধরলে না কেন ?
নিলয় একটু আমতা আমতা করতে লাগল, না, মানে চেয়েছি। কিন্তু তুমি কি মনে করো, সাহস হয়নি।
তাকিয়ে দেখে, দীপার চোখ দুটো ভেজা।
- মিথ্যে বলো না, তোমার ইচ্ছে করেনি তাই বলো।
নিলয়, কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। একবার চারপাশে তাকাল। এত ভাল লাগছে। এই মুহুর্তে সে যেন পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ।
... পরদিন পত্রিকার নিউজ, হরতালের সমর্থকদের দ্বারা রেললাইনের স্লিলিপার উপড়ে ফেলায়, সিলেটগামী ট্রেন লাইনচ্যুত, শতাধিক যাত্রী আহত। একসিডেন্টের সময় মোবাইল হারিয়ে ফেলায় নিলয় জানতে পারল না, দীপা'র ডানহাতের এলবো ভেঙে গিয়েছে !
২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো ।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম.....
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৭
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন:
!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
আর.হক বলেছেন: সোনালী হোক প্রতিটি বিকাল